1. যে ব্যক্তি পরাৎপরের অন্তরালে থাকে, সে সর্ব্বশক্তিমানের ছায়াতে বসতি করে।
2. আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।
3. হাঁ, তিনিই তোমাকে ব্যাধের ফাঁদ হইতে, ও সর্ব্বনাশক মারী হইতে রক্ষা করিবেন।
4. তিনি আপন পালখে তোমাকে আবৃত করিবেন, তাঁহার পক্ষের নীচে তুমি আশ্রয় পাইবে; তাঁহার সত্য ঢাল ও তনুত্রাণস্বরূপ।
5. তুমি ভীত হইবে না—রাত্রির ত্রাস হইতে, দিবসে উড্ডীয়মান শর হইতে,
6. তিমির-বিহারী মারী হইতে, মধ্যাহ্নের সাংঘাতিক ব্যাধি হইতে।
7. পড়িবে তোমার পার্শ্বে সহস্র জন, তোমার দক্ষিণে দশ সহস্র জন, কিন্তু উহা তোমার নিকটে আসিবে না।
8. তুমি কেবল স্বচক্ষে নিরীক্ষণ করিবে, দুষ্টগণের প্রতিফল দেখিবে।
9. ‘হাঁ, সদাপ্রভু, তুমিই আমার আশ্রয়’। তুমি পরাৎপরকে আপনার বাসস্থান করিয়াছ;
10. তোমার কোন বিপদ ঘটিবে না, কোন উৎপাত তোমার তাম্বুর নিকটে আসিবে না।
11. কারণ তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, যেন তাঁহারা তোমার সমস্ত পথে তোমাকে রক্ষা করেন।
12. তাঁহারা তোমাকে হস্তে করিয়া তুলিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে।
13. তুমি সিংহ ও সর্পের উপর পা দিবে, তুমি যুবসিংহ ও নাগকে পদতলে দলিবে।
14. ‘সে আমাতে আসক্ত, তজ্জন্য আমি তাহাকে বাঁচাইব; আমি তাহাকে উচ্চে স্থাপন করিব, কারণ সে আমার নাম জ্ঞাত হইয়াছে।
15. সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
16. আমি দীর্ঘ আয়ু দিয়া তাহাকে তৃপ্ত করিব, আমার পরিত্রাণ তাহাকে দেখাইব।’