1. ইস্রায়েলের পুত্রগণ, যাঁহারা মিসর দেশে গিয়াছিলেন, সপরিবারে যাকোবের সহিত গিয়াছিলেন, তাঁহাদের নাম এই এই;
|
7. আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা ফলবন্ত, অতি বর্দ্ধিষ্ণু ও বহুবংশ হইয়া উঠিল, ও অতিশয় প্রবল হইল এবং তাহাদের দ্বারা দেশ পরিপূর্ণ হইল।
|
10. আইস, আমরা তাহাদের সহিত বিবেচনাপূর্ব্বক ব্যবহার করি, পাছে তাহারা বাড়িয়া উঠে, এবং যুদ্ধ উপস্থিত হইলে তাহারাও শত্রুপক্ষে যোগ দিয়া আমাদের সহিত যুদ্ধ করে, এবং এ দেশ হইতে প্রস্থান করে।
|
11. অতএব তাহারা ভার বহন দ্বারা উহাদিগকে দুঃখ দিবার জন্য উহাদের উপরে কার্য্যশাসকদিগকে নিযুক্ত করিল। আর উহারা ফরৌণের নিমিত্ত ভাণ্ডারের নগর পিথোম ও রামিষেষ গাঁথিল।
|
12. কিন্তু উহারা তাহাদের দ্বারা যত দুঃখ পাইল, ততই বৃদ্ধি পাইতে ও ব্যাপ্ত হইতে লাগিল; তাই ইস্রায়েল-সন্তানদের বিষয়ে তাহারা অতিশয় উদ্বিগ্ন হইল।
|
14. তাহারা কর্দ্দম, ইষ্টক ও ক্ষেত্রের সমস্ত কার্য্যে কঠিন দাস্যকর্ম্ম দ্বারা উহাদের প্রাণ তিক্ত করিতে লাগিল। তাহারা উহাদের দ্বারা যে যে দাস্যকর্ম্ম করাইত, সে সমস্ত নির্দ্দয়তাপূর্ব্বক করাইত।
|
16. যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীলোকদের ধাত্রীকার্য্য করিবে, ও তাহাদিগকে প্রসব-আধারে দেখিবে, যদি পুত্র সন্তান হয়, তাহাকে বধ করিবে; আর যদি কন্যা হয়, তাহাকে জীবিত রাখিবে।
|
17. কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করিত, সুতরাং মিসর-রাজের আজ্ঞানুসারে না করিয়া পুত্রসন্তানদিগকে জীবিত রাখিত।
|
18. তাই মিসর রাজ সেই ধাত্রীদিগকে ডাকাইয়া কহিলেন, এ কর্ম্ম কেন করিয়াছ? পুত্রসন্তানগণকে কেন জীবিত রাখিয়াছ?
|
19. ধাত্রীরা ফরৌণকে উত্তর করিল, ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা মিস্রীয় স্ত্রীলোকদের ন্যায় নহে; তাহারা বলবতী, তাহাদের কাছে ধাত্রী যাইবার পূর্ব্বেই তাহারা প্রসব হয়।
|
22. পরে ফরৌণ আপনার সকল প্রজাকে এই আজ্ঞা দিলেন, তোমরা ইব্রীয়দের নবজাত প্রত্যেক পুত্রসন্তানকে নদীতে নিক্ষেপ করিবে, কিন্তু প্রত্যেক কন্যাকে জীবিত রাখিবে।
|