1. পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন,
2. আমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে যে কনান দেশ দিব, তুমি তাহা নিরীক্ষণ করিবার জন্য কয়েক ব্যক্তিকে প্রেরণ কর; তাহাদের স্ব স্ব পিতৃকুল সম্পর্কীয় এক এক বংশের মধ্যে এক এক জন অধ্যক্ষকে প্রেরণ কর।
3. তাহাতে সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে মোশি পারণ প্রান্তর হইতে তাঁহাদিগকে প্রেরণ করিলেন; তাঁহারা সকলে ইস্রায়েল-সন্তানগণের অধ্যক্ষ ছিলেন।
4. তাঁহাদের নাম এই এই; রূবেণ বংশের মধ্যে সক্কূরের পুত্র শম্মুয়;
5. শিমিয়োন বংশের মধ্যে হোরির পুত্র শাফট;
6. যিহূদা বংশের মধ্যে যিফুন্নির পুত্র কালেব;
7. ইষাখর বংশের মধ্যে যোষেফের পুত্র যিগাল;
8. ইফ্রয়িম বংশের মধ্যে নূনের পুত্র হোশেয়;
9. বিন্যামীন বংশের মধ্যে রাফূর পুত্র পল্টি;
10. সবূলূন বংশের মধ্যে সোদির পুত্র গদ্দীয়েল;
11. যোষেফ বংশের অর্থাৎ মনঃশি বংশের মধ্যে সূষির পুত্র গদ্দি;
12. দান বংশের মধ্যে গমল্লির পুত্র অম্মীয়েল;
13. আশের বংশের মধ্যে মীখায়েলের পুত্র সথুর;
14. নপ্তালি বংশের মধ্যে বপ্সির পুত্র নহ্বি;
15. গাদ বংশের মধ্যে মাখির পুত্র গ্যূয়েল।
16. মোশি যাঁহাদিগকে দেশ নিরীক্ষণ করিতে পাঠাইলেন, সেই লোকদের নাম এই। আর মোশি নূনের পুত্র হোশেয়ের নাম যিহোশূয় রাখিলেন।
17. কনান দেশ নিরীক্ষণ করিতে পাঠাইবার সময়ে মোশি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা দক্ষিণদিক্ দিয়া এই পথে গিয়া উঠ,
18. পাহাড় অঞ্চলে গিয়া উঠ; এবং গিয়া দেখ, সে দেশ কেমন, ও তথাকার নিবাসী লোকেরা বলবান্ কি দুর্ব্বল, অল্প কি অনেক;
19. এবং তাহারা যে দেশে বাস করে সে দেশ কেমন, ভাল কি মন্দ; ও যে সকল নগরে বাস করে, সে সকল কি প্রকার; তাহারা তাম্বুতে কি গড়ে, কিসে বাস করে;
20. এবং ভূমি কি প্রকার, সতেজ কি নিস্তেজ, তাহাতে বৃক্ষ আছে কি না। আর তোমরা সাহসী হইয়া সেই দেশের কিছু ফল সঙ্গে করিয়া আনিও।
21. তখন আশুপক্ক দ্রাক্ষাফলের সময় ছিল। তাঁহারা যাত্রা করিয়া সীন প্রান্তর অবধি হমাতের প্রবেশ স্থানে স্থিত রহোব পর্য্যন্ত সমস্ত দেশ নিরীক্ষণ করিলেন।
22. বিশেষতঃ দক্ষিণদিক্ দিয়া উঠিয়া গেলেন, ও হিব্রোণে উপস্থিত হইলেন; সেই স্থানে অহীমান, শেশয় ও তল্ময়, অনাকের এই তিন সন্তান ছিল। মিসরস্থ সোয়নের পত্তনের সাত বৎসর পূর্ব্বে হিব্রোণের পত্তন হইয়াছিল।
23. পরে তাঁহারা ইষ্কোল উপত্যকাতে উপস্থিত হইয়া সে স্থানে এক থলুয়া ফলযুক্ত দ্রাক্ষালতার এক শাখা কাটিয়া তাহা দণ্ডে করিয়া দুই জন বহিলেন, এবং তাঁহারা কতকগুলি দাড়িম ও ডুমুরফলও সঙ্গে আনিলেন।
24. ইস্রায়েল-সন্তানেরা ঐ স্থানে সেই দ্রাক্ষার থলুয়া কাটিয়াছিলেন, এই জন্য সেই উপত্যকা ইষ্কোল [থলুয়া] নামে খ্যাত হইল।
25. তাঁহারা দেশ নিরীক্ষণ করিয়া চল্লিশ দিনের পর ফিরিয়া আসিলেন।
26. পরে তাঁহারা আসিয়া পারণ প্রান্তরস্থ কাদেশ নামক স্থানে মোশির ও হারোণের এবং ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর নিকটে উপস্থিত হইয়া উহাদিগকে ও সমস্ত মণ্ডলীকে সংবাদ দিলেন; এবং সেই দেশের ফল তাহাদিগকে দেখাইলেন।
27. আর তাঁহাকে বৃত্তান্ত কহিলেন, বলিলেন, আপনি আমাদিগকে যে দেশে প্রেরণ করিয়াছিলেন, আমরা তথায় গিয়াছিলাম; দেশটী দুগ্ধমধুপ্রবাহী বটে;
28. আর এই দেখুন, তাহার ফল। যাহা হউক, তদ্দেশনিবাসী লোকেরা বলবান্, ও তথাকার নগর সকল প্রাচীরবেষ্টিত ও অতি বৃহৎ; এবং সে স্থানে আমরা অনাকের সন্তানগণকেও দেখিয়াছি।
29. দক্ষিণ দেশে অমালেক বাস করে; এবং পাহাড় অঞ্চলে হিত্তীয়, যিবূষীয় ও ইমোরীয়েরা বাস করে; এবং সমুদ্রের নিকটে এ যর্দ্দনের তীরে কনানীয়েরা বাস করে।
30. আর কালেব মোশির সাক্ষাতে লোকদিগকে ক্ষান্ত করণার্থে কহিলেন, আইস, আমরা একেবারে উঠিয়া গিয়া দেশ অধিকার করি; কেননা আমরা উহা জয় করিতে সমর্থ।
31. কিন্তু যে ব্যক্তিরা তাঁহার সহিত গিয়াছিলেন, তাঁহারা কহিলেন, আমরা সেই লোকদের বিরুদ্ধে যাইতে সমর্থ নহি, কেননা আমাদের অপেক্ষা তাহারা বলবান্।
32. এইরূপে তাঁহারা যে দেশ নিরীক্ষণ করিতে গিয়াছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানগণের সাক্ষাতে সেই দেশের অখ্যাতি করিয়া কহিলেন, আমরা যে দেশ নিরীক্ষণ করিতে স্থানে স্থানে গিয়াছিলাম, সে দেশ আপন অধিবাসীদিগকে গ্রাস করে; এবং তাহার মধ্যে আমরা যত লোককে দেখিয়াছি, তাহারা সকলে ভীমকায়।
33. বিশেষতঃ তথায় বীরজাত অনাকের সন্তান বীরদিগকে দেখিয়া আমরা আপনাদের দৃষ্টিতে ফড়িঙ্গের ন্যায়, এবং তাহাদের দৃষ্টিতেও তদ্রূপ হইলাম।