1. মৃত মক্ষিকাদের দ্বারা বণিকের সুগন্ধি তৈল দুগর্ন্ধ হয় ও মাতিয়া উঠে; প্রজ্ঞা ও সম্মান অপেক্ষা যৎকিঞ্চিৎ অজ্ঞানতা গুরুভার।
2. জ্ঞানবানের হৃদয় তাহার দক্ষিণে, কিন্তু হীনবুদ্ধির হৃদয় তাহার বামে থাকে।
3. আবার পথে চলিবার সময়েও অজ্ঞানের হৃদয় শূন্য, আর সে প্রত্যেক জনকে বলে যে, সে অজ্ঞান।
4. যদ্যপি তোমার উপরে শাসনকর্ত্তার মনে বিরুদ্ধ ভাব জন্মে, তথাপি তোমার স্থান ছাড়িও না, কেননা শান্তভাব বড় বড় পাপ ক্ষান্ত করে।
5. আমি সূর্য্যের নীচে এক মন্দ বিষয় দেখিয়াছি, তাহা শাসনকর্ত্তার সম্মুখে উৎপন্ন ভ্রমের ন্যায় দেখায়;
6. অজ্ঞানতা অতি উচ্চপদে স্থাপিত হয়, এবং ধনবানেরা নীচ পদে বসে।
7. আমি দাসদিগকে ঘোড়ার উপরে, এবং অধিপতিদিগকে দাসের ন্যায় পায়ে হাঁটিয়া চলিতে দেখিয়াছি।
8. যে খাত খনন করে, সে তাহার মধ্যে পড়িবে; ও যে ব্যক্তি বেড়া ভাঙ্গিয়া ফেলে, সর্পে তাহাকে কামড়াইবে।
9. যে ব্যক্তি প্রস্তর সরায়, সে তাহাতেই ব্যথা পাইবে; ও যে ব্যক্তি কাষ্ঠ চিরে, সে তাহাতে বিপদ্গ্রস্ত হইবে।
10. লৌহ ভোঁতা হইলে ও তাহাতে ধার না দিলে তাহা চালাইতে অধিক বল লাগে, কিন্তু প্রজ্ঞাই কৃতকার্য্য হইবার উপযুক্ত উপায়।
11. মন্ত্রমুগ্ধ হইবার পূর্ব্বে যদি সর্পে দংশন করে, তবে মন্ত্রপাঠকের দ্বারা কিছু ফল নাই।
12. জ্ঞানবানের মুখনির্গত বাক্য অনুগ্রহজনক, কিন্তু হীনবুদ্ধির নিজ ওষ্ঠ তাহাকে গ্রাস করে।
13. তাহার মুখনির্গত কথার আরম্ভই অজ্ঞানতা, ও তাহার মুখের শেষফল দুঃখদায়ক প্রলাপ।
14. অজ্ঞান লোক অনেক কথা কহে; কিন্তু কি হইবে, তাহা মনুষ্য জানে না; এবং তাহার পরে কি হইবে, তাহা তাহাকে কে জানাইতে পারে?
15. হীনবুদ্ধি লোকের পরিশ্রম তাহাকে ক্লান্ত করে, কেননা নগরে কিরূপে যাইতে হয়, তাহা সে জানে না।
16. হে দেশ, ধিক্ তোমাকে, যদি তোমার রাজা বালক হন, ও তোমার অধ্যক্ষগণ যদি প্রত্যূষে ভোজন করেন।
17. হে দেশ, ধন্য তুমি, যদি কুলীন-পুত্র তোমার রাজা হন, এবং তোমার অধ্যক্ষগণ উপযুক্ত সময়ে ভোজন করেন, বলবৃদ্ধির নিমিত্ত, মত্ততার নিমিত্ত নয়।
18. আলস্য দ্বারা ছাদ বসিয়া যায়, ও হস্তের শৈথিল্যে ঘরে জল পড়ে।
19. হাস্যের নিমিত্ত ভোজ প্রস্তুত করা হয়, এবং দ্রাক্ষারস জীবন আনন্দযুক্ত করে, আর রৌপ্য সকলই যোগায়।
20. মনের মধ্যেও রাজাকে শাপ দিও না, আপনার শয়নাগারে ধনীকে শাপ দিও না; কেননা শূন্যের পক্ষী সেই শব্দ লইয়া যাইবে; যে পক্ষধারী, সে সেই কথা জ্ঞাত করিবে।