6. লোকেরা যখন ফিলিপের কথা শুনল এবং তিনি য়ে সব অলৌকিক কাজ করছিলেন তা দেখল, তখন তাঁর কথায় আরো মন দিল৷
|
7. অশুচি আত্মায় পাওয়া লোকদের মধ্য থেকে চিত্কার করতে করতে সেইসব অশুচি আত্মা বের হয়ে এল৷ অনেক পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোক ও খোঁড়া লোক সুস্থ হল৷
|
9. সেই শহরে শিমোন নামে একজন লোক ছিল৷ ফিলিপ সেই শহরে আসার আগে শিমোন বহুদিন ধরে সেই শহরে যাদুখেলা করত৷ এইভাবে সে শমরিয়ার লোকদের অবাক করে দিত৷ সে নিজেকে একজন মহাপুরুষ বলে জাহির করত৷
|
10. ছোট বড় সকলেই তার কথা মন দিয়ে শুনত৷ তারা বলত, ‘এই লোকের মধ্যে ঈশ্বরের সেই শক্তি আছে যাকে ‘মহাপরাক্রম’ ও বলা চলে৷’
|
12. কিন্তু ফিলিপ যখন তাদেরকে ঈশ্বরের সুসমাচার, তাঁর রাজ্য ও যীশু খ্রীষ্টের নামের বিষয় জানালেন, তখন স্ত্রী-পুরুষ সকলে ফিলিপকে বিশ্বাস করে বাপ্তিস্ম নিল৷
|
13. আর শিমোন নিজেও বিশ্বাস করল ও বাপ্তিস্ম নিল৷ বাপ্তাইজ হওয়ার পর সে ফিলিপের কাছে কাছে থাকতে লাগল, আর ফিলিপের দ্বারা অনেক অলৌকিক কাজ ও নানা পরাক্রম কাজ হচ্ছে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল৷
|
14. প্রেরিতেরা তখনও জেরুশালেমে ছিলেন, তাঁরা শুনতে পেলেন য়ে শমরিয়ায় লোকেরা ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও য়োহনকে সেখানে পাঠালেন৷
|
15. পিতর ও য়োহন এসে শমরিয়ায় খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করলেন য়েন তারা পবিত্র আত্মা লাভ করে;
|
16. কারণ এই লোকেরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজ হলেও তখনও পর্যন্ত তাদের কারোর ওপর পবিত্র আত্মা অবতরণ করেন নি৷
|
17. এইজন্য পিতর ও য়োহন প্রার্থনা করলেন; আর সেই দুই প্রেরিত, লোকদের মাথায় হাত রাখলে তারা পবিত্র আত্মা লাভ করল৷
|
18. শিমোন যখন দেখল য়ে, প্রেরিতদের হাত রাখার মাধ্যমে পবিত্র আত্মা লাভ হচ্ছে, তখন সে টাকা এনে তাদের বলল,
|
20. পিতর শিমোনকে বললেন, ‘তুমি ও তোমার টাকা চিরকালের মত ধ্বংস হয়ে যাক্! কারণ ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়ে কিনবে বলে ভেবেছ৷
|
21. এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তোমার কোন অধিকার বা অংশ নেই, কারণ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তোমার অন্তর মোটেই সরল নয়৷
|
22. তাই তুমি এই মন্দতা থেকে তোমার মন-ফিরাও! আর প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, হয়তো তোমার মনের এই মন্দচিন্তার জন্য ক্ষমা পেলেও পেতে পার৷
|
24. তখন শিমোন বলল, ‘আপনারাই আমার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন, য়েন আপনারা যা বললেন তার কিছুই আমার প্রতি না ঘটে!’
|
25. প্রেরিতেরা যীশুর বিষয়ে যা জানতেন, সে সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিয়ে ও প্রভুর বার্তা প্রচার করে জেরুশালেমে ফিরে চললেন, যাবার পথে তাঁরা শমরিয়ার বিভিন্ন গ্রামে সুসমাচার প্রচার করলেন৷
|
26. প্রভুর এক দূত ফিলিপকে বললেন, ‘প্রস্তুত হও, দক্ষিণে য়ে পথ জেরুশালেম থেকে ঘসার দিকে নেমে গেছে, সেই পথ ধরে নেমে যাও৷’
|
27. তখন ফিলিপ প্রস্তুত হয়ে সেই পথ ধরে রওনা দিলেন এবং সেই পথে একজন ইথিওপিয়ানকে দেখতে পেলেন, তিনি নপুংসক৷ তিনি ইথিওপিয়ার কান্দাকি রাণীর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন৷ ইনি জেরুশালেমে উপাসনা করতে গিয়েছিলেন৷
|
30. ফিলিপ দৌড়ে রথের কাছে গিয়ে শুনলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তক থেকে পড়ছেন৷ ফিলিপ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি যা পড়ছেন তা কি বুঝতে পারছেন?’
|
31. তিনি বললেন, ‘কি করে বুঝব? যদি বুঝিয়ে দেওয়ার কেউ না থাকে?’ আর তিনি ফিলিপকে রথে উঠে এসে তার কাছে বসতে বললেন৷
|
32. শাস্ত্রের য়ে অংশটি তিনি পাঠ করছিলেন তা হল: ‘হত হবার জন্য মেষের মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল৷ লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে ভেড়া য়েমন মুখ বুজে থাকে, তেমনি তিনি মুখ খোলেন নি৷
|
33. তাঁর হীন অবস্থায়, তাঁর ন্যায় অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হল৷ কেউ আর কখনও তাঁর বংশধরদের কথা বলবে না, কারণ পৃথিবীতে তাঁর জীবন সমাপ্ত হল৷’যিশাইয় 53:7-8
|
34. সেই কোষাধ্যক্ষ ফিলিপকে বললেন, ‘অনুগ্রহ করে বলুন, ভাববাদী কার বিষয়ে এই কথা বলছেন? তিনি কি তাঁর নিজের বিষয়ে বলছেন, অথবা অন্য কারো বিষয়ে?’
|
36. তাঁরা রাস্তা দিয়ে য়েতে য়েতে জলাশয়ের কাছে এসে হাজির হলে সেই নপুংসক বললেন, ‘দেখুন! এখানে জল আছে! বাপ্তাইজ হতে আমার বাধা কোথায়?’
|
39. তাঁরা যখন জলের মধ্য থেকে উঠলেন, তখন প্রভুর আত্মা ফিলিপকে সরিয়ে নিয়ে গেলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ তাকে আর দেখতে পেলেন না; কিন্তু আনন্দ করতে করতে তাঁর পথে এগিয়ে চললেন৷
|
40. ফিলিপ নিজেকে অস্দোদে দেখতে পেলেন, আর তিনি কৈসরিয়ার পথে রওনা হয়ে যাত্রা পথে সব নগরে সুসমাচার প্রচার করলেন৷
|