2. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে আদেশ কর, যেন তাহারা প্রত্যেক কুষ্ঠীকে, প্রত্যেক প্রমেহীকে ও মৃতের দ্বারা অশুচি প্রত্যেক জনকে শিবির হইতে বাহির করিয়া দেয়।
|
3. তোমরা পুরুষ ও স্ত্রীলোককে বাহির কর, তাহাদিগকে শিবির হইতে বাহির কর। উহাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি, তাহারা তাহা অশুচি না করুক।
|
4. তখন ইস্রায়েল-সন্তানগণ সেইরূপ কর্ম্ম করিল, তাহাদিগকে শিবিরের বাহির করিয়া দিল; সদাপ্রভু মোশিকে যেমন বলিয়াছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানগণ সেইরূপ করিল।
|
6. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বল, পুরুষ কিম্বা স্ত্রী হউক, যখন কেহ মনুষ্যদের মধ্যে চলিত কোন পাপ করিয়া সদাপ্রভুর কাছে সত্যলঙ্ঘন করে, আর সেই প্রাণী দণ্ডনীয় হয়, তখন সে যে পাপ করিয়াছে,
|
7. তাহা স্বীকার করিবে, ও আপন দোষপ্রযুক্ত তাহার মূল দ্রব্য ও তাহার পঞ্চমাংশের এক অংশ অধিক, যাহার বিরুদ্ধে দোষ করিয়াছে, তাহাকে দিবে।
|
8. কিন্তু যাহাকে দোষের পরিশোধ দেওয়া যাইতে পারে, এমন মুক্তিকর্ত্তা জ্ঞাতি যদি সেই ব্যক্তির না থাকে, তবে দোষের পরিশোধ সদাপ্রভুর উদ্দেশে যাজককে দিতে হইবে; তদ্ভিন্ন যদ্দ্বারা তাহার প্রায়শ্চিত্ত হয়, সেই প্রায়শ্চিত্তার্থক মেষও দিতে হইবে।
|
9. আর ইস্রায়েল-সন্তানগণ আপনাদের পবিত্র বস্তুর মধ্যে যত উত্তোলনীয় উপহার যাজকের কাছে আনে, সেই সকল তাহার হইবে।
|
10. যে পবিত্র বস্তু যাহা কর্ত্তৃক নিবেদিত হয়, তাহা তাহারই হইবে; কোন ব্যক্তি যে কোন বস্তু যাজককে দেয়, তাহা তাহার হইবে।
|
12. তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে কহ, তাহাদিগকে বল, কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি বিপথগামিনী হইয়া তাহার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করে,
|
13. সে যদি স্বামীর দৃষ্টির অগোচরে কোন পুরুষের সহিত সংসর্গ করিয়া গোপনে অশুচি হয়, ও তাহার বিপক্ষে কোন সাক্ষী না থাকে, ও সে ধরা না পড়ে;
|
14. এবং স্ত্রী অশুচি হইলে স্বামী যদি অন্তর্জ্বালাজনক আত্মার আবেশে তাহার প্রতি অন্তর্জ্বালাবিশিষ্ট হয়; অথবা স্ত্রী অশুচি না হইলেও যদি সে অন্তর্জ্বালাজনক আত্মার আবেশে তাহার প্রতি অন্তর্জ্বালাবিশিষ্ট হয়;
|
15. তবে সেই স্বামী আপন স্ত্রীকে যাজকের কাছে আনিবে, এবং তাহার নিমিত্তে তাহার উপহার, অর্থাৎ এক ঐফার দশমাংশ যবের সূজি আনিবে, কিন্তু তাহার উপরে তৈল ঢালিবে না ও কুন্দুরু দিবে না; কেননা তাহা অন্তর্জ্বালার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, স্মরণার্থক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, যদ্দ্বারা অপরাধ স্মরণ হয়।
|
18. পরে যাজক ঐ স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সম্মুখে উপস্থিত করিবে, ও তাহার মস্তকের চুল খুলিয়া দিয়া ঐ স্মরণার্থক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, অর্থাৎ অন্তর্জ্বালার ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, তাহার হস্তে দিবে; এবং যাজকের হস্তে শাপজনক তিক্ত জল থাকিবে।
|
19. আর যাজক ঐ স্ত্রীকে দিব্য করাইয়া বলিবে, কোন পুরুষ যদি তোমার সহিত শয়ন না করিয়া থাকে, এবং তুমি আপন স্বামীর অধীনা থাকিয়া থাক, ও বিপথ-গমনপূর্ব্বক যদি অশুচি ক্রিয়া না করিয়া থাক, তবে এই শাপজনক তিক্ত জল তোমাতে নিষ্ফল হউক।
|
20. কিন্তু তুমি আপন স্বামীর অধীনা হইয়াও যদি বিপথগামিনী হইয়া থাক, যদি অশুচি ক্রিয়া করিয়া থাক, ও তোমার স্বামী ভিন্ন অন্য কোন পুরুষ যদি তোমার সহিত শয়ন করিয়া থাকে—
|
21. তবে যাজক শাপজনক দিব্যে সেই স্ত্রীকে দিব্য করাইবে, ও যাজক সেই স্ত্রীকে বলিবে—সদাপ্রভু তোমার ঊরু অবশ ও তোমার উদর স্ফীত করিয়া তোমার লোকদের মধ্যে তোমাকে শাপের ও দিব্যের আস্পদ করিবেন;
|
22. আর এই শাপজনক জল তোমার উদরে প্রবেশ করিয়া তোমার উদর স্ফীত ও ঊরু অবশ করিবে। তখন সে স্ত্রীকে কহিবে, “আমেন, আমেন”।
|
24. পরে সেই শাপজনক তিক্ত জল ঐ স্ত্রীকে পান করাইবে; তাহাতে সেই শাপজনক জল তিক্তরূপে তাহার মধ্যে প্রবিষ্ট হইবে।
|
25. আর যাজক ঐ স্ত্রীর হস্ত হইতে সেই অন্তর্জ্বালার ভক্ষ্যনৈবেদ্য লইবে, এবং সেই ভক্ষ্য-নৈবেদ্য সদাপ্রভুর সম্মুখে দোলাইয়া বেদির উপরে উপস্থিত করিবে।
|
26. এবং যাজক তৎস্মরণার্থে সেই ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের এক মুষ্টি গ্রহণ করিয়া বেদির উপরে দগ্ধ করিবে, তৎপরে ঐ স্ত্রীকে সেই জল পান করাইবে।
|
27. আর সেই স্ত্রীকে জল পান করাইলে সে যদি আপন স্বামীর বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করিয়া অশুচি হইয়া থাকে, তবে সেই শাপজনক জল তাহার মধ্যে তিক্তরূপে প্রবিষ্ট হইবে, এবং তাহার উদর স্ফীত ও ঊরু অবশ হইয়া পড়িবে; এইরূপে সেই স্ত্রী আপন লোকদের মধ্যে শাপের আস্পদ হইবে।
|
30. কিম্বা স্বামী অন্তর্জ্বালাজনক আত্মার আবেশে আপন স্ত্রীর প্রতি অন্তর্জ্বালাবিশিষ্ট হইলে সে সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সম্মুখে উপস্থিত করিবে, এবং যাজক তদ্বিষয়ে এই সমস্ত ব্যবস্থা পালন করিবে।
|