1. অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, অবশেষে আমরা প্রভু যীশুতে তোমাদিগকে বিনয় করিতেছি, চেতনা দিয়া বলিতেছি, কিরূপে চলিয়া ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতে হয়, এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে শিক্ষা গ্রহণ করিয়াছ, আর যেরূপ চলিতেছ, তদনুসারে অধিক উপচিয়া পড়।
2. কেননা প্রভু যীশুর দ্বারা আমরা তোমাদিগকে কি কি আদেশ দিয়াছি, তাহা তোমরা জান।
3. ফলতঃ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই, তোমাদের পবিত্রতা;
4. —যেন তোমরা ব্যভিচার হইতে দূরে থাক, তোমাদের প্রত্যেক জন যেন,
5. যাহারা ঈশ্বরকে জানে না, সেই পরজাতীয়দের ন্যায় কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে।
6. কেহ যেন সীমা অতিক্রম করিয়া এই ব্যাপারে আপন ভ্রাতাকে না ঠকায়; কেননা আমরা পূর্ব্বে তোমাদিগকে যেমন বলিয়াছি ও সাক্ষ্য দিয়াছি তদনুসারে, প্রভু এই সকলের প্রতিফলদাতা।
7. কারণ ঈশ্বর আমাদিগকে অশুচিতার নিমিত্ত নয়, কিন্তু পবিত্রতায় আহ্বান করিয়াছেন।
8. এই জন্য যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করে, সে মনুষ্যকে অগ্রাহ্য করে তাহা নয়, বরং ঈশ্বরকেই অগ্রাহ্য করে, যিনি নিজ পবিত্র আত্মা তোমাদিগকে প্রদান করেন।
9. আর ভ্রাতৃপ্রেম সম্বন্ধে তোমাদিগকে কিছু লেখা অনাবশ্যক, কারণ তোমরা আপনারা পরস্পর প্রেম করিবার জন্য ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাইয়াছ;
10. আর বাস্তবিক সমস্ত মাকিদনিয়া-নিবাসী সমুদয় ভ্রাতৃগণের প্রতি তাহা করিতেছ।
11. কিন্তু তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, আরও অধিক উপচিয়া পড়, আর শান্ত ভাবে থাকিতে ও আপন আপন কার্য্য করিতে এবং স্বহস্তে পরিশ্রম করিতে সযত্ন হও—যেমন আমরা তোমাদিগকে আদেশ দিয়াছি—
12. যেন বহিঃস্থ লোকদের প্রতি তোমরা শিষ্টাচারী হও, এবং তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
13. কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত্ত না হও।
14. কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।
15. কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্য্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না।
16. কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে।
17. পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত সকসঙ্গে তাহাদের সহিত মেষযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।
18. অতএব তোমরা এই সকল কথা বলিয়া এক জন অন্য জনকে সান্ত্বনা দেও।