1. ঈশ্বর উঠুন, তাঁহার শত্রুগণ ছিন্নভিন্ন হউক, তাঁহার বিদ্বেষিগণ তাঁহার সম্মুখ হইতে পলায়ন করুক।
2. যেমন ধূম চালিত হয়, তেমনি তুমি তাহাদিগকে চালিত কর; যেমন অগ্নির সম্মুখে মোম গলিয়া যায়, তেমনি ঈশ্বরের সম্মুখে দুষ্টগণ বিনষ্ট হউক।
3. কিন্তু ধার্ম্মিকগণ আনন্দ করুক, ঈশ্বরের সাক্ষাতে উল্লাস করুক, তাহারা আনন্দে আহ্লাদিত হউক।
4. তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের কীর্ত্তন কর; যিনি মরুভূমি দিয়া বাহনে আসিতেছেন, তাঁহার জন্য রাজপথ বাঁধ; তাঁহার নাম ‘যাঃ’, তাঁহার সাক্ষাতে উল্লাস কর।
5. ঈশ্বর আপন পবিত্র বাসস্থানে পিতৃহীনদের পিতা ও বিধবাদের বিচারকর্ত্তা।
6. ঈশ্বর সঙ্গিহীনদিগকে পরিবার মধ্যে বাস করান, তিনি বন্দিগণকে মুক্ত করিয়া কুশলে রাখেন; কিন্তু বিদ্রোহীরা দগ্ধ ভূমিতে বাস করে।
7. হে ঈশ্বর, তুমি যখন নিজ প্রজাগণের অগ্রে অগ্রে যাইতেছিলে, যখন শুষ্ক ভূমি দিয়া গমন করিতেছিলে, সেলা।
8. তখন পৃথিবী কম্পমান হইল, ঈশ্বরের সাক্ষাতে আকাশও জলবিন্দুময় হইল; ঐ সীনয় ঈশ্বরের সাক্ষাতে, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সাক্ষাতে [কাঁপিয়া উঠিল]।
9. হে ঈশ্বর, তুমি জলধারা বর্ষাইলে, তোমার অধিকার ক্লান্ত হইলে তুমিই তাহা সুস্থির করিলে।
10. তোমার সমাজ তাহার মধ্যে বাস করিল; হে ঈশ্বর, তুমি আপন মঙ্গলভাবে দুঃখীর নিমিত্ত আয়োজন করিলে।
11. প্রভু বাক্য দেন, শুভবার্ত্তার প্রচারিকাগণ মহাবাহিনী।
12. বাহিনীগণের রাজারা পলায়ন করেন, পলায়ন করেন, আর গৃহস্বামিনী দ্রব্য বিভাগ করিয়া লয়।
13. তোমরা কি বাথান মধ্যে শয়ন করিবে, রৌপ্যমণ্ডিত কপোতের পক্ষবৎ হইবে, যাহার পালখ হরিৎ সুবর্ণমণ্ডিত?
14. সর্ব্বশক্তিমান যখন রাজাদিগকে দেশে ছিন্নভিন্ন করিলেন, তখন সল্মোন পর্ব্বতে [যেন] তুষার পড়িল।
15. বাশন পর্ব্বত ঈশ্বরের পর্ব্বত; বাশন পর্ব্বত বহুশৃঙ্গ পর্ব্বত।
16. হে বহুশৃঙ্গ পর্ব্বতগণ, ঈশ্বর আপন নিবাসের নিমিত্ত যে পর্ব্বতে প্রীত হইয়াছেন, তৎপ্রতি তোমরা কেন কুটিল দৃষ্টি করিতেছ? অবশ্য সদাপ্রভু চিরকাল তথায় বাস করিবেন।
17. ঈশ্বরের রথ অযুত অযুত ও লক্ষ লক্ষ, প্রভু সে সকলের মধ্যবর্ত্তী; যেমন সীনয়ে, তাঁহার পবিত্র স্থানে ।
18. তুমি ঊর্দ্ধে উঠিয়াছ, বন্দিগণকে বন্দি করিয়াছ, মনুষ্যদের মধ্যে দান গ্রহণ করিয়াছ; এমন কি, বিদ্রোহীদের মধ্যেও গ্রহণ করিয়াছ, যেন সদাপ্রভু ঈশ্বর [তথায়] বাস করেন।
19. ধন্য প্রভু, যিনি দিন দিন আমাদের ভার বহন করেন; সেই ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ। সেলা।
20. ঈশ্বর আমাদের পক্ষে পরিত্রাণসাধক ঈশ্বর; মৃত্যু হইতে উত্তরণ প্রভু সদাপ্রভুরই বশে।
21. ঈশ্বর অবশ্য আপন শত্রুগণের মস্তক ও কুপথগামীর সকেশ-কপাল চূর্ণ করিবেন।
22. প্রভু কহিলেন, আমি বাশন হইতে পুনর্ব্বার আনিব, সমুদ্রের গভীর তল হইতে [তাহাদিগকে] পুনর্ব্বার আনিব,
23. যেন তোমার চরণ রক্তে ডুবাইতে পার, যেন তোমার কুকুরদের জিহ্বা [তোমার] শত্রুগণ হইতে অংশ পায়।
24. হে ঈশ্বর, লোকে তোমার গমন দেখিয়াছে; পবিত্র স্থানে আমার ঈশ্বরের, আমার রাজার, গমন [দেখিয়াছে]।
25. অগ্রে গায়কগণ, পশ্চাতে বাদ্যকরগণ চলিল, বাদ্যবাদিনী কুমারীদের মধ্যস্থানে।
26. জনসমাগমের মধ্যে ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর; তোমরা, যাহারা ইস্রায়েলরূপ উনুই হইতে [উৎপন্ন], তোমরা প্রভুর ধন্যবাদ কর।
27. সেখানে আছেন তাহাদের শাসক কনিষ্ঠ বিন্যামীন, যিহূদার অধ্যক্ষগণ ও তাহাদের জনগণ, সবূলূনের অধ্যক্ষগণ, নপ্তালির অধ্যক্ষগণ।
28. তোমার ঈশ্বর তোমার পরাক্রমের আজ্ঞা দিয়াছেন, হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের নিমিত্ত যাহা সাধন করিয়াছ, তাহা পরাক্রান্ত কর।
29. যিরূশালেমে তোমার মন্দির আছে বলিয়া, রাজগণ তোমার উদ্দেশে উপহার আনিবেন।
30. তুমি নলবনের বন্যপশুকে ভর্ৎসনা কর, বৃষদের মণ্ডলীকে ও জাতিগণের গোবৎসদিগকে ভর্ৎসনা কর; তাহারা প্রত্যেকে রৌপ্যের থান লইয়া পদতলস্থ হউক; যে যে জাতি যুদ্ধ ভালবাসে, তিনি তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন।
31. মিসর হইতে প্রধান প্রধান লোক আসিবে; কূশ শীঘ্র ঈশ্বরের কাছে কৃতাঞ্জলি হইবে।
32. হে পৃথিবীর রাজ্য সকল, ঈশ্বরের উদ্দেশে গীত গাও; সেই প্রভুর প্রশংসা গান কর, সেলা।
33. যিনি আদিকালীয় স্বর্গের স্বর্গ দিয়া রথারোহণে গমন করেন; দেখ, তিনি আপন রব, পরাক্রান্ত রব ছাড়েন।
34. ঈশ্বরের পরাক্রম কীর্ত্তন কর; তাঁহার মহিমা ইস্রায়েলের উপরে, তাঁহার পরাক্রম আকাশমণ্ডলে রহিয়াছে।
35. হে ঈশ্বর, তুমি তোমার ধর্ম্মধামে ভয়াবহ; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তিনিই আপন প্রজাদিগকে পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।