পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
যেরেমিয়া

Notes

No Verse Added

যেরেমিয়া অধ্যায় 23

1. সদাপ্রভু কহেন, ধিক্‌ সেই পালকদিগকে যাহারা আমার পালের মেষদিগকে নষ্ট ও ছিন্নভিন্ন করে। 2. এই জন্য সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যে পালকেরা আমার প্রজাগণকে চরায়, তাহাদের বিরুদ্ধে এই কথা কহেন, তোমরা আমার মেষদিগকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছ, তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছ, তাহাদের তত্ত্বাবধান কর নাই; দেখ, আমি তোমাদের আচরণের দুষ্টতার প্রতিফল তোমাদিগকে দিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 3. আর আমি যে সকল দেশে আপন পাল তাড়াইয়া দিয়াছি, তথা হইতে তাহার অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করিব, পুনর্ব্বার তাহাদিগকে খোঁয়াড়ে আনিব, এবং তাহারা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হইবে। 4. আর আমি তাহাদের উপরে এমন পালকগণকে নিযুক্ত করিব, যাহারা তাহাদিগকে চরাইবে; তখন তাহারা আর ভীত কি নিরাশ হইবে না, এবং কেহ নিরুদ্দেশ হইবে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 5. সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে আমি দায়ূদের বংশে এক ধার্ম্মিক পল্লব উৎপন্ন করিব; তিনি রাজা হইয়া রাজত্ব করিবেন, বুদ্ধিপূর্ব্বক চলিবেন, এবং দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্ম্মিকতার অনুষ্ঠান করিবেন। 6. তাঁহার সময়ে যিহূদা পরিত্রাণ পাইবে, ও ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করিবে, আর তিনি এই নামে আখ্যাত হইবেন, “সদাপ্রভু আমাদের ধার্ম্মিকতা।” 7. অতএব, সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে লোকেরা আর বলিবে না, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, যিনি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে মিসর দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন, 8. কিন্তু [তাহারা বলিবে], সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, যিনি ইস্রায়েলের কুলজাত বংশকে উত্তর দেশ হইতে, এবং যে সকল দেশে আমি তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলাম, সেই সকল দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন, চালাইয়া আনিয়াছেন; আর তাহারা আপন দেশে বাস করিবে। 9. ভাববাদিগণের বিষয়। আমার অন্তরে হৃদয় ভগ্ন হইতেছে, আমার সমস্ত অস্থি বিচল হইতেছে; সদাপ্রভুর হেতু ও তাঁহার পবিত্র বাক্যের হেতু আমি মত্ত লোকের ন্যায়, দ্রাক্ষারসে অভিভূত ব্যক্তির ন্যায় হইয়াছি। 10. কেননা দেশ ব্যভিচারিগণে পরিপূর্ণ; হাঁ, অভিশাপের কারণ দেশ শোক করিতেছ; প্রান্তরস্থ চরাণিস্থান সকল শুষ্ক হইয়াছে; এবং লোকদের ধাবন-পথ মন্দ হইয়াছে, ও তাহাদের পরাক্রম ন্যায়সঙ্গত নয়। 11. কেননা ভাববাদী ও যাজক উভয়ে পামর হইয়াছে; সদাপ্রভু কহেন, আমার গৃহেও আমি তাহাদের দুষ্ক্রিয়া দেখিয়াছি। 12. এ কারণ তাহাদের পক্ষে তাহাদের পথ অন্ধকারময় পিচ্ছিল স্থানের তুল্য হইবে; তাহারা তাড়িত হইয়া তাহার মধ্যে পতিত হইবে; কেননা তাহাদিগকে প্রতিফল দিবার বৎসরে আমি তাহাদের প্রতি অমঙ্গল উপস্থিত করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 13. আমি শমরিয়ার ভাববাদিগণের মধ্যে অসঙ্গত ব্যাপার দেখিয়াছিলাম; তাহারা বালের নামে ভাববাণী বলিত ও আমার প্রজা ইস্রায়েলকে ভ্রান্ত করিত। 14. আর যিরূশালেমের ভাববাদিগণের মধ্যে রোমাঞ্চজনক ব্যাপার দেখিয়াছি; তাহারা ব্যভিচার করে, ও মিথ্যারূপ পথে চলে, এবং কদাচারীদের হস্ত এমন বলবান্‌ করে যে, কেহ আপন কুপথ হইতে ফিরে না; তাহারা সকলে আমার কাছে সদোমের তুল্য, এবং সেখানকার নিবাসীরা ঘমোরার সমান হইয়াছে। 15. এই জন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু সেই ভাববাদিগণের বিষয়ে এই কথা কহেন, দেখ, আমি তাহাদিগকে নাগদানা ভোজন করাইব, বিষবৃক্ষের রস পান করাইব, কেননা পামরতা যিরূশালেমের ভাববাদিগণ হইতে উৎপন্ন হইয়া সমস্ত দেশ ব্যাপিয়াছে। 16. বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ঐ যে ভাববাদিগণ তোমাদের কাছে ভাববাণী বলে, তাহাদের কথা শুনিও না, তাহারা তোমাদিগকে ভুলায়; তাহারা আপন আপন হৃদয়ের দর্শন বলে, সদাপ্রভুর মুখে শুনিয়া বলে না। 17. যাহারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তাহাদের কাছে তাহারা অবিরত বলে, সদাপ্রভু বলিয়াছেন, তোমাদের শান্তি হইবে; এবং যাহারা আপন আপন হৃদয়ের কঠিনতায় চলে, তাহাদের প্রত্যেক জনকে বলে, অমঙ্গল তোমাদের কাছে আসিবে না। 18. বাস্তবিক কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়াইয়া দেখিয়াছে ও তাঁহার বাক্য শুনিয়াছে? কে আমার বাক্যে কর্ণ দিয়া তাহা শুনিতে পাইয়াছে? 19. দেখ, সদাপ্রভুর ঝটিকা, তাঁহার প্রচণ্ড ক্রোধ, হাঁ, ঘূর্ণ্যমান ঝটিকা নির্গত হইতেছে; তাহা দুষ্টদের মস্তকে লাগিবে। 20. যে পর্য্যন্ত সদাপ্রভু আপন মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সে পর্য্যন্ত তাঁহার ক্রোধ ফিরিবে না; তোমরা শেষকালে তাহা সম্পূর্ণরূপে বুঝিতে পারিবে। 21. আমি সেই ভাববাদিগণকে প্রেরণ করি নাই, তাহারা আপনারা দৌড়িয়াছে; আমি তাহাদিগকে বলি নাই, তাহারা আপনারা ভাববাণী বলিয়াছে। 22. কিন্তু তাহারা যদি আমার সভায় দাঁড়াইত, তবে আমার প্রজাদিগকে আমার বাক্য শুনাইত, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ও তাহাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা হইতে তাহাদিগকে ফিরাইত। 23. সদাপ্রভু কহেন, আমি কি নিকটে ঈশ্বর, দূরে কি ঈশ্বর নহি? 24. সদাপ্রভু কহেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেহ লুকাইতে পারে যে, আমি তাহাকে দেখিতে পাইব না? আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্ত্য ব্যাপিয়া থাকি না? ইহা সদাপ্রভু কহেন। 25. ভাববাদীরা যাহা বলিয়াছে, তাহা আমি শুনিয়াছি, তাহারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলে, যথা, আমি স্বপ্ন দেখিয়াছি, স্বপ্ন দেখিয়াছি। 26. যে ভাববাদিগণ মিথ্যা ভাববাণী বলে, যাহারা নিজ অন্তঃকরণের কপটতার ভাববাদী, তাহাদের অন্তঃকরণে ইহা কত কাল থাকিবে? 27. তাহাদের সঙ্কল্প এই, তাহাদের পিতৃপুরুষেরা বালের অনুরাগে যেমন আমাকে ভুলিয়া গিয়াছিল, তদ্রূপ তাহারা আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে আপন আপন স্বপ্নের বৃত্তান্ত কথন দ্বারা আমার প্রজাদিগকে আমার নাম ভুলিয়া যাইতে দিবে। 28. যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখিয়াছে, সে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলুক; এবং যে আমার বাক্য পাইয়াছে, সে সত্যরূপে আমার বাক্যই বলুক। 29. সদাপ্রভু কহেন, শস্যের কাছে পোয়াল কি? সদাপ্রভু কহেন, আমার বাক্য কি অগ্নির তুল্য নয়? তাহা কি হাতুড়ির তুল্য নয়, যাহা পাষাণ খণ্ডবিখণ্ড করে? 30. অতএব সদাপ্রভু কহেন, দেখ, যে সকল ভাববাদী আপন আপন প্রতিবাসী হইতে আমার বাক্য হরণ করে, আমি তাহাদের বিপক্ষ। 31. সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি সেই সকল ভাববাদীর বিপক্ষ, যাহারা আপন আপন জিহ্বা ব্যবহার করিয়া বলে, ‘তিনিই বলেন’। 32. সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাহাদের বিপক্ষ, যাহারা মিথ্যা স্বপ্নের ভাববাণী বলে ও তাহার বৃত্তান্ত বলে, আপনাদের মিথ্যা কথা ও দাম্ভিকতা দ্বারা আমার প্রজাদিগকে ভ্রান্ত করে; কিন্তু আমি তাহাদিগকে পাঠাই নাই, তাহাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই; তাহারা এই লোকদের কিছুমাত্র উপকারী হইতে পারে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন। 33. আর যে সময়ে এই লোকেরা কিম্বা কোন ভাববাদী বা যাজক তোমাকে জিজ্ঞাসা করিবে, সদাপ্রভুর ভারবাণী কি? তখন তুমি তাহাদিগকে বলিবে, ভারবাণী কি! সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদিগকে দূর করিয়া দিব। 34. আর যে কোন ভাববাদী, যাজক বা সামান্য লোক বলিবে, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ তাহাকে ও তাহার কুলকে আমি প্রতিফল দিব। 35. তোমরা প্রত্যেক জন আপন আপন প্রতিবাসীকে ও আপন আপন ভ্রাতাকে এই কথা বলিবে, সদাপ্রভু কি উত্তর দিয়াছেন? আর, সদাপ্রভু কি বলিয়াছেন? 36. কিন্তু ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ এই কথার উচ্চারণ আর করিও না; কারণ প্রত্যেক জনের নিজ বাক্যই তাহার পক্ষে ভারবাণী হইবে; কেননা তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের, আমাদের ঈশ্বর বাহিনীগণের সদাপ্রভুর, বাক্য বিপরীত করিয়াছ। 37. তোমরা ভাববাদীকে বলিও, সদাপ্রভু তোমাকে কি উত্তর দিয়াছেন? আর, সদাপ্রভু কি বলিয়াছেন? 38. কিন্তু ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ এই কথা যদি বল, তবে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা বলিতেছ, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ কিন্তু আমি তোমাদের কাছে লোক প্রেরণ করিয়া বলিয়াছি, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী’ এ কথা বলিও না। 39. এই জন্য দেখ, আমি তোমাদিগকে একেবারে তুলিয়া লইব এবং তোমাদিগকে ও তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে যে নগর দিয়াছি, তাহা শুদ্ধ তোমাদিগকে আমার নিকট হইতে দূর করিয়া দিব। 40. আর আমি এমন নিত্যস্থায়ী দুর্নাম ও নিত্যস্থায়ী অপমান তোমাদের উপরে রাখিব, যাহা লোকে ভুলিয়া যাইবে না।
1. সদাপ্রভু কহেন, ধিক্‌ সেই পালকদিগকে যাহারা আমার পালের মেষদিগকে নষ্ট ও ছিন্নভিন্ন করে। .::. 2. এই জন্য সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যে পালকেরা আমার প্রজাগণকে চরায়, তাহাদের বিরুদ্ধে এই কথা কহেন, তোমরা আমার মেষদিগকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছ, তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছ, তাহাদের তত্ত্বাবধান কর নাই; দেখ, আমি তোমাদের আচরণের দুষ্টতার প্রতিফল তোমাদিগকে দিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 3. আর আমি যে সকল দেশে আপন পাল তাড়াইয়া দিয়াছি, তথা হইতে তাহার অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করিব, পুনর্ব্বার তাহাদিগকে খোঁয়াড়ে আনিব, এবং তাহারা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হইবে। .::. 4. আর আমি তাহাদের উপরে এমন পালকগণকে নিযুক্ত করিব, যাহারা তাহাদিগকে চরাইবে; তখন তাহারা আর ভীত কি নিরাশ হইবে না, এবং কেহ নিরুদ্দেশ হইবে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 5. সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে আমি দায়ূদের বংশে এক ধার্ম্মিক পল্লব উৎপন্ন করিব; তিনি রাজা হইয়া রাজত্ব করিবেন, বুদ্ধিপূর্ব্বক চলিবেন, এবং দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্ম্মিকতার অনুষ্ঠান করিবেন। .::. 6. তাঁহার সময়ে যিহূদা পরিত্রাণ পাইবে, ও ইস্রায়েল নির্ভয়ে বাস করিবে, আর তিনি এই নামে আখ্যাত হইবেন, “সদাপ্রভু আমাদের ধার্ম্মিকতা।” .::. 7. অতএব, সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যে সময়ে লোকেরা আর বলিবে না, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, যিনি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে মিসর দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন, .::. 8. কিন্তু [তাহারা বলিবে], সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, যিনি ইস্রায়েলের কুলজাত বংশকে উত্তর দেশ হইতে, এবং যে সকল দেশে আমি তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলাম, সেই সকল দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন, চালাইয়া আনিয়াছেন; আর তাহারা আপন দেশে বাস করিবে। .::. 9. ভাববাদিগণের বিষয়। আমার অন্তরে হৃদয় ভগ্ন হইতেছে, আমার সমস্ত অস্থি বিচল হইতেছে; সদাপ্রভুর হেতু ও তাঁহার পবিত্র বাক্যের হেতু আমি মত্ত লোকের ন্যায়, দ্রাক্ষারসে অভিভূত ব্যক্তির ন্যায় হইয়াছি। .::. 10. কেননা দেশ ব্যভিচারিগণে পরিপূর্ণ; হাঁ, অভিশাপের কারণ দেশ শোক করিতেছ; প্রান্তরস্থ চরাণিস্থান সকল শুষ্ক হইয়াছে; এবং লোকদের ধাবন-পথ মন্দ হইয়াছে, ও তাহাদের পরাক্রম ন্যায়সঙ্গত নয়। .::. 11. কেননা ভাববাদী ও যাজক উভয়ে পামর হইয়াছে; সদাপ্রভু কহেন, আমার গৃহেও আমি তাহাদের দুষ্ক্রিয়া দেখিয়াছি। .::. 12. এ কারণ তাহাদের পক্ষে তাহাদের পথ অন্ধকারময় পিচ্ছিল স্থানের তুল্য হইবে; তাহারা তাড়িত হইয়া তাহার মধ্যে পতিত হইবে; কেননা তাহাদিগকে প্রতিফল দিবার বৎসরে আমি তাহাদের প্রতি অমঙ্গল উপস্থিত করিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 13. আমি শমরিয়ার ভাববাদিগণের মধ্যে অসঙ্গত ব্যাপার দেখিয়াছিলাম; তাহারা বালের নামে ভাববাণী বলিত ও আমার প্রজা ইস্রায়েলকে ভ্রান্ত করিত। .::. 14. আর যিরূশালেমের ভাববাদিগণের মধ্যে রোমাঞ্চজনক ব্যাপার দেখিয়াছি; তাহারা ব্যভিচার করে, ও মিথ্যারূপ পথে চলে, এবং কদাচারীদের হস্ত এমন বলবান্‌ করে যে, কেহ আপন কুপথ হইতে ফিরে না; তাহারা সকলে আমার কাছে সদোমের তুল্য, এবং সেখানকার নিবাসীরা ঘমোরার সমান হইয়াছে। .::. 15. এই জন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু সেই ভাববাদিগণের বিষয়ে এই কথা কহেন, দেখ, আমি তাহাদিগকে নাগদানা ভোজন করাইব, বিষবৃক্ষের রস পান করাইব, কেননা পামরতা যিরূশালেমের ভাববাদিগণ হইতে উৎপন্ন হইয়া সমস্ত দেশ ব্যাপিয়াছে। .::. 16. বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ঐ যে ভাববাদিগণ তোমাদের কাছে ভাববাণী বলে, তাহাদের কথা শুনিও না, তাহারা তোমাদিগকে ভুলায়; তাহারা আপন আপন হৃদয়ের দর্শন বলে, সদাপ্রভুর মুখে শুনিয়া বলে না। .::. 17. যাহারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তাহাদের কাছে তাহারা অবিরত বলে, সদাপ্রভু বলিয়াছেন, তোমাদের শান্তি হইবে; এবং যাহারা আপন আপন হৃদয়ের কঠিনতায় চলে, তাহাদের প্রত্যেক জনকে বলে, অমঙ্গল তোমাদের কাছে আসিবে না। .::. 18. বাস্তবিক কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়াইয়া দেখিয়াছে ও তাঁহার বাক্য শুনিয়াছে? কে আমার বাক্যে কর্ণ দিয়া তাহা শুনিতে পাইয়াছে? .::. 19. দেখ, সদাপ্রভুর ঝটিকা, তাঁহার প্রচণ্ড ক্রোধ, হাঁ, ঘূর্ণ্যমান ঝটিকা নির্গত হইতেছে; তাহা দুষ্টদের মস্তকে লাগিবে। .::. 20. যে পর্য্যন্ত সদাপ্রভু আপন মনের অভিপ্রায় সফল ও সিদ্ধ না করেন, সে পর্য্যন্ত তাঁহার ক্রোধ ফিরিবে না; তোমরা শেষকালে তাহা সম্পূর্ণরূপে বুঝিতে পারিবে। .::. 21. আমি সেই ভাববাদিগণকে প্রেরণ করি নাই, তাহারা আপনারা দৌড়িয়াছে; আমি তাহাদিগকে বলি নাই, তাহারা আপনারা ভাববাণী বলিয়াছে। .::. 22. কিন্তু তাহারা যদি আমার সভায় দাঁড়াইত, তবে আমার প্রজাদিগকে আমার বাক্য শুনাইত, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ও তাহাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা হইতে তাহাদিগকে ফিরাইত। .::. 23. সদাপ্রভু কহেন, আমি কি নিকটে ঈশ্বর, দূরে কি ঈশ্বর নহি? .::. 24. সদাপ্রভু কহেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেহ লুকাইতে পারে যে, আমি তাহাকে দেখিতে পাইব না? আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্ত্য ব্যাপিয়া থাকি না? ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 25. ভাববাদীরা যাহা বলিয়াছে, তাহা আমি শুনিয়াছি, তাহারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলে, যথা, আমি স্বপ্ন দেখিয়াছি, স্বপ্ন দেখিয়াছি। .::. 26. যে ভাববাদিগণ মিথ্যা ভাববাণী বলে, যাহারা নিজ অন্তঃকরণের কপটতার ভাববাদী, তাহাদের অন্তঃকরণে ইহা কত কাল থাকিবে? .::. 27. তাহাদের সঙ্কল্প এই, তাহাদের পিতৃপুরুষেরা বালের অনুরাগে যেমন আমাকে ভুলিয়া গিয়াছিল, তদ্রূপ তাহারা আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে আপন আপন স্বপ্নের বৃত্তান্ত কথন দ্বারা আমার প্রজাদিগকে আমার নাম ভুলিয়া যাইতে দিবে। .::. 28. যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখিয়াছে, সে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলুক; এবং যে আমার বাক্য পাইয়াছে, সে সত্যরূপে আমার বাক্যই বলুক। .::. 29. সদাপ্রভু কহেন, শস্যের কাছে পোয়াল কি? সদাপ্রভু কহেন, আমার বাক্য কি অগ্নির তুল্য নয়? তাহা কি হাতুড়ির তুল্য নয়, যাহা পাষাণ খণ্ডবিখণ্ড করে? .::. 30. অতএব সদাপ্রভু কহেন, দেখ, যে সকল ভাববাদী আপন আপন প্রতিবাসী হইতে আমার বাক্য হরণ করে, আমি তাহাদের বিপক্ষ। .::. 31. সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি সেই সকল ভাববাদীর বিপক্ষ, যাহারা আপন আপন জিহ্বা ব্যবহার করিয়া বলে, ‘তিনিই বলেন’। .::. 32. সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি তাহাদের বিপক্ষ, যাহারা মিথ্যা স্বপ্নের ভাববাণী বলে ও তাহার বৃত্তান্ত বলে, আপনাদের মিথ্যা কথা ও দাম্ভিকতা দ্বারা আমার প্রজাদিগকে ভ্রান্ত করে; কিন্তু আমি তাহাদিগকে পাঠাই নাই, তাহাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই; তাহারা এই লোকদের কিছুমাত্র উপকারী হইতে পারে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন। .::. 33. আর যে সময়ে এই লোকেরা কিম্বা কোন ভাববাদী বা যাজক তোমাকে জিজ্ঞাসা করিবে, সদাপ্রভুর ভারবাণী কি? তখন তুমি তাহাদিগকে বলিবে, ভারবাণী কি! সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদিগকে দূর করিয়া দিব। .::. 34. আর যে কোন ভাববাদী, যাজক বা সামান্য লোক বলিবে, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ তাহাকে ও তাহার কুলকে আমি প্রতিফল দিব। .::. 35. তোমরা প্রত্যেক জন আপন আপন প্রতিবাসীকে ও আপন আপন ভ্রাতাকে এই কথা বলিবে, সদাপ্রভু কি উত্তর দিয়াছেন? আর, সদাপ্রভু কি বলিয়াছেন? .::. 36. কিন্তু ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ এই কথার উচ্চারণ আর করিও না; কারণ প্রত্যেক জনের নিজ বাক্যই তাহার পক্ষে ভারবাণী হইবে; কেননা তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের, আমাদের ঈশ্বর বাহিনীগণের সদাপ্রভুর, বাক্য বিপরীত করিয়াছ। .::. 37. তোমরা ভাববাদীকে বলিও, সদাপ্রভু তোমাকে কি উত্তর দিয়াছেন? আর, সদাপ্রভু কি বলিয়াছেন? .::. 38. কিন্তু ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ এই কথা যদি বল, তবে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা বলিতেছ, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী,’ কিন্তু আমি তোমাদের কাছে লোক প্রেরণ করিয়া বলিয়াছি, ‘সদাপ্রভুর ভারবাণী’ এ কথা বলিও না। .::. 39. এই জন্য দেখ, আমি তোমাদিগকে একেবারে তুলিয়া লইব এবং তোমাদিগকে ও তোমাদের পিতৃপুরুষদিগকে যে নগর দিয়াছি, তাহা শুদ্ধ তোমাদিগকে আমার নিকট হইতে দূর করিয়া দিব। .::. 40. আর আমি এমন নিত্যস্থায়ী দুর্নাম ও নিত্যস্থায়ী অপমান তোমাদের উপরে রাখিব, যাহা লোকে ভুলিয়া যাইবে না। .::.
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 1  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 2  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 3  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 4  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 5  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 6  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 7  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 8  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 9  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 10  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 11  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 12  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 13  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 14  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 15  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 16  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 17  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 18  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 19  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 20  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 21  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 22  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 23  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 24  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 25  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 26  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 27  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 28  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 29  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 30  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 31  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 32  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 33  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 34  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 35  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 36  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 37  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 38  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 39  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 40  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 41  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 42  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 43  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 44  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 45  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 46  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 47  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 48  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 49  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 50  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 51  
  • যেরেমিয়া অধ্যায় 52  
Common Bible Languages
West Indian Languages
×

Alert

×

bengali Letters Keypad References