1. তোমরা আপনাদের জন্য অবস্তু প্রতিমা নির্ম্মাণ করিও না, এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিম্বা স্তম্ভ স্থাপন করিও না, ও তাহার কাছে প্রণিপাত করিবার নিমিত্তে তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রাখিও না; কেননা আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
|
4. তবে আমি যথাকালে তোমাদিগকে বৃষ্টি দান করিব; তাহাতে ভূমি শস্য উৎপন্ন করিবে, ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সকল স্ব স্ব ফল দিবে।
|
5. তোমাদের শস্যমর্দ্দনকাল দ্রাক্ষাচয়নকাল পর্য্যন্ত থাকিবে, ও দ্রাক্ষাচয়নকাল বীজবপনকাল পর্য্যন্ত থাকিবে; এবং তোমরা তৃপ্তি পর্য্যন্ত অন্ন ভোজন করিবে, ও নিরাপদে নিজ দেশে বাস করিবে।
|
6. আর আমি দেশে শান্তি প্রদান করিব; তোমরা শয়ন করিলে কেহ তোমাদিগকে ভয় দেখাইবে না; এবং আমি তোমাদের দেশ হইতে হিংস্র জন্তুদিগকে দূর করিয়া দিব; ও তোমাদের দেশে খড়গ ভ্রমণ করিবে না।
|
8. আর তোমাদের পাঁচ জন তাহাদের এক শত জনকে তাড়াইয়া দিবে, তোমাদের এক শত জন দশ সহস্র লোককে তাড়াইয়া দিবে, এবং তোমাদের শত্রুগণ তোমাদের সম্মুখে খড়েগ পতিত হইবে।
|
9. আর আমি তোমাদের প্রতি প্রসন্নবদন হইব, তোমাদিগকে ফলবন্ত ও বহুবংশ করিব, ও তোমাদের সহিত আমার নিয়ম স্থির করিব।
|
13. আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, আমি মিসর দেশ হইতে তোমাদিগকে বাহির করিয়া আনিয়াছি, তাহাদের দাস থাকিতে দিই নাই; আমি তোমাদের যোঁয়ালি-কাষ্ঠ ভাঙ্গিয়া সোজা ভাবে তোমাদিগকে গমন করাইয়াছি।
|
15. যদি আমার বিধি অগ্রাহ্য কর, ও তোমাদের প্রাণ আমার শাসন সকল ঘৃণা করে, এইরূপে তোমরা আমার আজ্ঞা পালন না করিয়া আমার নিয়ম ভঙ্গ কর, তবে আমিও তোমাদের প্রতি এই ব্যবহার করিব;
|
16. তোমাদের জন্য বিহ্বলতা, যক্ষ্মা ও কম্পজ্বর নিরূপণ করিব, যাহাতে তোমাদের চক্ষু ক্ষীণ হইয়া পড়িবে, ও প্রাণ ব্যথা পাইবে, এবং তোমাদের বীজ বপন বৃথা হইবে, কেননা তোমাদের শত্রুগণ তাহা ভক্ষণ করিবে।
|
17. আর আমি তোমাদের প্রতি বিমুখ হইব; তাহাতে তোমরা আপন শত্রুগণের সম্মুখে আহত হইবে; যাহারা তোমাদিগকে দ্বেষ করে, তাহারা তোমাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করিবে, এবং কেহ তোমাদিগকে না তাড়াইলেও তোমরা পলায়ন করিবে।
|
18. আর যদি তোমরা ইহাতেও আমার বাক্যে মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের পাপপ্রযুক্ত তোমাদিগকে সাত গুণ অধিক শাস্তি দিব।
|
20. তাহাতে তোমাদের বল নিরর্থক নিঃশেষিত হইবে, কেননা তোমাদের ভূমি শস্য উৎপন্ন করিবে না, ও দেশস্থ বৃক্ষ সকল স্ব স্ব ফল দিবে না।
|
21. আর যদি তোমরা আমার বিপরীত আচরণ কর, ও আমার কথা শুনিতে না চাও, তবে আমি তোমাদের পাপানুসারে তোমাদিগকে আরও সাত গুণ আঘাত করিব।
|
22. আর তোমাদের মধ্যে বনপশু পাঠাইব; তাহারা তোমাদের সন্তান হরণ করিবে, তোমাদের পশুপাল বিনষ্ট করিবে; তোমাদিগকে সংখ্যায় ন্যূন করিবে; আর তোমাদের রাজপথ সকল ধ্বংসিত হইবে।
|
25. আমি নিয়মলঙ্ঘনের প্রতিফল দিবার জন্য তোমাদের উপরে খড়গ আনিব, তোমরা আপন আপন নগরমধ্যে একত্রীভূত হইবে, আমি তোমাদের মধ্য মহামারী পাঠাইব, এবং তোমরা শত্রুহস্তে সমর্পিত হইবে।
|
26. আমি তোমাদের অন্নরূপ যষ্টি ভাঙ্গিলে দশ জন স্ত্রীলোক এক তুন্দুরে তোমাদের রুটী পাক করিবে, ও তোমাদের রুটী তৌল করিয়া তোমাদিগকে দিবে, কিন্তু তোমরা তাহা খাইয়া তৃপ্ত হইবে না।
|
28. তবে আমি ক্রোধে তোমাদের বিপরীত আচরণ করিব, এবং আমিই তোমাদের পাপপ্রযুক্ত তোমাদিগকে সাত গুণ শাস্তি দিব।
|
30. আর আমি তোমাদের উচ্চস্থল সকল ভগ্ন করিব, তোমাদের সূর্য্যপ্রতিমা সকল নষ্ট করিব, ও তোমাদের পুত্তলিকাদের শবের উপরে তোমাদের শব ফেলিয়া দিব; এবং আমার প্রাণ তোমাদিগকে ঘৃণা করিবে।
|
31. আর আমি তোমাদের নগর সকল উৎসন্ন করিব, তোমাদের ধর্ম্মধাম সকল ধ্বংস করিব, ও তোমাদের সৌরভের আঘ্রাণ লইব না।
|
33. আর আমি তোমাদিগকে জাতিগণের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করিব, ও তোমাদের পশ্চাতে খড়গ নিষ্কোষ করিব, তাহাতে তোমাদের দেশ সকল ধ্বংসস্থান ও তোমাদের নগর সকল উৎসন্ন হইবে।
|
34. তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকিবে ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করিবে, তত দিন ভূমি স্বীয় বিশ্রামকাল ভোগ করিবে; তৎকালে ভূমি বিশ্রাম পাইবে, ও স্বীয় বিশ্রামকাল ভোগ করিবে।
|
35. যত কাল দেশ ধ্বংসস্থান হইয়া থাকিবে, তত কাল বিশ্রাম করিবে; কেননা যখন তোমরা দেশে বাস করিতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করিত না।
|
36. আর তোমাদের মধ্যে যাহারা অবশিষ্ট থাকিবে, আমি শত্রুদেশে তাহাদের হৃদয়ে বিষণ্ণতা প্রেরণ করিব, এবং চালিত পত্রের শব্দ তাহাদিগকে তাড়াইয়া লইয়া যাইবে; লোকে যেমন খড়েগর মুখ হইতে পলায়, তাহারা তদ্রূপ পলাইবে, এবং কেহ না তাড়াইলেও পতিত হইবে।
|
37. কেহ না তাড়াইলেও তাহারা যেমন খড়েগর সম্মুখে, তেমনি এক জন অন্যের উপরে পতিত হইবে; এবং শত্রুদের সম্মুখে দাঁড়াইতে তোমাদের ক্ষমতা হইবে না।
|
39. আর তোমাদের মধ্যে যাহারা অবশিষ্ট থাকিবে, তাহারা আপন আপন অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় পাইবে; এবং আপনাদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাহাদের সহিত ক্ষয় পাইবে।
|
40. আর তাহাদিগকে স্বীকার করিতে হইবে যে, আমার বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন এবং আমার বিপরীত আচরণ করাতে তাহাদের অপরাধ ও তাহাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ হইয়াছে,
|
41. এবং আমিও তাহাদের বিপরীত আচরণ করিয়াছি, আর তাহাদিগকে শত্রুদেশে আনিয়াছি। তখন যদি তাহাদের অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় নম্র হয়, ও তাহারা আপন আপন অপরাধের দণ্ড গ্রাহ্য করে,
|
42. তবে আমি যাকোবের সহিত কৃত আমার নিয়ম স্মরণ করিব, এবং ইস্হাকের সহিত কৃত আমার নিয়ম ও অব্রাহামের সহিত কৃত আমার নিয়মও স্মরণ করিব, আর দেশকেও স্মরণ করিব।
|
43. দেশও তাহাদের কর্ত্তৃত্ব পরিত্যক্ত থাকিবে, ও তাহাদের অবর্ত্তমানে ধ্বংসস্থান হইয়া আপন বিশ্রাম ভোগ করিবে, এবং তাহারা আপনাদের অপরাধের দণ্ড গ্রাহ্য করিবে; কারণ এই যে, তাহারা আমার শাসন অগ্রাহ্য করিত ও তাহাদের প্রাণ আমার বিধি ঘৃণা করিত।
|
44. তথাপি যখন তাহারা শত্রুদের দেশে থাকিবে, তখন আমি নিঃশেষে বিনাশ জন্য কিম্বা তাহাদের সহিত আমার নিয়ম ভঙ্গ করণার্থে তাহাদিগকে অগ্রাহ্য করিব না, এবং ঘৃণাও করিব না; কেননা আমি সদাপ্রভু তাহাদের ঈশ্বর।
|
45. আর আমি তাহাদের ঈশ্বর হইবার জন্য যাহাদিগকে জাতিগণের সাক্ষাতে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছি, তাহাদের সেই পিতৃপুরুষদের সহিত কৃত আমার নিয়ম তাহাদের জন্য স্মরণ করিব; আমি সদাপ্রভু।
|
46. সীনয় পর্ব্বতে সদাপ্রভু মোশির-হস্ত দ্বারা আপনার ও ইস্রায়েল-সন্তানগেণর মধ্যে এই সকল বিধি, শাসন ও ব্যবস্থা স্থির করিলেন।
|