1. কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।
2. কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্ম্মনিন্দক, পিতামাতার অবাধ্য,
3. অকৃতজ্ঞ, অসাধু, স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়,
4. প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী, বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্ব্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে;
5. লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; তুমি এরূপ লোকদের হইতে সরিয়া যাও।
6. ইহাদেরই মধ্যে এমন লোক আছে, যাহারা ছলপূর্ব্বক গৃহে গৃহে প্রবেশ করিয়া পাপে ভারাক্রান্ত ও নানাবিধ অভিলাষে চালিতা যে স্ত্রীলোকেরা সতত শিক্ষা করে,
7. তথাপি সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে না, তাহাদিগকে বন্দি করিয়া ফেলে।
8. আর যান্নি ও যাম্ব্রি যেমন মোশির প্রতিরোধ করিয়াছিল, তদ্রূপ ইহারা সত্যের প্রতিরোধ করিতেছে, এই লোকেরা নষ্টবিবেক, বিশ্বাস সম্বন্ধে অপ্রামাণিক।
9. কিন্তু ইহারা আর অগ্রসর হইতে পারিবে না; কারণ যেমন উহাদেরও হইয়াছিল, তেমনি ইহাদের মূঢ়তা সকলের কাছে ব্যক্ত হইবে।
10. কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য্য, নানাবিধ তাড়না, ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;
11. আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।
12. আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।
13. কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।
14. কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।
15. আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান্ করিতে পারে।
16. ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,
17. যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।