1. সদাপ্রভু, আমি তোমারই শরণ লইয়াছি; আমাকে কখনও লজ্জিত হইতে দিও না; তোমার ধর্ম্মশীলতায় আমাকে রক্ষা কর।
|
7. আমি তোমার দয়াতে উল্লাস ও আনন্দ করিব, কেননা তুমি আমার দুঃখ দেখিয়াছ, তুমি দুর্দ্দশাকালে আমার প্রাণের তত্ত্ব লইয়াছ।
|
10. কারণ শ্রান্তিতে আমার জীবন ও দীর্ঘনিঃশ্বাসে আমার বয়স গেল, আমার অপরাধ প্রযুক্ত আমার শক্তি লোপ পাইতেছে, আর আমার অস্থি শীর্ণ হইল।
|
11. আমার সকল শত্রু হেতু আমি নিন্দাস্পদ, আমার প্রতিবাসীদের কাছে অতিশয় নিন্দাস্পদ, ও আমার পরিচিতদের কাছে ভয়ঙ্কর হইয়াছি; পথে আমাকে দেখিয়া লোকেরা পলায়ন করিয়াছে।
|
13. কেননা আমি অনেকের কৃত পরিবাদ শুনিয়াছি, চারিদিকেই ভয়; তাহারা আমার বিরুদ্ধে একত্র হইয়া মন্ত্রণা করিয়াছে। আমার প্রাণনাশ করিবার সঙ্কল্প করিয়াছে।
|
15. আমার সময় সকল তোমার হস্তে রহিয়াছে; আমার শত্রুগণের হস্ত হইতে, আমার তাড়নাকারিগণ হইতে, আমাকে উদ্ধার কর।
|
17. সদাপ্রভু, আমাকে লজ্জিত হইতে দিও না, কেননা আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; দুষ্টগণ লজ্জিত হউক, পাতালে নীরব হউক।
|
18. সেই মিথ্যাবাদী ওষ্ঠাধর সকল বোবা হউক, যাহারা ধার্ম্মিকের বিপক্ষে দর্পকথা কহে, অহঙ্কার ও তুচ্ছজ্ঞান সহকারে কহে।
|
19. আহা! তোমার দত্ত মঙ্গল কেমন মহৎ, যাহা তুমি তোমার ভয়কারীদের জন্য সঞ্চয় করিয়াছ, যাহা মনুষ্য-সন্তানদের সাক্ষাতে তোমার শরণাপন্নদের পক্ষে সাধন করিয়াছ।
|
20. তুমি মনুষ্যের কুমন্ত্রণা হইতে তাহাদিগকে আপন শ্রীমুখের অন্তরালে সঙ্গোপন করিবে, জিহ্বাসমূহের বিরোধ হইতে তাহাদিগকে আশ্রমের মধ্যে লুকাইয়া রাখিবে।
|
22. আমি অধৈর্য্য হেতু বলিয়াছিলাম, আমি তোমার নয়নগোচর হইতে বিচ্ছিন্ন, কিন্তু তোমার উদ্দেশে আর্ত্তনাদ করিলে তুমি আমার বিনতির রব শ্রবণ করিলে।
|
23. হে সদাপ্রভুর সমস্ত সাধু, তোমরা তাঁহাকে প্রেম কর; সদাপ্রভু বিশ্বস্তদিগকে রক্ষা করেন, কিন্তু গর্ব্বচারীকে অনেক প্রতিফল দেন।
|