1. এজন্য আর ধৈর্য্য ধরিতে না পারাতে আথীনীতে একাকী থাকা আমরা বিহিত বুঝিয়াছিলাম,
2. এবং আমাদের ভ্রাতা ও খ্রীষ্টের সুসমাচারে ঈশ্বরের পরিচারক যে তীমথিয়, তাঁহাকে পাঠাইয়াছিলাম, যেন তিনি তোমাদিগকে সুস্থির করেন, এবং তোমাদের বিশ্বাসের সম্বন্ধে আশ্বাস দেন,
3. যেন এই সকল ক্লেশে কেহ চঞ্চল না হয়; কারণ তোমরা আপনারাই জান, আমরা ইহারই জন্য নিযুক্ত।
4. আর বাস্তবিক আমাদের ক্লেশ যে ঘটিবে, ইহা আমরা অগ্রে, যখন তোমাদের নিকটে ছিলাম, তখন তোমাদিগকে বলিয়াছিলাম; আর তাহাই ঘটিয়াছে, এবং তোমরা তাহা জান।
5. এ জন্য আমিও আর ধৈর্য্য ধরিতে না পারাতে তোমাদের বিশ্বাসের তত্ত্ব জানিবার নিমিত্ত উহাঁকে পাঠাইয়াছিলাম, ভাবিয়াছিলাম, পাছে পরীক্ষক কোন প্রকারে তোমাদের পরীক্ষা করিয়াছে বলিয়া আমাদের পরিশ্রম বৃথা হইয়া পড়ে।
6. কিন্তু এখন তীমথিয় তোমাদের নিকট হইতে আমাদের কাছে আসিয়া তোমাদের বিশ্বাস ও প্রেমের শুভ সংবাদ আমাদিগকে দিয়াছেন, এবং বলিয়াছেন, তোমরা সর্বদা স্নেহ ভাবে আমাদিগকে স্মরণ করিতেছ, যেমন আমরাও তোমাদিগকে দেখিতে চাই, তেমনি আমাদিগকে দেখিতে আকাঙ্ক্ষা করিতেছ;
7. এজন্য, হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদের বিষয়ে আমরা সমস্ত সঙ্কটের ও ক্লেশের মধ্যে তোমাদের বিশ্বাস দ্বারা আশ্বাস পাইলাম;
8. কেননা যদি তোমরা প্রভুতে স্থির থাক, তবে এখন আমরা বাঁচি।
9. বাস্তবিক তোমাদের কারণ আমরা আপন ঈশ্বরের সাক্ষাতে যে সকল আনন্দে আনন্দ করি, তাহার প্রতিদান বলিয়া তোমাদের জন্য ঈশ্বরকে কি প্রকার ধন্যবাদ দিতে পারি?
10. আমরা যেন তোমাদের মুখ দেখিতে পাই, এবং তোমাদের বিশ্বাসের ত্রুটি সকল পূর্ণ করিতে পারি, এই জন্য রাত দিন অতিশয় প্রার্থনা করিতেছি।
11. আর আমাদের ঈশ্বর ও পিতা আপনি এবং আমাদের প্রভু যীশু তোমাদের কাছে আমাদের পথ সুগম করুন।
12. আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচিয়া পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদিগকে পরস্পরের ও সকলের প্রতি প্রেমে বর্দ্ধিষ্ণু করুন ও উপচিয়া পড়িতে দিউন;
13. এইরূপে আপনার সমস্ত পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমন কালে যেন তিনি আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে তোমাদের হৃদয় পবিত্রতায় অনিন্দনীয়রূপে সুস্থির করেন।