পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
লুক
1. [1] যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হইয়া যর্দ্দন হইতে ফিরিয়া আসিলেন, এবং চল্লিশ দিন পর্য্যন্ত সেই আত্মার আবেশে প্রান্তর মধ্যে চালিত হইলেন,
2. আর দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হইলেন। সেই সকল দিন তিনি কিছুই আহার করেন নাই; পরে সেই সকল দিন শেষ হইলে ক্ষুধিত হইলেন।
3. তখন দিয়াবল তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এই পাথরখানিকে বল, যেন ইহা রুটী হইয়া যায়।
4. যীশু তাহাকে উত্তর করিলেন, লেখা আছে, “মনুষ্য কেবল রুটীতে বাঁচিবে না।”
5. পরে সে তাঁহাকে উপরে লইয়া গিয়া মুহূর্ত্তকাল মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাইল।
6. আর দিয়াবল তাঁহাকে বলিল, তোমাকেই আমি এই সমস্ত কর্ত্তৃত্ব ও এই সকলের প্রতাপ দিব; কেননা ইহা আমার কাছে সমর্পিত হইয়াছে, আর আমার যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দান করি;
7. অতএব তুমি যদি আমার সম্মুখে পড়িয়া প্রণাম কর, তবে এ সকলই তোমার হইবে।
8. যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে”।
9. আর সে তাঁহাকে যিরূশালেমে লইয়া গেল, ও ধর্ম্মধামের চূড়ার উপরে দাঁড় করাইল, এবং তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এ স্থান হইতে নীচে পড়;
10. কেননা লেখা আছে, ‘তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, যেন তাঁহারা তোমাকে রক্ষা করেন’;
11. আর ‘তাঁহারা তোমাকে হস্তে করিয়া তুলিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে।’
12. যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, উক্ত আছে, “তুমি আপন ঈশ্বর প্রভুর পরীক্ষা করিও না”।
13. আর সমস্ত পরীক্ষা সমাপন করিয়া দিয়াবল কিয়ৎকালের জন্য তাঁহার নিকট হইতে চলিয়া গেল।
14. তখন যীশু আত্মার পরাক্রমে গালীলে ফিরিয়া গেলেন, এবং তাঁহার কীর্ত্তি চারিদিকের সমুদয় অঞ্চলে ব্যাপিল।
15. আর তিনি তাহাদের সমাজ-গৃহে সমাজ-গৃহে উপদেশ দিয়া সকলের দ্বারা গৌরবান্বিত হইতে লাগিলেন।
16. আর তিনি যেখানে পালিত হইয়াছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হইলেন, এবং আপন রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন, ও পাঠ করিতে দাঁড়াইলেন।
17. তখন যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক তাঁহার হস্তে সমর্পিত হইল, আর তিনি পুস্তকখানি খুলিয়া সেই স্থান পাইলেন, যেখানে লেখা আছে,
18. “প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুর্দ্দান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,
19. প্রভুত প্রসন্নতার বৎসর ঘোষণা করিবার জন্য”।
20. পরে তিনি পুস্তকখানি বন্ধ করিয়া ভৃত্যের হস্তে দিয়া বসিলেন। তাহাতে সমাজ-গৃহে সকলের চক্ষু তাঁহার প্রতি স্থির হইয়া রহিল।
21. আর তিনি তাহাদিগকে বলিতে লাগিলেন, অদ্যই এই শাস্ত্রীয় বচন তোমাদের কর্ণগোচরে পূর্ণ হইল।
22. তাহাতে সকলে তাঁহার বিষয়ে সাক্ষ্য দিল, ও তাঁহার মুখনির্গত মধুর বাক্যে আশ্চর্য্য বোধ করিল; আর কহিল, এ কি যোষেফের পুত্র নহে?
23. তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা আমাকে অবশ্য এই প্রবাদবাক্য বলিবে, চিকিৎসক, আপনাকেই সুস্থ কর; কফরনাহূমে যাহা যাহা করা হইয়াছে শুনিয়াছি, এখানে এই স্বদেশেও কর।
24. তিনি আরও কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, কোন ভাববাদী স্বদেশে গ্রাহ্য হয় না।
25. আর আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এলিয়ের সময় যখন তিন বৎসর ছয় মাস পর্য্যন্ত আকাশ রুদ্ধ ছিল, ও সমুদয় দেশে মহা-দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইয়াছিল, তখন ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক বিধবা ছিল;
26. কিন্তু এলিয় তাহাদের কাহারও নিকটে প্রেরিত হন নাই, কেবল সীদোন দেশের সারিফতে এক বিধবা স্ত্রীলোকের নিকটে প্রেরিত হইয়াছিলেন।
27. আর ইলীশায় ভাববাদীর সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক কুষ্ঠী ছিল, কিন্তু তাহাদের কেহই শুচীকৃত হয় নাই, কেবল সুরীয় নামান হইয়াছিল।
28. এই কথা শুনিয়া সমাজ-গৃহে উপস্থিত লোকেরা সকলে ক্রোধে পূর্ণ হইল;
29. আর তাহারা উঠিয়া তাঁহাকে নগরের বাহিরে ঠেলিয়া লইয়া চলিল, এবং যে পর্ব্বতে তাহাদের নগর নির্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার অগ্রভাগ পর্য্যন্ত লইয়া গেল, যেন তাঁহাকে নীচে ফেলিয়া দিতে পারে।
30. কিন্তু তিনি তাহাদের মধ্য দিয়া হাঁটিয়া চলিয়া গেলেন।
31. পরে তিনি গালীলের কফরনাহূম নগরে নামিয়া আসিলেন। আর তিনি বিশ্রামবারে লোকদিগকে উপদেশ দিতে লাগিলেন;
32. এবং লোকেরা তাঁহার উপদেশে চমৎকৃত হইল; কারণ তাঁহার বাক্য ক্ষমতা যুক্ত ছিল।
33. তখন ঐ সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাহাকে অশুচি ভূতের আত্মায় পাইয়াছিল;
34. সে উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, আহা, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি, আপনি কে, ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
35. তখন যীশু তাহাকে ধম্‌কাইয়া কহিলেন, চুপ কর, এবং উহা হইতে বাহির হও, তখন সেই ভূত তাহাকে মাঝখানে ফেলিয়া দিয়া তাহা হইতে বাহির হইয়া গেল, তাহার কোন হানি করিল না।
36. তখন সকলে চমৎকৃত হইল, এবং পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, এ কেমন কথা? ইনি ক্ষমতায় ও পরাক্রমে অশুচি আত্মাদিগকে আজ্ঞা করেন, আর তাহারা বাহির হইয়া যায়।
37. পরে চারিদিকের অঞ্চলের সর্ব্বত্র তাঁহার কীর্ত্তি ব্যাপিল।
38. পরে তিনি সমাজ-গৃহ হইতে উঠিয়া শিমোনের বাটীতে প্রবেশ করিলেন; তখন শিমোনের শাশুড়ী ভারী জ্বরে পীড়িতা ছিলেন, তাই তাঁহারা তাঁহার নিমিত্তে তাঁহাকে বিনতি করিলেন।
39. তখন তিনি তাঁহার নিকটে দাঁড়াইয়া জ্বরকে ধমক্‌ দিলেন, তাহাতে তাঁহার জ্বর ছাড়িয়া গেল; আর তিনি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাঁহাদের পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন।
40. পরে সূর্য্য অস্ত যাইবার সময়ে, নানা রোগে রোগী যাহাদের ছিল, তাহারা সকলে তাহাদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল; আর তিনি প্রত্যেক জনের উপরে হস্তার্পণ করিয়া তাহাদিগকে সুস্থ করিলেন।
41. আর অনেক লোক হইতে ভূতও বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্‌ দিয়া কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
42. পরে প্রভাত হইলে তিনি বাহির হইয়া কোন নির্জ্জন স্থানে গমন করিলেন; আর লোকেরা তাঁহার অন্বেষণ করিল, এবং তাঁহার নিকটে আসিয়া তাঁহাকে নিবারণ করিতে চাহিল, যেন তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া না যান।
43. কিন্তু তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, অন্য অন্য নগরেও আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।
44. পরে তিনি যিহূদিয়ার নানা সমাজ-গৃহে প্রচার করিতে লাগিলেন।

Notes

No Verse Added

Total 24 Chapters, Current Chapter 4 of Total Chapters 24
লুক 4
1. 1 যীশু পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হইয়া যর্দ্দন হইতে ফিরিয়া আসিলেন, এবং চল্লিশ দিন পর্য্যন্ত সেই আত্মার আবেশে প্রান্তর মধ্যে চালিত হইলেন,
2. আর দিয়াবল দ্বারা পরীক্ষিত হইলেন। সেই সকল দিন তিনি কিছুই আহার করেন নাই; পরে সেই সকল দিন শেষ হইলে ক্ষুধিত হইলেন।
3. তখন দিয়াবল তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে এই পাথরখানিকে বল, যেন ইহা রুটী হইয়া যায়।
4. যীশু তাহাকে উত্তর করিলেন, লেখা আছে, “মনুষ্য কেবল রুটীতে বাঁচিবে না।”
5. পরে সে তাঁহাকে উপরে লইয়া গিয়া মুহূর্ত্তকাল মধ্যে জগতের সমস্ত রাজ্য দেখাইল।
6. আর দিয়াবল তাঁহাকে বলিল, তোমাকেই আমি এই সমস্ত কর্ত্তৃত্ব এই সকলের প্রতাপ দিব; কেননা ইহা আমার কাছে সমর্পিত হইয়াছে, আর আমার যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দান করি;
7. অতএব তুমি যদি আমার সম্মুখে পড়িয়া প্রণাম কর, তবে সকলই তোমার হইবে।
8. যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে”।
9. আর সে তাঁহাকে যিরূশালেমে লইয়া গেল, ধর্ম্মধামের চূড়ার উপরে দাঁড় করাইল, এবং তাঁহাকে কহিল, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, তবে স্থান হইতে নীচে পড়;
10. কেননা লেখা আছে, ‘তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, যেন তাঁহারা তোমাকে রক্ষা করেন’;
11. আর ‘তাঁহারা তোমাকে হস্তে করিয়া তুলিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে।’
12. যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, উক্ত আছে, “তুমি আপন ঈশ্বর প্রভুর পরীক্ষা করিও না”।
13. আর সমস্ত পরীক্ষা সমাপন করিয়া দিয়াবল কিয়ৎকালের জন্য তাঁহার নিকট হইতে চলিয়া গেল।
14. তখন যীশু আত্মার পরাক্রমে গালীলে ফিরিয়া গেলেন, এবং তাঁহার কীর্ত্তি চারিদিকের সমুদয় অঞ্চলে ব্যাপিল।
15. আর তিনি তাহাদের সমাজ-গৃহে সমাজ-গৃহে উপদেশ দিয়া সকলের দ্বারা গৌরবান্বিত হইতে লাগিলেন।
16. আর তিনি যেখানে পালিত হইয়াছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হইলেন, এবং আপন রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন, পাঠ করিতে দাঁড়াইলেন।
17. তখন যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক তাঁহার হস্তে সমর্পিত হইল, আর তিনি পুস্তকখানি খুলিয়া সেই স্থান পাইলেন, যেখানে লেখা আছে,
18. “প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুর্দ্দান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,
19. প্রভুত প্রসন্নতার বৎসর ঘোষণা করিবার জন্য”।
20. পরে তিনি পুস্তকখানি বন্ধ করিয়া ভৃত্যের হস্তে দিয়া বসিলেন। তাহাতে সমাজ-গৃহে সকলের চক্ষু তাঁহার প্রতি স্থির হইয়া রহিল।
21. আর তিনি তাহাদিগকে বলিতে লাগিলেন, অদ্যই এই শাস্ত্রীয় বচন তোমাদের কর্ণগোচরে পূর্ণ হইল।
22. তাহাতে সকলে তাঁহার বিষয়ে সাক্ষ্য দিল, তাঁহার মুখনির্গত মধুর বাক্যে আশ্চর্য্য বোধ করিল; আর কহিল, কি যোষেফের পুত্র নহে?
23. তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা আমাকে অবশ্য এই প্রবাদবাক্য বলিবে, চিকিৎসক, আপনাকেই সুস্থ কর; কফরনাহূমে যাহা যাহা করা হইয়াছে শুনিয়াছি, এখানে এই স্বদেশেও কর।
24. তিনি আরও কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, কোন ভাববাদী স্বদেশে গ্রাহ্য হয় না।
25. আর আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এলিয়ের সময় যখন তিন বৎসর ছয় মাস পর্য্যন্ত আকাশ রুদ্ধ ছিল, সমুদয় দেশে মহা-দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইয়াছিল, তখন ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক বিধবা ছিল;
26. কিন্তু এলিয় তাহাদের কাহারও নিকটে প্রেরিত হন নাই, কেবল সীদোন দেশের সারিফতে এক বিধবা স্ত্রীলোকের নিকটে প্রেরিত হইয়াছিলেন।
27. আর ইলীশায় ভাববাদীর সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে অনেক কুষ্ঠী ছিল, কিন্তু তাহাদের কেহই শুচীকৃত হয় নাই, কেবল সুরীয় নামান হইয়াছিল।
28. এই কথা শুনিয়া সমাজ-গৃহে উপস্থিত লোকেরা সকলে ক্রোধে পূর্ণ হইল;
29. আর তাহারা উঠিয়া তাঁহাকে নগরের বাহিরে ঠেলিয়া লইয়া চলিল, এবং যে পর্ব্বতে তাহাদের নগর নির্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার অগ্রভাগ পর্য্যন্ত লইয়া গেল, যেন তাঁহাকে নীচে ফেলিয়া দিতে পারে।
30. কিন্তু তিনি তাহাদের মধ্য দিয়া হাঁটিয়া চলিয়া গেলেন।
31. পরে তিনি গালীলের কফরনাহূম নগরে নামিয়া আসিলেন। আর তিনি বিশ্রামবারে লোকদিগকে উপদেশ দিতে লাগিলেন;
32. এবং লোকেরা তাঁহার উপদেশে চমৎকৃত হইল; কারণ তাঁহার বাক্য ক্ষমতা যুক্ত ছিল।
33. তখন সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাহাকে অশুচি ভূতের আত্মায় পাইয়াছিল;
34. সে উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, আহা, হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি, আপনি কে, ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
35. তখন যীশু তাহাকে ধম্‌কাইয়া কহিলেন, চুপ কর, এবং উহা হইতে বাহির হও, তখন সেই ভূত তাহাকে মাঝখানে ফেলিয়া দিয়া তাহা হইতে বাহির হইয়া গেল, তাহার কোন হানি করিল না।
36. তখন সকলে চমৎকৃত হইল, এবং পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিল, কেমন কথা? ইনি ক্ষমতায় পরাক্রমে অশুচি আত্মাদিগকে আজ্ঞা করেন, আর তাহারা বাহির হইয়া যায়।
37. পরে চারিদিকের অঞ্চলের সর্ব্বত্র তাঁহার কীর্ত্তি ব্যাপিল।
38. পরে তিনি সমাজ-গৃহ হইতে উঠিয়া শিমোনের বাটীতে প্রবেশ করিলেন; তখন শিমোনের শাশুড়ী ভারী জ্বরে পীড়িতা ছিলেন, তাই তাঁহারা তাঁহার নিমিত্তে তাঁহাকে বিনতি করিলেন।
39. তখন তিনি তাঁহার নিকটে দাঁড়াইয়া জ্বরকে ধমক্‌ দিলেন, তাহাতে তাঁহার জ্বর ছাড়িয়া গেল; আর তিনি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাঁহাদের পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন।
40. পরে সূর্য্য অস্ত যাইবার সময়ে, নানা রোগে রোগী যাহাদের ছিল, তাহারা সকলে তাহাদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল; আর তিনি প্রত্যেক জনের উপরে হস্তার্পণ করিয়া তাহাদিগকে সুস্থ করিলেন।
41. আর অনেক লোক হইতে ভূতও বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্‌ দিয়া কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
42. পরে প্রভাত হইলে তিনি বাহির হইয়া কোন নির্জ্জন স্থানে গমন করিলেন; আর লোকেরা তাঁহার অন্বেষণ করিল, এবং তাঁহার নিকটে আসিয়া তাঁহাকে নিবারণ করিতে চাহিল, যেন তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া না যান।
43. কিন্তু তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, অন্য অন্য নগরেও আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।
44. পরে তিনি যিহূদিয়ার নানা সমাজ-গৃহে প্রচার করিতে লাগিলেন।
Total 24 Chapters, Current Chapter 4 of Total Chapters 24
×

Alert

×

bengali Letters Keypad References