2. হ্যাঁ, সব দিক দিয়েই ইহুদীদের অনেক সুবিধা আছে৷ তাদের মধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই; ঈশ্বর তাঁর শিক্ষা প্রথমে ইহুদীদেরই দিয়েছিলেন৷
|
3. একথা ঠিক য়ে কিছু কিছু ইহুদী ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না, কিন্তু তাতে কি? তারা অবিশ্বস্ত হয়েছে বলে কি ঈশ্বরও অবিশ্বস্ত হবেন?
|
4. না, নিশ্চয়ইনয়! সব মানুষ মিথ্যাবাদী হলেও, ঈশ্বর সবসময়ই সত্য৷ শাস্ত্রে য়েমন বলে: ‘তুমি তোমার বাক্য়েই ন্যায়পরায়ণ প্রতিপন্ন হবে আর বিচারের সময় তোমার জয় হবেই৷’গীতসংহিতা 51:4
|
5. আমরা যখন অন্যায় করি তখন আরো স্পষ্টভাবে জানা যায় য়ে ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ৷ তবে আমরা কি বলব য়ে ঈশ্বর যখন আমাদের শাস্তি দেন তখন অন্যায় করেন? কারো কারো মনে য়েমন চিন্তা থাকে আমি সেই রকম বলছি৷
|
7. কেউ আবার বলতে পারেন, ‘যদি আমার মিথ্যার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ পায় তবে পাপী হিসেবে আমার বিচার কেন হয়?’
|
8. তাহলে একথা দাঁড়ায় য়ে, ‘এস আমরা মন্দ কিছু করি যাতে তার থেকে ভাল কিছু পাওয়া যায়৷’ অনেকে আমাদের সমালোচনা করে বলে য়ে আমরা নাকি এমনি শিক্ষা দিই৷ যাঁরা এমন কথা বলে তারা ভুল করছে এবং তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবেই৷
|
9. তাহলে কি আমরা ইহুদীরা অন্যদের থেকে ভাল? না কখনই না, কারণ আমরা এর আগেই বলেছি য়ে ইহুদী বা অইহুদী সকলেই সমান৷ তারা সকলেই পাপের শক্তির অধীন৷
|
13. ‘তাদের মুখ এক উন্মুক্ত কবর; জিভ দিয়ে তারা ছলনার কথা বলে৷’ গীতসংহিতা 5:9 ‘তাদের বাক্য়ে সাপের বিষ ঢালা৷’গীতসংহিতা 140:3
|
19. তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি য়ে বিধি-ব্যবস্থা যা কিছু বলে তা বিধি-ব্যবস্থার অধীন লোকদেরই বলে; তাই মানুষের আর অজুহাত দেখাবার কিছু নেই, তাদের মুখ বন্ধ৷ সমস্ত জগত, ইহুদী কি অইহুদী, ঈশ্বরের সামনে দোষী৷
|
20. কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালন করলেই য়ে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় তা নয়, বিধি-ব্যবস্থা কেবল পাপকে চিহ্নিত করে৷
|
21. কিন্তু এখন বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই ঈশ্বর লোকদের তাঁর সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার য়ে কাজ করেছেন তা প্রমাণিত হয়েছে৷ বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীরা এই নতুন পথের কথাই বলে গেছেন৷
|
22. যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস দ্বারাই মানুষ ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়৷ যাঁরাই খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের সবার জন্যই এই কাজ ঈশ্বর করেন, কারণ তাদের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই৷
|
24. কিন্তু তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহে বিনামূল্যে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তিলাভ করে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়েছে৷
|
25. ঈশ্বর যীশুকে উত্সর্গীকৃত বলিরূপে আমাদের কাছে দিলেন য়েন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করে, বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাদের পাপ সকল ক্ষমা হয়৷ ঈশ্বর এই কাজের মাধ্যমে দেখান য়ে তিনি সর্বদাই যা ন্যায় তাই করেন৷ অতীতেও তিনি সহিষ্ণুতা দেখিয়েছিলেন এবং লোকদের পাপ অনুযাযী শাস্তি দেন নি;
|
26. তাঁর পুত্র যীশুকে দান করে আজও তিনি দেখান য়ে তিনি ন্যায়বান৷ ঈশ্বর এই কাজ করেছেন যাতে তিনি বিচারে ন্যায়পরায়ণ থাকেন ও য়ে কেউ যীশুতে বিশ্বাস করে সেও ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়৷
|
27. সেজন্য গর্ব করার মত আমাদের কিছুই রইল না, কারণ বিধি-ব্যবস্থা পালনের দ্বারা নয়, বিশ্বাসের ব্যবস্থা দ্বারা গর্ব করার পথ রুদ্ধ হল৷
|
28. সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি মানুষ বিধি-ব্যবস্থা পালনের জন্য যা করে তার দ্বারা নয়, কিন্তু বিশ্বাসেই সে ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়৷
|
30. ঈশ্বর এক এবং একই উপায়ে সকলকে উদ্ধার করেন৷ তিনি ইহুদীদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন৷ আবার তিনি অইহুদীদের তাদের বিশ্বাসের মাধ্যমে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন৷
|
31. তবে বিশ্বাসের পথে চলে কি আমরা বিধি-ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিচ্ছি? কখনই না৷ বরং বিশ্বাসের পথে চলে আমরা বিধি-ব্যবস্থার যথার্থ উদ্দেশ্য তুলে ধরি৷
|