1. সূর্যের নীচে আমি একটা অনিষ্টের বিষয় দেখিয়াছি, তাহা মনুষ্যদের পক্ষে ভারী;
2. ঈশ্বর কোন ব্যক্তিকে এত ধন, সম্পত্তি ও গৌরব দেন যে, অভীষ্ট বস্তু সকলের মধ্যে তাহার প্রাণের জন্য কিছুই অনটন থাকে না, তথাচ ঈশ্বর তাহা ভোগ করিবার ক্ষমতা তাহাকে দেন না, কিন্তু অপর লোক তাহা ভোগ করে; ইহা অসার ও অনিষ্টকর ব্যাধি।
3. কোন ব্যক্তি যদি এক শত পুত্রের জন্ম দিয়া অনেক বৎসর বাঁচিয়া দীর্ঘজীবী হয়, কিন্তু তাহার প্রাণ যদি মঙ্গলে তৃপ্ত না হয়, এবং তাহার কবরও যদি না হয়, তবে আমি বলি, তাহা হইতে বরং গর্ভস্রাবও ভাল।
4. কেননা তাহা বাষ্পবৎ আইসে, ও অন্ধকারে চলিয়া যায়, ও তাহার নাম অন্ধকারে ঢাকা পড়ে;
5. আবার তাহা সূর্য্য দেখে নাই ও কিছুই জানে নাই; ঐ মনুষ্য অপেক্ষা ইহাই বিশ্রামযুক্ত।
6. সে যদ্যপি দ্বিসহস্র বৎসর জীবিত থাকে, এবং কিছু মঙ্গল ভোগ না করে, [তবে কি?] সকলই কি এক স্থানে যায় না?
7. মানুষের সমস্ত পরিশ্রম তাহার মুখের জন্য, তথাপি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় না।
8. বস্তুতঃ হীনবুদ্ধি অপেক্ষা জ্ঞানবানের কি উৎকর্ষ? আর জীবিতদের সাক্ষাতে চলিতে জানে এমন দুঃখী লোকেরই বা কি উৎকর্ষ?
9. দৃষ্টিসুখ যত ভাল, প্রাণের লালসা তত ভাল নহে; ইহাও অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র।
10. যাহা ইহয়াছে, অনেক দিন হইল তাহার নামকরণ হইয়াছিল, কারণ সকলে জানে যে, সে মনুষ্য, এবং আপনা অপেক্ষা পরাক্রান্ত লোকের সহিত বিতণ্ডা করিতে সে অপারক।
11. যাহাতে অসারতা বাড়ে, এমন অনেক কথা আছে, তাহাতে মানুষের কি উৎকর্ষ?
12. বস্তুতঃ জীবনকালে মনুষ্যের মঙ্গল কি, তাহা কে জানে? তাহার অসার জীবনকাল ত সে ছায়ার ন্যায় যাপন করে; আর মনুষ্যের পরে সূর্য্যের নীচে কি ঘটিবে, তাহা তাহাকে কে জানাইতে পারে?