ইসাইয়া অধ্যায় 17
1. দম্মেশক বিষয়ক ভারবাণী। দেখ, দম্মেশক আর নগর না থাকিয়া উচ্ছিন্ন হইল, তাহা কাঁথড়ার ঢিবী হইবে।
2. অরোয়েরের নগর সকল পরিত্যক্ত হইল, সেগুলি পশুপালদের অধিকার হইবে; তাহারা সেই স্থানে শয়ন করিবে, কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না।
3. আর ইফ্রয়িমের দুর্গ ও দম্মেশকের রাজ্য এবং অরামের অবশিষ্টাংশ লুপ্ত হইবে; সে সকল ইস্রায়েল-সন্তানগণের গৌরবের তুল্য হইবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন।
4. আর সেই দিন এই ঘটিবে, যাকোবের গৌরব ক্ষীণ হইবে, ও তাহার মাংসের স্থূলতা কৃশ হইয়া পড়িবে।
5. আর যেমন কেহ ক্ষেত্রস্থ শস্য সংগ্রহ করে, হাত বাড়াইয়া শীষ কাটে, তেমনি হইবে; যেমন কেহ রফায়ীম তলভূমিতে পতিত শীষ কুড়ায়, তেমনি হইবে।
6. তথাপি তাহাতে যৎকিঞ্চিৎ অবশিষ্ট থাকিবে; জিত বৃক্ষের ফল ঝাড়িয়া লইবার পরেও যেমন তাহার উচ্চতম স্থানে গোটা দুই তিন ফল, কিম্বা ফলবান্ বৃক্ষের শাখাতে গোটা চারি পাঁচ ফল থাকে [তেমনি হইবে]; ইহা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলেন।
7. সেই দিন মনুষ্য আপন নির্ম্মাতার প্রতি দৃষ্টি রাখিবে, ও তাহার চক্ষু ইস্রায়েলের পবিত্রতমের প্রতি চাহিয়া থাকিবে।
8. সে আপন হস্তকৃত যজ্ঞবেদি সমূহের প্রতি দৃষ্টি রাখিবে না, ও তাহার চক্ষু আপন অঙ্গুলিকৃত বস্তু, আশেরা-মূর্ত্তি বা সূর্য্য-প্রতিমা সকল দেখিবে না।
9. সেই দিন তাহার দৃঢ় নগর সকল বনের কিম্বা পর্ব্বত-শিখরের সেই পরিত্যক্ত স্থানের ন্যায় হইবে, যাহা ইস্রায়েল-সন্তানগণের সম্মুখে পরিত্যক্ত হইয়াছিল; আর দেশ ধ্বংসস্থান হইবে।
10. কারণ তুমি আপন ত্রাণেশ্বরকে ভুলিয়া গিয়াছ, ও তোমার বলের শৈলকে স্মরণ কর নাই; এইজন্য সুন্দর সুন্দর চারা রোপন করিতেছ, ও বিদেশীয় কলমের সহিত লাগাইতেছ।
11. তুমি রোপণের দিনে উহাতে বেড়া দেও, ও প্রাতঃকালে তোমার চারা পুষ্পিত করিতেছ, কিন্তু দুর্ভাগ্যের ও অপ্রতিকার্য্য দুঃখের দিনে তাহার ফল উড়িয়া যায়।
12. হায় হায়, অনেক জাতির কোলাহল! তাহারা সমুদ্র-কল্লোলের ন্যায় কল্লোলধ্বনি করিতেছে; লোকবৃন্দের গর্জ্জন। তাহারা প্রবল বন্যার ন্যায় গর্জ্জন করিতেছে।
13. লোকবৃন্দ প্রবল বন্যার ন্যায় গর্জ্জন করিবে, কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্ দিবেন, তাই তাহারা দূরে পলায়ন করিবে, এবং বায়ুর সম্মুখে পর্ব্বতস্থ ভুষীর ন্যায়, কিম্বা ঝড়ের সম্মুখে ঘূর্ণায়মান ধূলিরাশির ন্যায় তাড়িত হইবে।
14. সন্ধ্যাকালে, দেখ, ত্রাস; প্রভাতের পূর্ব্বেই তাহারা নাই। এই আমাদের সর্ব্বস্ব-হরণকারীদের অধিকার, এই আমাদের লুটকারীদের ভাগ্য।