1. হবক্কূক ভাববাদীর ভারবাণী; তিনি এই দর্শন পান।
2. হে সদাপ্রভু, কত কাল আমি আর্ত্তনাদ করিব, আর তুমি শুনিবে না? আমি দৌরাত্ম্যের বিষয়ে তোমার কাছে কাঁদিতেছি, আর তুমি নিস্তার করিতেছ না।
3. তুমি কেন আমাকে অধর্ম্ম দেখাইতেছ, কেন দুষ্কার্য্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছ? লুটপাট ও দৌরাত্ম্য আমার সম্মুখে হইতেছে, বিরোধ উপস্থিত, বিসংবাদ বাড়িয়া উঠিতেছে।
4. তাই ব্যবস্থা নিস্তেজ হইতেছে, বিচার কোন মতে নিষ্পন্ন হইতেছে না; কারণ দুর্জ্জনেরা ধার্ম্মিককে ঘেরিয়া থাকে, তজ্জন্য বিচার বিপরীত হইয়া পড়ে।
5. তোমরা জাতিগণের মধ্যে দৃষ্টিপাত কর, নিরীক্ষণ কর, এবং চমৎকার জ্ঞান করিয়া হতবুদ্ধি হও; যেহেতু আমি তোমাদের সময়ে এক কর্ম্ম করিব, তাহার বৃত্তান্ত কেহ তোমাদিগকে জ্ঞাত করিলে তোমরা বিশ্বাস করিবে না।
6. কারণ দেখ, আমি কল্দীয়দিগকে উঠাইব; তাহারা সেই নিষ্ঠুর ও ত্বরান্বিত জাতি, যে পরের নিবাস সকল অধিকার করণার্থে পৃথিবীর বিস্তারের সর্ব্বত্র বিহার করে।
7. তাহারা ত্রাসজনক ও ভয়ঙ্কর, তাহাদের শাসন ও উন্নতি তাহাদেরই হইতে উৎপন্ন।
8. তাহাদের অশ্বগণ চিতাব্যাঘ্র হইতেও দ্রুতগামী ও সায়ংকালীন কেন্দুয়া হইতেও উগ্র; তাহাদের অশ্বারোহিগণ বেগবান্; তাহাদের অশ্বারোহিগণ দূর হইতে আগত; ঈগল পক্ষী যেমন ভক্ষণার্থে দ্রুতবেগে চলে, তেমনি তাহারা উড়ে।
9. তাহারা সকলে দৌরাত্ম্য করিতে আইসে, তাহারা অগ্রসর হইতে উন্মুখ; এবং তাহারা বন্দিদিগকে বালুকার ন্যায় একত্র করে।
10. সেই জাতি রাজগণকে বিদ্রূপ করে, এবং অধ্যক্ষগণ তাহার উপহাসের পাত্র; সে দৃঢ় দুর্গ সমস্তকে উপহাস করে, ও ধূলি রাশীকৃত করিয়া তাহা হস্তগত করে।
11. এইরূপে সে প্রচণ্ড বায়ুবৎ হঠাৎ বহিবে, অগ্রসর হইবে, আর দোষী হইবে; নিজ শক্তিই তাহার দেবতা।
12. হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার পবিত্রতম, তুমি কি অনাদিকাল হইতে নহ? আমরা মারা পড়িব না; হে সদাপ্রভু, তুমি বিচারার্থেই উহাকে নিরূপণ করিয়াছ; হে শৈল, তুমি শাসনার্থেই উহাকে স্থাপন করিয়াছ।
13. তুমি এমন নির্ম্মলচক্ষু যে মন্দ দেখিতে পার না, এবং দুষ্কার্য্যের প্রতি তুমি দৃষ্টিপাত করিতে পার না, তবে বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি কেন দৃষ্টিপাত করিতেছ? আর দুর্জ্জন আপনার অপেক্ষা ধার্ম্মিক লোককে গ্রাস করিলে কেন নীরব থাক?
14. মনুষ্যদিগকে সমুদ্রের মৎস্য তুল্য কিম্বা অস্বামিক কীট তুল্য কেন কর?
15. সে সকলকে বড়শীতে তুলে, তাহাদিগকে নিজ জালে ধরে, খালুইতে একত্র করে; এই জন্য সে আনন্দিত ও উল্লাসিত হয়।
16. এই জন্য সে আপন জালের উদ্দেশে বলিদান করে, ও আপন খালুইয়ের উদ্দেশে ধূপ জ্বালায়; কেননা তদ্দ্বারা তাহার অংশ পুষ্ট ও তাহার খাদ্য মেদোযুক্ত হয়।
17. এই জন্য সে কি আপন জালের মধ্য হইতে মৎস্য বাহির করিতে থাকিবে? ও মমতা না করিয়া নিরন্তর জাতিগণকে বধ করিবে?