1. যে বৎসর উষিয় রাজার মৃত্যু হয়, আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে উপবিষ্ট দেখিলাম; তাঁহার রাজবস্ত্রের অঞ্চলে মন্দির পূর্ণ হইয়াছিল।
2. তাঁহার নিকটে সরাফগণ দণ্ডায়মান ছিলেন; তাঁহাদের মধ্যে প্রত্যেক জনের ছয় ছয় পক্ষ, প্রত্যেকে দুই পক্ষ দ্বারা আপন মুখ আচ্ছাদন করেন, দুই পক্ষ দ্বারা চরণ আচ্ছাদন করেন, ও দুই পক্ষ দ্বারা উড্ডীন হন।
3. আর তাঁহারা পরস্পর ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; সমস্ত পৃথিবী তাঁহার প্রতাপে পরিপূর্ণ।’
4. তখন ঘোষণাকারীর রবে শিলামূল সকল কাঁপিতে লাগিল, ও গৃহ ধূমে পরিপূর্ণ হইতে লাগিল।
5. তখন আমি কহিলাম, হায়, আমি নষ্ট হইলাম, কেননা আমি অশুচি-ওষ্ঠাধর মনুষ্য, এবং অশুচি-ওষ্ঠাধর জাতির মধ্যে বাস করিতেছি; আর আমার চক্ষু রাজাকে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুকে, দেখিতে পাইয়াছে।
6. পরে ঐ সরাফগণের মধ্যে এক জন আমার কাছে উড়িয়া আসিলেন, তাঁহার হস্তে একখানি জ্বলন্ত অঙ্গার ছিল, তিনি যজ্ঞবেদির উপর হইতে চিমটা দ্বারা তাহা লইয়াছিলেন।
7. আর তিনি আমার মুখে তাহা স্পর্শ করাইয়া কহিলেন, দেখ, ইহা তোমার ওষ্ঠাধর স্পর্শ করিয়াছে, তোমার অপরাধ ঘুচিয়া গেল ও তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইল।
8. পরে আমি প্রভুর রব শুনিতে পাইলাম; তিনি বলিলেন, আমি কাহাকে পাঠাইব? আমাদের পক্ষে কে যাইবে? আমি কহিলাম, এই আমি, আমাকে পাঠাও।
9. তখন তিনি বলিলেন, তুমি যাও, এই জাতিকে বল, তোমরা শুনিতে থাকিও, কিন্তু বুঝিও না; এবং দেখিতে থাকিও, কিন্তু জানিও না।
10. তুমি এই জাতির অন্তঃকরণ স্থূল কর, ইহাদের কর্ণ ভারী কর, ও ইহাদের চক্ষু বন্ধ করিয়া দেও, পাছে তাহারা চক্ষে দেখে, কর্ণে শুনে, অন্তঃকরণে বুঝে, এবং ফিরিয়া আইসে, ও সুস্থ হয়।
11. তখন আমি কহিলাম, হে প্রভু, কত দিন? তিনি কহিলেন, যাবৎ নগর সকল নিবাসবিহীন ও বাটী সকল নরশূন্য হইয়া উৎসন্ন না হয়, এবং ভূমি ধ্বংস-স্থান হইয়া একেবারে উৎসন্ন না হয়, আর সদাপ্রভু মনুষ্যকে দূর না করেন,
12. এবং দেশের মধ্যে অনেক ভূমি অধিকার শূন্য না হয়।
13. যদ্যপি তাহার দশমাংশও থাকে, তথাপি তাহাকে পুনর্ব্বার গ্রাস করা যাইবে; কিন্তু যেমন এলা ও অলোন বৃক্ষ ছিন্ন হইলেও তাহার গুঁড়ি থাকে, তেমনি এই জাতির গুঁড়িস্বরূপ এক পবিত্র বংশ থাকিবে।