1. আর এক দিন ঈশ্বরের পুত্রগণ সদাপ্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইবার জন্য উপস্থিত হইতে তাঁহাদের মধ্যে শয়তানও সদাপ্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইবার জন্য উপস্থিত হইল।
|
2. সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, তুমি কোথা হইতে আসিলে? শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর করিয়া কহিল, আমি পৃথিবী পর্য্যটন ও তথায় ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিয়া আসিলাম।
|
3. সদাপ্রভু শয়তানকে কহিলেন, আমার দাস ইয়োবের প্রতি কি তোমার মন পড়িয়াছে? কেননা তাহার তুল্য সিদ্ধ ও সরল, ঈশ্বরভয়শীল ও কুক্রিয়াত্যাগী লোক পৃথিবীতে কেহই নাই; সে এখনও আপন সিদ্ধতা রক্ষা করিতেছে, যদিও তুমি অকারণে তাহাকে বিনষ্ট করিতে আমাকে প্রবৃত্ত করিয়াছ।
|
5. কিন্তু তুমি এক বার হস্ত বিস্তার করিয়া তাহার অস্থি ও মাংস স্পর্শ কর, সে অবশ্য তোমার সম্মুখেই তোমাকে জলাঞ্জলি দিবে।
|
9. তখন তাঁহার স্ত্রী তাঁহাকে কহিলেন, তুমি কি এখনও তোমার সিদ্ধতা রক্ষা করিতেছ? ঈশ্বরকে জলাঞ্জলি দিয়া প্রাণত্যাগ কর।
|
10. কিন্তু তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তুমি একটা মূঢ়া স্ত্রীর মত কথা কহিতেছ। বল কি? আমরা ঈশ্বর হইতে কি মঙ্গলই গ্রহণ করিব, অমঙ্গল গ্রহণ করিব না? এই সকলেতে ইয়োব আপন ওষ্ঠাধরে পাপ করিলেন না।
|
11. পরে ইয়োবের প্রতি ঘটিত ঐ সকল বিপদের কথা তাঁহার তিন জন মিত্রের কর্ণগোচর হইলে তাঁহারা প্রত্যেকে আপন আপন স্থান হইতে আসিলেন; তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ ও নামাথীয় সোফর একপরামর্শ হইয়া তাঁহার সহিত শোক ও তাঁহাকে সান্ত্বনা করিবার জন্য তাঁহার নিকটে আগমন করিতে স্থির করিলেন।
|
12. পরে তাঁহারা দূর হইতে চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, কিন্তু তাঁহাকে চিনিতে পারিলেন না, তাহাতে তাঁহারা উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিলেন, এবং প্রত্যেকে আপন আপন বস্ত্র ছিঁড়িয়া আপন আপন মস্তকের উপরে আকাশের দিকে ধূলা ছড়াইতে লাগিলেন।
|
13. পরে সাত দিন ও সাত রাত্রি তাঁহার সহিত ভূমিতে বসিয়া থাকিলেন, তাঁহাকে কেহ কিছুই কহিলেন না; কারণ তাঁহারা দেখিলেন, তাঁহার যাতনা অতি কঠোর।
|