1. আর, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, আমি তাঁহার দক্ষিণ হস্তে এক পুস্তক দেখিলাম; তাহা ভিতরে ও বাহিরে লিখিত ও সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত।
2. পরে আমি দেখিলাম, এক শক্তিমান্ দূত মহারবে এই কথা ঘোষণা করিতেছেন, ঐ পুস্তক খুলিবার ও তাহার মুদ্রা সকল খুলিবার যোগ্য কে?
3. কিন্তু স্বর্গে কি পৃথিবীতে কি পৃথিবীর নীচে সেই পুস্তক খুলিতে অথবা তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতে কাহারও সাধ্য হইল না।
4. তখন আমি বিস্তর রোদন করিতে লাগিলাম, কারণ সেই পুস্তক খুলিবার ও তাহার প্রতি দৃষ্টি করিবার যোগ্য কাহাকেও পাওয়া গেল না।
5. তাহাতে সেই প্রাচীনবর্গের মধ্যে এক জন আমাকে কহিলেন, রোদন করিও না; দেখ, যিনি যিহূদাবংশীয় সিংহ, দায়ূদের মূলস্বরূপ, তিনি ঐ পুস্তক ও উহার সপ্ত মুদ্রা খুলিবার নিমিত্ত বিজয়ী হইয়াছেন।
6. পরে আমি দেখিলাম, ঐ সিংহাসনের ও চারি প্রাণীর মধ্যে ও প্রাচীনবর্গের মধ্যে এক মেষশাবক দাঁড়াইয়া আছেন, তাঁহাকে যেন বধ করা হইয়াছিল; তাঁহার সপ্ত শৃঙ্গ ও সপ্ত চক্ষু; সেই চক্ষু সমস্ত পৃথিবীতে প্রেরিত ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা।
7. পরে তিনি আসিয়া, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার দক্ষিণ হস্ত হইতে সেই পুস্তক গ্রহণ করিলেন।
8. তিনি যখন পুস্তকখানি গ্রহণ করেন, তখন ঐ চারি প্রাণী ও চব্বিশ জন প্রাচীন মেষশাবকের সাক্ষাতে প্রণিপাত করিলেন; তাঁহাদের প্রত্যেকের কাছে একটী বীণা ও সুগন্ধি ধূপে পরিপূর্ণ স্বর্ণময় বাটি ছিল; সেই ধূপ পবিত্রগণের প্রার্থনাস্বরূপ।
9. আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন, ‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ, এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;
10. এবং আমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে তাহাদিগকে রাজ্য ও যাজক করিয়াছ; আর তাহারা পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করিবে।’
11. পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, এবং সেই সিংহাসনের ও প্রাণিবর্গের ও প্রাচীনবর্গের চারিদিকে অনেক দূতের রব শুনিলাম; তাঁহাদের সংখ্যা অযুত গুণ অযুত ও সহস্র গুণ সহস্র।
12. তাঁহারা উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, ‘মেষশাবক, যিনি হত হইয়াছিলেন, তিনিই পরাক্রম ও ধন ও জ্ঞান ও শক্তি ও সমাদর ও গৌরব ও ধন্যবাদ, এই সকল গ্রহণ করিবার যোগ্য।’
13. পরে স্বর্গে ও পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচে ও সমুদ্রের উপরে যে সকল সৃষ্ট বস্তু, এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তেরই এই বাণী শুনিলাম, ‘যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি ধন্যবাদ ও সমাদর ও গৌরব ও কর্ত্তৃত্ব যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে বর্ত্তুক।’
14. আর সেই চারি প্রাণী কহিলেন, আমেন। আর সেই প্রাচীনেরা প্রণিপাত করিয়া ভজনা করিলেন।