1. পরে যখন রহবিয়ামের রাজ্য দৃঢ় হইল, এবং তিনি শক্তিমান্ হইয়া উঠিলেন, তখন তিনি ও তাঁহার সহিত সমস্ত ইস্রায়েল সদাপ্রভুর ব্যবস্থা পরিত্যাগ করিলেন।
2. আর রহবিয়াম রাজার পঞ্চম বৎসরে মিসর-রাজ শীশক যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসিলেন, কারণ লোকেরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সত্য লঙ্ঘন করিয়াছিল।
3. সেই রাজার সঙ্গে বারো শত রথ ও ছয় সহস্র অশ্বারোহী ছিল; এবং মিসর হইতে তাঁহার সঙ্গে আগত লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয় লোকেরা অসংখ্য ছিল।
4. আর তিনি যিহূদার প্রাচীরবেষ্টিত নগর সকল হস্তগত করিয়া যিরূশালেম পর্য্যন্ত আসিলেন।
5. তখন শময়িয় ভাববাদী রহবিয়ামের নিকটে এবং যিহূদার যে অধ্যক্ষগণ শীশকের ভয়ে যিরূশালেমে একত্রীভূত হইয়াছিলেন, তাঁহাদের নিকটে আসিয়া কহিলেন, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা আমাকে ছাড়িয়াছ, এই জন্য আমিও তোমাদিগকে শীশকের হস্তে ছাড়িয়া দিলাম।
6. তাহাতে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণ ও রাজা আপনাদিগকে অবনত করিলেন, কহিলেন, সদাপ্রভু ধর্ম্মময়।
7. যখন সদাপ্রভু দেখিলেন যে, তাহারা আপনাদিগকে অবনত করিয়াছে, তখন শময়িয়ের নিকটে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হইল, তাহারা আপনাদিগকে অবনত করিয়াছে, আমি তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব না; অল্পকালের মধ্যে তাহাদিগকে উদ্ধার পাইতে দিব; শীশকের হস্ত দ্বারা যিরূশালেমের উপরে আমার ক্রোধ ঢালা হইবে না।
8. কিন্তু তাহারা উহার দাস হইবে, তাহাতে আমার দাস হওয়া কি, এবং অন্যদেশীয় রাজ্যের দাস হওয়া কি, ইহা তাহারা বুঝিতে পারিবে।
9. মিসর-রাজ শীশক যিরূশালেমের বিরুদ্ধে আসিয়া সদাপ্রভুর গৃহের ধন ও রাজবাটীর ধন লইয়া গেলেন; তিনি সমস্তই লইয়া গেলেন; শলোমনের নির্ম্মিত স্বর্ণময় ঢাল সকলও লইয়া গেলেন।
10. পরে রহবিয়াম রাজা তৎপরিবর্ত্তে পিত্তলময় ঢাল নির্ম্মাণ করাইয়া রাজবাটীর দ্বারপাল পদাতিকদিগের অধ্যক্ষগণের হস্তে সমর্পণ করিলেন।
11. রাজা যখন সদাপ্রভুর গৃহে প্রবেশ করিতেন, তখন ঐ পদাতিকগণ আসিয়া সেই সকল ঢাল ধরিত, পরে পদাতিকদিগের ঘরে ফিরিয়া লইয়া যাইত।
12. রহবিয়াম আপনাকে অবনত করাতে সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁহা হইতে নিবৃত্ত হইল, সর্ব্বনাশ হইল না। আর যিহূদার মধ্যেও কাহারও কাহারও সাধুভাব ছিল।
13. রহবিয়াম রাজা যিরূশালেমে আপনাকে বলবান করিয়া রাজত্ব করিলেন; ফলতঃ রহবিয়াম একচল্লিশ বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করিলেন, এবং সদাপ্রভু আপন নাম স্থাপনার্থে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্য হইতে যে নগর মনোনীত করিয়াছিলেন, সেই যিরূশালেমে তিনি সতের বৎসর রাজত্ব করেন। তাঁহার মাতার নাম নয়মা, তিনি অম্মোনীয়া।
14. রহবিয়াম সদাপ্রভুর অন্বেষণ করণার্থে আপন অন্তঃকরণ সুস্থির করেন নাই বলিয়া যাহা মন্দ তাহাই করিতেন।
15. রহবিয়ামের আদ্যোপান্ত কর্ম্মের বৃত্তান্ত শময়িয় ভাববাদীর ও ইদ্দো দর্শকের বংশাবলি-পুস্তকে কি লিখিত নাই? রহবিয়ামের ও যারবিয়ামের মধ্যে নিয়ত যুদ্ধ হইত।
16. পরে রহবিয়াম আপন পিতৃলোকদের সহিত নিদ্রাগত হইলেন, এবং দায়ূদ-নগরে কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর তাঁহার পুত্র অবিয় তাঁহার পদে রাজা হইলেন।