1. অয়ি নারীকুল-সুন্দরি! তোমার প্রিয় কোথায় গিয়াছেন? তোমার প্রিয় কোন্ দিকের পথ ধরিয়াছেন? আমরা তোমার সঙ্গে তাঁহার অন্বেষণ করিব।
2. আমার প্রিয়তম আপন উপবনে সুগন্ধি ওষধির চৌকাতে গিয়াছেন, উপবনে [পাল] চরাইবার জন্য ও শোশন পুষ্প চয়ন করিবার জন্য।
3. আমি আমার প্রিয়েরই ও আমার প্রিয় আমারই; তিনি শোশন পুষ্পবনে [পাল] চরান।
4. অয়ি মম প্রিয়ে! তুমি তির্সার ন্যায় সুন্দরী, যিরূশালেমের ন্যায় রূপবতী, সপতাকা বাহিনীর ন্যায় ভয়ঙ্করী।
5. তুমি আমা হইতে তোমার নয়ন দুটী ফিরাও, কেননা উহারা আমাকে উদ্বিগ্ন করে; তোমার কেশপাশ এমন ছাগপালের ন্যায়, যাহারা গিলিয়দের পার্শ্বে শুইয়া থাকে।
6. তোমার দন্তশ্রেণী মেষীর পালবৎ, যাহারা স্নান করিয়া উঠিয়া আসিয়াছে, যাহারা সকলে যমজ-শাবকবিশিষ্টা, যাহাদের মধ্যে একটীও মৃতবৎসা নাই।
7. তোমার ঘোমটার মধ্যে তোমার গণ্ডদেশ দাড়িম্বখণ্ডের ন্যায়।
8. ষষ্টি রাণী ও অশীতি উপপত্নী আছে, আর অসংখ্য যুবতী আছে।
9. আমার কপোতী, আমার শুদ্ধমতি অদ্বিতীয়া; সে আপন মাতার একমাত্র দুহিতা, সে আপন জননীর স্নেহপাত্রী; তাহাকে দেখিয়া কন্যাগণ ধন্যা বলিল, রাণীরা ও উপপত্নীরা তাহার প্রশংসা করিল।
10. উনি কে, যিনি অরুণের ন্যায় উদীয়মানা, চন্দ্রের ন্যায় সুন্দরী, সূর্য্যের ন্যায় তেজস্বিনী, সপতাকা বাহিনীর ন্যায় ভয়ঙ্করী?
11. আমি উপত্যকার নবীন তরুচয় দেখিতে, দ্রাক্ষালতা পল্লবিত হয় কি না, দেখিতে, দাড়িম্বপুষ্প ফুটে কি না, দেখিতে, আক্রোটের উপবনে নামিয়া গেলাম।
12. আমার অজ্ঞাতসারে আমার প্রাণ আমাকে স্থাপন করিল আমার মহোদয় জাতির রথরাজির [মধ্যে]।
13. ফির ফির, অয়ি শূলম্মীয়ে; ফির ফির, আমরা তোমাকে দেখিব। শূলম্মীয়াকে তোমরা কেন দেখিবে? মহনয়িমস্থ নৃত্যের ন্যায় কেন দেখিবে?