1. পর্ব্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশে মীখা নামে এক ব্যক্তি ছিল।
2. সে আপন মাতাকে কহিল, যে এগার শত রৌপ্য মুদ্রা তোমার নিকট হইতে চুরি গিয়াছিল, যে বিষয়ে তুমি শাপ দিয়াছিলে ও আমার কাণে তুলিয়াছিলে, দেখ, সেই রৌপ্য আমার কাছে, আমিই তাহা লইয়াছিলাম। তাহার মাতা কহিল, বৎস, তুমি সদাপ্রভুর আশীর্ব্বাদপাত্র হও।
3. পরে সে ঐ এগার শত রৌপ্য মুদ্রা মাতাকে ফিরাইয়া দিলে তাহার মাতা কহিল, আমি এই রৌপ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র করিতেছি, আমার পুত্র ইহা আমার হস্ত হইতে লইয়া এক ছাঁচে ঢালা ও এক ক্ষোদিত প্রতিমা নির্ম্মাণ করুক। অতএব এখন ইহা তোমাকে ফিরাইয়া দিলাম।
4. সে আপন মাতাকে ঐ রৌপ্য ফিরাইয়া দিলে তাহার মাতা দুই শত রৌপ্য মুদ্রা লইয়া স্বর্ণকারকে দিল; আর সে এক ছাঁচে ঢালা ও এক ক্ষোদিত প্রতিমা নির্ম্মাণ করিলে তাহা মীখার গৃহে থাকিল।
5. ঐ মীখার এক দেবালয় ছিল; আর সে এক এফোদ ও কয়েকটী ঠাকুর নির্ম্মাণ করিল, এবং আপনার এক পুত্রের হস্তপূরণ করিলে সে তাহার পুরোহিত হইল।
6. ঐ সময়ে ইস্রায়েলের মধ্যে রাজা ছিল না, যাহার দৃষ্টিতে যাহা ভাল বোধ হইত, সে তাহাই করিত।
7. তৎকালে যিহূদা গোষ্ঠীর বৈৎলেহম-যিহূদার একটী লোক ছিল, সে লেবীয়, ও সে তথায় প্রবাস করিতেছিল।
8. সেই ব্যক্তি যেখানে স্থান পাইতে পারে, তথায় প্রবাস করিবার জন্য নগর হইতে, বৈৎলেহম-যিহূদা হইতে, প্রস্থানপূর্ব্বক গমন করিতে করিতে পর্ব্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশে ঐ মীখার বাটীতে উপস্থিত হইল।
9. মীখা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তুমি কোথা হইতে আসিলে? সে তাহাকে কহিল, আমি বৈৎলেহম-যিহূদার এক জন লেবীয়; যেখানে স্থান পাই, তথায় প্রবাস করিতে যাইতেছি।
10. মীখা তাহাকে কহিল, তুমি আমার এখানে থাক, আমার পিতা ও পুরোহিত হও, আমি বৎসরে তোমাকে দশটী রৌপ্য মুদ্রা, এক যোড়া বস্ত্র ও তোমার খাদ্য দ্রব্য দিব। তাহাতে সেই লেবীয় ভিতরে গেল।
11. সেই লেবীয় তাহার সেখানে থাকিতে সম্মত হইল; আর এই যুবক তাহার এক পুত্রের ন্যায় হইল।
12. পরে মীখা সেই লেবীয়ের হস্তপূরণ করিল, আর সেই যুবক মীখার পুরোহিত হইয়া তাহার বাটীতে থাকিল।
13. তখন মীখা কহিল, এখন আমি জানিলাম যে, সদাপ্রভু আমার মঙ্গল করিবেন, যেহেতু এক জন লেবীয় আমার পুরোহীত হইয়াছে।