পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
মথি

মথি অধ্যায় 26

যীশুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র 1 এসব বিষয় বলা শেষ করার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, 2 “তোমরা জানো, আর দু-দিন পরে নিস্তারপর্ব[* ইহুদিদের প্রধান তিনটি পর্বের মধ্যে এটি একটি (দ্বিতীয় বিবরণ 16:1,16; যাত্রা পুস্তক 12:1-28)। এই পর্বের মূল মর্মটি ছিল খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ মৃত্যুর পূর্বছায়া। ] আসছে, তখন মনুষ্যপুত্রকে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করা হবে।” 3 সেই সময় প্রধান যাজকেরা ও লোকেদের প্রাচীনবর্গ কায়াফা নামক মহাযাজকের প্রাসাদে সমবেত হল। 4 আর তারা কোনও ছলে যীশুকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। 5 তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।” বেথানিতে যীশুর অভিষেক 6 যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, 7 তখন একজন নারী একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বহুমূল্য সুগন্ধি তেল মহার্ঘ আতর (পারফিউম) নিয়ে তাঁর কাছে এল। যীশু যখন টেবিলে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, সেই নারী তাঁর মাথায় তা উপুড় করে ঢেলে দিল। 8 শিষ্যেরা এই দেখে ভীষণ রুষ্ট হলেন। তাঁরা বললেন, “এই অপচয় কেন? 9 এই সুগন্ধি তেল তো অনেক টাকায় বিক্রি করে দরিদ্রদের দান করা যেত!” 10 একথা শুনে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন এই মহিলাকে বিরক্ত করছ? সে তো আমার জন্য এক ভালো কাজই করেছে। 11 দরিদ্রেরা তোমাদের সঙ্গে সবসময়ই থাকবে, কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না। 12 সে আমার শরীরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে আমাকে সমাধির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করল। 13 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে যেখানেই এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।” যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে যিহূদার সম্মতি 14 তখন সেই বারোজনের মধ্যে একজন, যে যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নামে আখ্যাত, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, 15 “যীশুকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করলে, আপনারা আমাকে কী দেবেন?” তারা তাকে ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা গুনে দিল। 16 সেই সময় থেকে যিহূদা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল। প্রভুর ভোজ 17 18 খামিরবিহীন রুটির তাড়ীশূন্য রুটির পর্বের প্রথম দিনে, শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণের প্রস্তুতি আমরা কোথায় করব?” তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা নগরে জনৈক ব্যক্তির কাছে যাও ও তাকে বলো, ‘গুরুমহাশয় বলছেন, আমার জন্য নির্ধারিত সময় এসে গেছে। আমি তোমার গৃহে আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে চাই।’ ” 19 তাই শিষ্যেরা যীশুর নির্দেশমতো কাজ করলেন ও গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন। 20 সন্ধ্যা হলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে ভোজের টেবিলে হেলান দিয়ে বসলেন।[§ ইহুদিরা খাদ্য গ্রহণের সময় কম-উচ্চতার চৌকির চারপাশে বসত ও ছোটো ছোটো বালিশে কনুই ঠেকিয়ে আধশোয়া অবস্থায় থাকত, দুই পা থাকত বাইরের দিকে। ] 21 তারা খাওয়াদাওয়া করছেন, এমন সময়ে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।” 22 23 তাঁরা ভীষণ দুঃখিত হলেন ও একের পর এক তাঁকে বললেন, “প্রভু, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে হাত ডুবালো, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। 24 মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।” 25 26 তখন, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সেই যিহূদা বলল, “রব্বি, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, তুমিই সে।”[* বা, তুমি নিজেই একথা বলছ। ] 27 তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও, এবং ভোজন করো; এ আমার শরীর।” তারপর তিনি পানপাত্র নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও শিষ্যদের তা দিয়ে বললেন, “তোমরা সবাই এর থেকে পান করো। 28 এ আমার রক্ত, সেই নতুন নিয়মের[† নিয়ম—অর্থাৎ চুক্তি। ] রক্ত, যা পাপক্ষমার উদ্দেশ্যে অনেকের জন্য পাতিত হচ্ছে। 29 আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আমি এই দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না, যতদিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে নতুন দ্রাক্ষারস পান করি।” 30 31 পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন। {পিতরের অস্বীকার নিয়ে যীশুর ভবিষ্যদ্‌বাণী } তারপর যীশু তাঁদের বললেন, “এই রাত্রিতে তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে, “ ‘আমি পালরক্ষককে আঘাত করব, তাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।’ সখরিয় 13:7 32 কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।” 33 পিতর উত্তর দিলেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও, আমি কিন্তু কখনও যাব না।” 34 প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ রাত্রে, মোরগ ডাকার আগেই, তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” 35 কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” অন্য সব শিষ্যও একই কথা বললেন। গেৎশিমানি 36 তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে গেৎশিমানি নামে এক স্থানে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “আমি যতক্ষণ ওখানে প্রার্থনা করি তোমরা ততক্ষণ এখানে বসে থাকো।” 37 তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই পুত্রকে তাঁর সঙ্গে নিলেন। তিনি ক্রমেই দুঃখার্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন। 38 তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং আমার সঙ্গে জেগে থাকো।” 39 আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।” 40 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এক ঘণ্টাও আমার সঙ্গে জেগে থাকতে পারলে না? 41 জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।” 42 তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা আমার, আমি পান না করলে যদি এই পাত্র দূর না হয়, তাহলে তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক।” 43 যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল। 44 তাই তিনি পুনরায় তাদের ছেড়ে এগিয়ে গেলেন ও একই কথা বলে তৃতীয়বার প্রার্থনা করলেন। 45 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? দেখো, সময় হয়েছে। মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 46 ওঠো, চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে!” যীশুকে গ্রেপ্তার 47 তিনি তখনও কথা বলছেন সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা সেখানে এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল। 48 সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো।” 49 সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি, নমস্কার!” আর তাঁকে চুম্বন করল। 50 যীশু উত্তর দিলেন, “বন্ধু, যা করতে এসেছ, তুমি তাই করো।” তখন সেই লোকেরা এগিয়ে এসে যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল। 51 তাই দেখে যীশুর সঙ্গীদের একজন তাঁর তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার কান কেটে ফেললেন। 52 যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার তরোয়াল পুনরায় স্বস্থানে রাখো, কারণ যারাই তরোয়াল ধারণ করে তারাই তরোয়ালের দ্বারা মৃত্যুবরণ করবে। 53 তুমি কি মনে করো? আমি কি আমার পিতাকে ডাকতে পারি না, আর তিনি সঙ্গে সঙ্গে কি আমার অধীনে বারোটি বাহিনীরও[§ এক বাহিনীতে রোমীয় 6,000 সৈন্য থাকত। ] বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না? 54 তাহলে শাস্ত্রবাণী কীভাবে পূর্ণ হবে, যা বলে যে, এসব এভাবেই ঘটবে?”[* সম্ভবত সখরিয় 13:7 পদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ] 55 সেই সময় যীশু লোকদের বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ? প্রতিদিন আমি মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি। 56 কিন্তু এ সমস্ত এজন্যই ঘটছে, যেন ভাববাদীদের লিখিত বচনগুলি পূর্ণ হয়।” তখন সব শিষ্য তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন। মহাসভার সামনে 57 যারা যীশুকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে সব শাস্ত্রবিদ ও লোকদের প্রাচীনবর্গ সমবেত হয়েছিল। 58 কিন্তু পিতর দূর থেকে, মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত যীশুকে অনুসরণ করলেন। তিনি প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখার জন্য রক্ষীদের কাছে গিয়ে বসলেন। 59 প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল। 60 বহু মিথ্যাসাক্ষী এগিয়ে এলেও তারা সেরকম কিছুই পেল না। শেষে দুজন এগিয়ে 61 এসে বলল, “এই লোকটি বলেছিল, ‘আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে ফেলতে ও তিনদিনের মধ্যে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারি।’ ” 62 তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে যীশুকে বললেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? এই লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে এসেছে, এগুলি কী?” 63 যীশু তবুও নীরব রইলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, “আমি জীবন্ত ঈশ্বরের নামে শপথ করে তোমাকে অভিযুক্ত করছি: আমাদের বলো দেখি, তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?” 64 যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বলেছ। কিন্তু আমি তোমাদের সবাইকে বলছি: ভাবীকালে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।” 65 তখন মহাযাজক তাঁর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “ও ঈশ্বরনিন্দা করেছে! আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? দেখো, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। 66 তোমাদের অভিমত কী?” তারা উত্তর দিল, “ও মৃত্যুরই যোগ্য।” 67 তারা তখন তাঁর মুখে থুতু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারল। 68 অন্যেরা তাঁকে চড় মেরে বলতে লাগল, “ওরে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল দেখি, কে তোকে মারল?” পিতর যীশুকে অস্বীকার করলেন 69 সেই সময় পিতর বাইরের উঠানে বসেছিলেন। একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।” 70 কিন্তু তিনি তাদের সবার সামনে সেকথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “আমি জানি না, তুমি কী বলছ।” 71 তখন তিনি ফটকের কাছে গেলেন। সেখানে অন্য একজন দাসী তাঁকে দেখে, সেখানকার লোকজনকে বলল, “এই লোকটিও নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।” 72 তিনি শপথ করে আবার তা অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনি না!” 73 আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা পিতরের কাছে গিয়ে বলল, “নিশ্চিতরূপে তুমি তাদেরই একজন, কারণ তোমার উচ্চারণভঙ্গিই তা প্রকাশ করছে।” 74 তখন তিনি নিজের উপরে অভিশাপ ডেকে এনে তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনিই না!” সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডেকে উঠল। 75 তখন যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা পিতরের মনে পড়ল, “মোরগ ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” আর তিনি বাইরে গিয়ে খুব কাঁদতে লাগলেন।
যীশুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র 1 এসব বিষয় বলা শেষ করার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, .::. 2 “তোমরা জানো, আর দু-দিন পরে নিস্তারপর্ব[* ইহুদিদের প্রধান তিনটি পর্বের মধ্যে এটি একটি (দ্বিতীয় বিবরণ 16:1,16; যাত্রা পুস্তক 12:1-28)। এই পর্বের মূল মর্মটি ছিল খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ মৃত্যুর পূর্বছায়া। ] আসছে, তখন মনুষ্যপুত্রকে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করা হবে।” .::. 3 সেই সময় প্রধান যাজকেরা ও লোকেদের প্রাচীনবর্গ কায়াফা নামক মহাযাজকের প্রাসাদে সমবেত হল। .::. 4 আর তারা কোনও ছলে যীশুকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। .::. 5 তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।” .::. বেথানিতে যীশুর অভিষেক 6 যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, .::. 7 তখন একজন নারী একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বহুমূল্য সুগন্ধি তেল মহার্ঘ আতর (পারফিউম) নিয়ে তাঁর কাছে এল। যীশু যখন টেবিলে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, সেই নারী তাঁর মাথায় তা উপুড় করে ঢেলে দিল। .::. 8 শিষ্যেরা এই দেখে ভীষণ রুষ্ট হলেন। তাঁরা বললেন, “এই অপচয় কেন? .::. 9 এই সুগন্ধি তেল তো অনেক টাকায় বিক্রি করে দরিদ্রদের দান করা যেত!” .::. 10 একথা শুনে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন এই মহিলাকে বিরক্ত করছ? সে তো আমার জন্য এক ভালো কাজই করেছে। .::. 11 দরিদ্রেরা তোমাদের সঙ্গে সবসময়ই থাকবে, কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না। .::. 12 সে আমার শরীরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে আমাকে সমাধির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করল। .::. 13 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে যেখানেই এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।” .::. যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে যিহূদার সম্মতি 14 তখন সেই বারোজনের মধ্যে একজন, যে যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নামে আখ্যাত, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, .::. 15 “যীশুকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করলে, আপনারা আমাকে কী দেবেন?” তারা তাকে ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা গুনে দিল। .::. 16 সেই সময় থেকে যিহূদা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল। .::. প্রভুর ভোজ 17 .::. 18 খামিরবিহীন রুটির তাড়ীশূন্য রুটির পর্বের প্রথম দিনে, শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণের প্রস্তুতি আমরা কোথায় করব?” তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা নগরে জনৈক ব্যক্তির কাছে যাও ও তাকে বলো, ‘গুরুমহাশয় বলছেন, আমার জন্য নির্ধারিত সময় এসে গেছে। আমি তোমার গৃহে আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে চাই।’ ” .::. 19 তাই শিষ্যেরা যীশুর নির্দেশমতো কাজ করলেন ও গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন। .::. 20 সন্ধ্যা হলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে ভোজের টেবিলে হেলান দিয়ে বসলেন।[§ ইহুদিরা খাদ্য গ্রহণের সময় কম-উচ্চতার চৌকির চারপাশে বসত ও ছোটো ছোটো বালিশে কনুই ঠেকিয়ে আধশোয়া অবস্থায় থাকত, দুই পা থাকত বাইরের দিকে। ] .::. 21 তারা খাওয়াদাওয়া করছেন, এমন সময়ে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।” .::. 22 .::. 23 তাঁরা ভীষণ দুঃখিত হলেন ও একের পর এক তাঁকে বললেন, “প্রভু, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে হাত ডুবালো, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। .::. 24 মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।” .::. 25 .::. 26 তখন, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সেই যিহূদা বলল, “রব্বি, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, তুমিই সে।”[* বা, তুমি নিজেই একথা বলছ। ] .::. 27 তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও, এবং ভোজন করো; এ আমার শরীর।” তারপর তিনি পানপাত্র নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও শিষ্যদের তা দিয়ে বললেন, “তোমরা সবাই এর থেকে পান করো। .::. 28 এ আমার রক্ত, সেই নতুন নিয়মের[† নিয়ম—অর্থাৎ চুক্তি। ] রক্ত, যা পাপক্ষমার উদ্দেশ্যে অনেকের জন্য পাতিত হচ্ছে। .::. 29 আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আমি এই দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না, যতদিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে নতুন দ্রাক্ষারস পান করি।” .::. 30 .::. 31 পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন। {পিতরের অস্বীকার নিয়ে যীশুর ভবিষ্যদ্‌বাণী } তারপর যীশু তাঁদের বললেন, “এই রাত্রিতে তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে, “ ‘আমি পালরক্ষককে আঘাত করব, তাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।’ সখরিয় 13:7 .::. 32 কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।” .::. 33 পিতর উত্তর দিলেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও, আমি কিন্তু কখনও যাব না।” .::. 34 প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ রাত্রে, মোরগ ডাকার আগেই, তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” .::. 35 কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” অন্য সব শিষ্যও একই কথা বললেন। .::. গেৎশিমানি 36 তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে গেৎশিমানি নামে এক স্থানে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “আমি যতক্ষণ ওখানে প্রার্থনা করি তোমরা ততক্ষণ এখানে বসে থাকো।” .::. 37 তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই পুত্রকে তাঁর সঙ্গে নিলেন। তিনি ক্রমেই দুঃখার্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন। .::. 38 তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং আমার সঙ্গে জেগে থাকো।” .::. 39 আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।” .::. 40 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এক ঘণ্টাও আমার সঙ্গে জেগে থাকতে পারলে না? .::. 41 জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।” .::. 42 তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা আমার, আমি পান না করলে যদি এই পাত্র দূর না হয়, তাহলে তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক।” .::. 43 যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল। .::. 44 তাই তিনি পুনরায় তাদের ছেড়ে এগিয়ে গেলেন ও একই কথা বলে তৃতীয়বার প্রার্থনা করলেন। .::. 45 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? দেখো, সময় হয়েছে। মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। .::. 46 ওঠো, চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে!” .::. যীশুকে গ্রেপ্তার 47 তিনি তখনও কথা বলছেন সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা সেখানে এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল। .::. 48 সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো।” .::. 49 সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি, নমস্কার!” আর তাঁকে চুম্বন করল। .::. 50 যীশু উত্তর দিলেন, “বন্ধু, যা করতে এসেছ, তুমি তাই করো।” তখন সেই লোকেরা এগিয়ে এসে যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল। .::. 51 তাই দেখে যীশুর সঙ্গীদের একজন তাঁর তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার কান কেটে ফেললেন। .::. 52 যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার তরোয়াল পুনরায় স্বস্থানে রাখো, কারণ যারাই তরোয়াল ধারণ করে তারাই তরোয়ালের দ্বারা মৃত্যুবরণ করবে। .::. 53 তুমি কি মনে করো? আমি কি আমার পিতাকে ডাকতে পারি না, আর তিনি সঙ্গে সঙ্গে কি আমার অধীনে বারোটি বাহিনীরও[§ এক বাহিনীতে রোমীয় 6,000 সৈন্য থাকত। ] বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না? .::. 54 তাহলে শাস্ত্রবাণী কীভাবে পূর্ণ হবে, যা বলে যে, এসব এভাবেই ঘটবে?”[* সম্ভবত সখরিয় 13:7 পদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ] .::. 55 সেই সময় যীশু লোকদের বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ? প্রতিদিন আমি মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি। .::. 56 কিন্তু এ সমস্ত এজন্যই ঘটছে, যেন ভাববাদীদের লিখিত বচনগুলি পূর্ণ হয়।” তখন সব শিষ্য তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন। .::. মহাসভার সামনে 57 যারা যীশুকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে সব শাস্ত্রবিদ ও লোকদের প্রাচীনবর্গ সমবেত হয়েছিল। .::. 58 কিন্তু পিতর দূর থেকে, মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত যীশুকে অনুসরণ করলেন। তিনি প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখার জন্য রক্ষীদের কাছে গিয়ে বসলেন। .::. 59 প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল। .::. 60 বহু মিথ্যাসাক্ষী এগিয়ে এলেও তারা সেরকম কিছুই পেল না। শেষে দুজন এগিয়ে .::. 61 এসে বলল, “এই লোকটি বলেছিল, ‘আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে ফেলতে ও তিনদিনের মধ্যে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারি।’ ” .::. 62 তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে যীশুকে বললেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? এই লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে এসেছে, এগুলি কী?” .::. 63 যীশু তবুও নীরব রইলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, “আমি জীবন্ত ঈশ্বরের নামে শপথ করে তোমাকে অভিযুক্ত করছি: আমাদের বলো দেখি, তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?” .::. 64 যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বলেছ। কিন্তু আমি তোমাদের সবাইকে বলছি: ভাবীকালে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।” .::. 65 তখন মহাযাজক তাঁর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “ও ঈশ্বরনিন্দা করেছে! আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? দেখো, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। .::. 66 তোমাদের অভিমত কী?” তারা উত্তর দিল, “ও মৃত্যুরই যোগ্য।” .::. 67 তারা তখন তাঁর মুখে থুতু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারল। .::. 68 অন্যেরা তাঁকে চড় মেরে বলতে লাগল, “ওরে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল দেখি, কে তোকে মারল?” .::. পিতর যীশুকে অস্বীকার করলেন 69 সেই সময় পিতর বাইরের উঠানে বসেছিলেন। একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।” .::. 70 কিন্তু তিনি তাদের সবার সামনে সেকথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “আমি জানি না, তুমি কী বলছ।” .::. 71 তখন তিনি ফটকের কাছে গেলেন। সেখানে অন্য একজন দাসী তাঁকে দেখে, সেখানকার লোকজনকে বলল, “এই লোকটিও নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।” .::. 72 তিনি শপথ করে আবার তা অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনি না!” .::. 73 আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা পিতরের কাছে গিয়ে বলল, “নিশ্চিতরূপে তুমি তাদেরই একজন, কারণ তোমার উচ্চারণভঙ্গিই তা প্রকাশ করছে।” .::. 74 তখন তিনি নিজের উপরে অভিশাপ ডেকে এনে তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনিই না!” সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডেকে উঠল। .::. 75 তখন যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা পিতরের মনে পড়ল, “মোরগ ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” আর তিনি বাইরে গিয়ে খুব কাঁদতে লাগলেন।
  • মথি অধ্যায় 1  
  • মথি অধ্যায় 2  
  • মথি অধ্যায় 3  
  • মথি অধ্যায় 4  
  • মথি অধ্যায় 5  
  • মথি অধ্যায় 6  
  • মথি অধ্যায় 7  
  • মথি অধ্যায় 8  
  • মথি অধ্যায় 9  
  • মথি অধ্যায় 10  
  • মথি অধ্যায় 11  
  • মথি অধ্যায় 12  
  • মথি অধ্যায় 13  
  • মথি অধ্যায় 14  
  • মথি অধ্যায় 15  
  • মথি অধ্যায় 16  
  • মথি অধ্যায় 17  
  • মথি অধ্যায় 18  
  • মথি অধ্যায় 19  
  • মথি অধ্যায় 20  
  • মথি অধ্যায় 21  
  • মথি অধ্যায় 22  
  • মথি অধ্যায় 23  
  • মথি অধ্যায় 24  
  • মথি অধ্যায় 25  
  • মথি অধ্যায় 26  
  • মথি অধ্যায় 27  
  • মথি অধ্যায় 28  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References