1. তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে দোষযুক্ত, কোন প্রকার কলঙ্কযুক্ত গোরু কিম্বা মেষ বলিদান করিবে না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাহা ঘৃণা করেন।
2. তোমার মধ্যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সকল নগর দিবেন, তাহার কোন নগরের দ্বারের ভিতরে যদি এমন কোন পুরুষ কিম্বা স্ত্রীলোক পাওয়া যায়, যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম লঙ্ঘন দ্বারা তাঁহার দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিয়াছে;
3. গিয়া অন্য দেবতাদের সেবা করিয়াছে, ও আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধে তাহাদের কাছে অথবা সূর্য্যের বা চন্দ্রের কিম্বা আকাশবাহিনীর কাহারো কাছে প্রণিপাত করিয়াছে;
4. আর তোমাকে তাহা বলা হইয়াছে, ও তুমি শুনিয়াছ, তবে যত্নপূর্ব্বক অনুসন্ধান করিবে, আর দেখ, যদি ইহা সত্য ও নিশ্চিত হয় যে, ইস্রায়েলের মধ্যে এইরূপ ঘৃণার্হকার্য্য হইয়াছে,
5. তবে তুমি সেই দুষ্কর্ম্মকারী পুরুষ কিম্বা স্ত্রীলোককে বাহির করিয়া আপন নগর-দ্বারের সমীপে আনিবে; পুরুষ হউক বা স্ত্রীলোক হউক, তুমি প্রস্তরাঘাত দ্বারা তাহার প্রাণদণ্ড করিবে।
6. প্রাণদণ্ডের যোগ্য ব্যক্তির প্রাণদণ্ড দুই সাক্ষীর কিম্বা তিন সাক্ষীর প্রমাণে হইবে; একমাত্র সাক্ষীর প্রমাণে তাহার প্রাণদণ্ড হইবে না।
7. তাহাকে বধ করিতে প্রথমে সাক্ষীরা, পশ্চাতে সমস্ত প্রজা তাহার উপরে হাত উঠাইবে। এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
8. রক্তপাতের কিম্বা বিরোধের কিম্বা আঘাতের বিষয়ে দুই জনের বিবাদ তোমার কোন নগর-দ্বারে উপস্থিত হইলে যদি তাহার বিচার তোমার পক্ষে অতি কঠিন হয়, তবে তুমি উঠিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে যাইবে;
9. আর লেবীয় যাজকদের ও তাৎকালিক বিচারকর্ত্তার নিকটে গিয়া জিজ্ঞাসা করিবে, তাহাতে তাহারা তোমাকে বিচারাজ্ঞা জ্ঞাত করিবে।
10. পরে সদাপ্রভুর মনোনীত সেই স্থানে তাহারা যে বিচারাজ্ঞা তোমাকে জ্ঞাত করিবে, তুমি সেই আজ্ঞার মর্ম্মানুসারে কর্ম্ম করিবে; তাহারা তোমাকে যাহা শিক্ষা দিবে, সমস্তই যত্নপূর্ব্বক করিবে।
11. তাহারা তোমাকে যে ব্যবস্থা শিক্ষা দিবে, তাহার মর্ম্মানুসারে ও তোমাকে যে বিচার বলিবে, তদনুসারে তুমি করিবে; তাহাদের আদিষ্ট বাক্যের দক্ষিণে কি বামে ফিরিবে না;
12. কিন্তু যে ব্যক্তি দুঃসাহসপূর্ব্বক আচরণ করে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর পরিচর্য্যার্থে সেই স্থানে দণ্ডায়মান যাজকের কিম্বা বিচারকর্ত্তার কথায় কর্ণপাত না করে, সেই মনুষ্য হত হইবে; ফলে তুমি ইস্রায়েলের মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
13. তাহাতে সমস্ত প্রজা তাহা শুনিয়া ভয় পাইবে, এবং দুঃসাহসের কার্য্য আর করিবে না।
14. তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, তুমি যখন তথায় গিয়া দেশ অধিকারপূর্ব্বক সেখানে বাস করিবে; আর বলিবে, আমার চারিদিকের সকল জাতির ন্যায় আমিও আপনার উপরে এক জন রাজা নিযুক্ত করিব,
15. তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যাহাকে মনোনীত করিবেন, তাহাকেই আপনার উপরে রাজা নিযুক্ত করিবে; তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে আপনার উপরে রাজা নিযুক্ত করিবে; যে তোমার ভ্রাতা নয়, এমন বিজাতীয় ব্যক্তিকে আপনার উপরে রাজা করিতে পারিবে না।
16. আর সেই রাজা আপনার জন্য অনেক অশ্ব রাখিবে না, এবং অনেক অশ্বের চেষ্টায় প্রজাদিগকে পুনর্ব্বার মিসর দেশে গমন করাইবে না; কেননা সদাপ্রভু তোমাদিগকে বলিয়াছেন, ইহার পরে তোমরা সেই পথে আর ফিরিয়া যাইবে না।
17. আর সে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করিবে না, পাছে তাহার হৃদয় বিপথগামী হয়; এবং সে আপনার জন্য রৌপ্য কিম্বা স্বর্ণ অতিশয় বৃদ্ধি করিবে না।
18. আর স্বীয় রাজ্যের সিংহাসনে উপবেশন কালে সে আপনার নিমিত্ত একখানি পুস্তকে লেবীয় যাজকদের সম্মুখস্থিত এই ব্যবস্থার অনুলিপি লিখিবে।
19. তাহা তাহার নিকটে থাকিবে, এবং সে যাবজ্জীবন তাহা পাঠ করিবে; যেন সে আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে ও এই ব্যবস্থার সমস্ত বাক্য ও এই সকল বিধি পালন করিতে শিখে;
20. যেন আপন ভ্রাতাদের উপরে তাহার চিত্ত উদ্ধত না হয়, এবং সে আজ্ঞার দক্ষিণে কি বামে না ফিরে; এইরূপে যেন ইস্রায়েলের মধ্যে তাহার ও তাহার সন্তানদের রাজত্ব দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।