2. বল, তোমার মাতা কি ছিল? সে ত সিংহী ছিল; সিংহগণের মধ্যে শয়ন করিত, যুবসিংহদের মধ্যে আপন বৎসদিগকে প্রতিপালন করিত।
|
3. তাহার প্রতিপালিত এক বৎস যুবসিংহ হইয়া উঠিল, সে মৃগ বিদারণ করিতে শিখিল, মনুষ্যদিগকে গ্রাস করিতে লাগিল।
|
4. জাতিগণও তাহার বিষয় শুনিতে পাইল; সে তাহাদের গর্ত্তে ধরা পড়িল; আর তাহারা তাহার নাক ফুঁড়িয়া মিসর দেশে লইয়া গেল।
|
5. সেই সিংহী যখন দেখিল, সে প্রতীক্ষা করিয়াছিল, কিন্তু তাহার প্রত্যাশা বিনষ্ট হইল, তখন আপনার আর একটা শাবককে লইয়া যুবসিংহ করিয়া তুলিল।
|
6. পরে সে সিংহদের সঙ্গে গতায়াত করিতে করিতে যুবসিংহ হইয়া উঠিল, সে মৃগ বিদারণ করিতে শিখিল, মনুষ্যদিগকে গ্রাস করিতে লাগিল।
|
7. সে তাহাদের অট্টালিকা সকল জ্ঞাত ছিল; তাহাদের নগর সকল উৎসন্ন করিল; তাহার গর্জ্জনের শব্দে দেশ ও তাহার সমস্তই স্তম্ভিত হইল।
|
8. তখন চারিদিকের জাতিগণ নানা প্রদেশ হইতে তাহার বিপক্ষে দাঁড়াইল, তাহার উপরে আপনাদের জাল পাতিল; সে তাহাদের গর্ত্তে ধরা পড়িল।
|
9. তাহারা তাহার নাক ফুঁড়িয়া পিঞ্জরে রাখিল, তাহাকে বাবিল-রাজের নিকটে লইয়া গেল; ইস্রায়েলের কোন পর্ব্বতে যেন তাহার হূঙ্কার আর শুনিতে পাওয়া না যায়, তাই তাহাকে দুর্গের মধ্যে রাখিল।
|
10. তোমার রক্তে তোমার মাতা জলরাশির নিকটে রোপিত দ্রাক্ষালতাস্বরূপ ছিল, সে অনেক জল প্রযুক্ত ফলবান ও শাখায় পূর্ণ হইল।
|
11. আর তাহার শাখাদণ্ড দৃঢ় ও কর্ত্তৃত্বকারীদের রাজদণ্ড হইবার যোগ্য হইল; সে দীর্ঘতায় মেঘস্পর্শী, এবং উচ্চতায় ও শাখাবাহুল্যে বিরাজমান হইল।
|
12. কিন্তু সে কোপে উৎপাটিত হইল, ভূমিতে নিক্ষিপ্ত হইল; পূর্ব্বীয় বায়ুতে তাহার ফল শুষ্ক হইয়া পড়িল; তাহার দৃঢ় শাখা সকল ভগ্ন ও শুষ্ক হইল, অগ্নি সেগুলি গ্রাস করিল।
|
14. তাহার শাখাদণ্ড হইতে অগ্নি নির্গত হইয়া তাহার ফল গ্রাস করিয়াছে; রাজদণ্ডের জন্য একটী দৃঢ় শাখাও তাহাতে নাই। এ বিলাপ, এবং ইহা বিলাপের জন্য থাকিবে।
|