16. যাকোবের পুত্র যোষেফ; ইনি মরিয়মের স্বামী; এই মরিয়মের গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাঁহাকে খ্রীষ্ট অভিষিক্ত বলে।
|
17. এইরূপে অব্রাহাম অবধি দায়ূদ পর্য্যন্ত সর্ব্বশুদ্ধ চৌদ্দ পুরুষ; দায়ূদ অবধি বাবিলে নির্ব্বাসন পর্য্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; এবং বাবিলে নির্ব্বাসন অবধি খ্রীষ্ট পর্য্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ।
|
18. যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইরূপে হইয়াছিল। তাঁহার মাতা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগ্দত্তা হইলে তাঁহাদের সহবাসের পূর্ব্বে জানা গেল, তাঁহার গর্ভ হইয়াছে—পবিত্র আত্মা হইতে।
|
19. আর তাঁহার স্বামী যোষেফ ধার্ম্মিক হওয়াতে ও তাঁহাকে সাধারণের কাছে নিন্দার পাত্র করিতে ইচ্ছা না করাতে, গোপনে ত্যাগ করিবার মানস করিলেন।
|
20. তিনি এই সকল ভাবিতেছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁহাকে দর্শন দিয়া কহিলেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান, তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে ভয় করিও না, কেননা তাঁহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে, তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে; আর তিনি পুত্র প্রসব করিবেন,
|
21. এবং তুমি তাঁহার নাম যীশু ত্রাণকর্ত্তা রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন।
|
23. “দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা যাইবে ইম্মানূয়েল” অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, ‘আমাদের সহিত ঈশ্বর’।
|
24. পরে যোষেফ নিদ্রা হইতে উঠিয়া প্রভুর দূত তাঁহাকে যেরূপ আদেশ করিয়াছিলেন, সেইরূপ করিলেন, আপন স্ত্রীকে গ্রহণ করিলেন;
|
25. আর যে পর্য্যন্ত ইনি পুত্র প্রসব না করিলেন, সেই পর্য্যন্ত যোষেফ তাঁহার পরিচয় লইলেন না, আর তিনি পুত্রের নাম যীশু রাখিলেন।
|