পবিত্র বাইবেল

সমসাময়িক সংস্করণ খুলুন (OCV)
ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 34

জাতিসমূহের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা 1 ওহে জাতিসমূহ, তোমরা কাছে এসে শোনো; ওহে সমস্ত জাতির লোকেরা, তোমরা কর্ণপাত করো! পৃথিবী ও তার মধ্যস্থ সকলে শুনুক, জগৎ ও তার অভ্যন্তরস্থ সকলেই শুনুক! 2 সদাপ্রভু সব জাতির উপরে ক্রুদ্ধ হয়েছেন; তাদের সব সৈন্যদলের উপরে তাঁর রোষ রয়েছে। তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবেন, ঘাতকদের হাতে তিনি তাদের সমর্পণ করবেন। 3 তাদের নিহতদের বাইরে নিক্ষেপ করা হবে, তাদের শবগুলি থেকে দুর্গন্ধ বের হবে; পর্বতগুলি তাদের রক্তে সিক্ত হবে। 4 আকাশের সমস্ত তারা দ্রবীভূত হবে, আর আকাশকে পুঁথির মতো গুটিয়ে ফেলা হবে; আকাশের নক্ষত্রবাহিনীর পতন হবে যেমন দ্রাক্ষালতা থেকে শুকনো পাতা ঝরে যায়, যেভাবে ডুমুর গাছ থেকে শুকিয়ে যাওয়া ডুমুর ঝরে যায়। 5 আমার তরোয়াল আকাশমণ্ডলে পরিতৃপ্ত হয়েছে; দেখো, তা ইদোমের বিচারের জন্য নেমে এসেছে, যে জাতিকে আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছি। 6 সদাপ্রভুর তরোয়াল রক্তে স্নাত হয়েছে, তা মেদে আবৃত হয়েছে—মেষশাবক ও ছাগলদের রক্তে স্নাত, মেষদের কিডনির মেদে আবৃত হয়েছে। কারণ সদাপ্রভু বস্রাতে এক বলিদান করবেন, ইদোমে এক মহা হত্যালীলা করবেন। 7 তাদের সঙ্গে পতিত হবে বন্য ষাঁড়েরা, পতিত হবে বাছুর-বলদ ও বড়ো বড়ো বলদ। তাদের ভূমিতে রক্ত বয়ে যাবে, আর ধুলি মেদে আবৃত হবে। 8 কারণ সদাপ্রভুর প্রতিশোধ গ্রহণের একটি দিন আছে, সিয়োনের পক্ষ সমর্থনের জন্য আছে একটি প্রতিফল দানের সময়। 9 ইদোমের নদীগুলি আলকাতরায় পরিণত হবে, তার ধুলো সব হবে প্রজ্বলিত গন্ধকের মতো, তার জমি হবে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আলকাতরার মতো! 10 দিনে বা রাত্রে তা কখনও নিভে যাবে না; চিরকাল তার মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠবে। বংশপরম্পরায় তা পরিত্যক্ত পড়ে থাকবে; তার মধ্য দিয়ে আর কেউ পথ অতিক্রম করবে না। 11 মরু-প্যাঁচা[* এই পদে উল্লিখিত মরু-প্যাঁচা, লক্ষ্মী-প্যাঁচা ও হুতুম-প্যাঁচার প্রকৃত পরিচয় অজানা। ] ও লক্ষ্মী-প্যাঁচা তা অধিকার করবে, হুতুম-প্যাঁচা ও দাঁড়কাকেরা সেখানে বাসা বাঁধবে। ঈশ্বর ইদোমের উপরে বিছিয়ে দেবেন বিশৃঙ্খলার মাপকাঠি ও ধ্বংসের ওলন-দড়ি। 12 তার সম্ভ্রান্তজনেদের পক্ষে রাজ্য বলার মতো কিছুই থাকবে না, তার সমস্ত রাজবংশীয়রা অন্তর্হিত হবে। 13 তার দুর্গগুলিতে কাঁটাঝোপ ছেয়ে যাবে, তার সুরক্ষিত স্থানগুলি ভরে যাবে বিছুটি ও কাঁটাবনে। সে হবে শিয়ালের বিচরণস্থান, প্যাঁচাদের বাসস্থান। 14 মরুপ্রাণীরা সেখানে হায়েনাদের সঙ্গে মিলিত হবে, বন্য ছাগলেরা সেখানে শব্দ করে পরস্পরকে ডাকবে। নিশাচর প্রাণীরা সেখানে গা এলিয়ে দেবে, সেখানে তারা খুঁজে পাবে তাদের বিশ্রামের স্থান। 15 প্যাঁচা সেখানে বাসা বেঁধে ডিম পাড়বে, ডিম ফুটিয়ে সে তার শাবকদের পালন করবে ও ডানার তলে তাদের ছায়া দেবে; সেখানে সমবেত হবে বড়ো সব চিল, প্রত্যেকে আসবে তাদের সঙ্গিনীর সাথে। 16 সদাপ্রভুর পুঁথিটির দিকে তাকাও ও পড়ো: এগুলির কোনোটিই হারিয়ে যাবে না, একটিরও সঙ্গিনীর অভাব হবে না। কারণ তাঁর মুখ এই আদেশ দিয়েছে, তাঁর আত্মা তাদের সবাইকে একত্র করবে। 17 তিনি তাদের অংশ বিভাগ করে দেন; পরিমাপ করে তাঁর হাত তাদের মধ্যে বিতরণ করে। তারা চিরকাল তা অধিকার করে থাকবে ও বংশপরম্পরায় সেখানে বসবাস করবে।
1. {#1জাতিসমূহের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা } ওহে জাতিসমূহ, তোমরা কাছে এসে শোনো; ওহে সমস্ত জাতির লোকেরা, তোমরা কর্ণপাত করো! পৃথিবী ও তার মধ্যস্থ সকলে শুনুক, জগৎ ও তার অভ্যন্তরস্থ সকলেই শুনুক! 2. সদাপ্রভু সব জাতির উপরে ক্রুদ্ধ হয়েছেন; তাদের সব সৈন্যদলের উপরে তাঁর রোষ রয়েছে। তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবেন, ঘাতকদের হাতে তিনি তাদের সমর্পণ করবেন। 3. তাদের নিহতদের বাইরে নিক্ষেপ করা হবে, তাদের শবগুলি থেকে দুর্গন্ধ বের হবে; পর্বতগুলি তাদের রক্তে সিক্ত হবে। 4. আকাশের সমস্ত তারা দ্রবীভূত হবে, আর আকাশকে পুঁথির মতো গুটিয়ে ফেলা হবে; আকাশের নক্ষত্রবাহিনীর পতন হবে যেমন দ্রাক্ষালতা থেকে শুকনো পাতা ঝরে যায়, যেভাবে ডুমুর গাছ থেকে শুকিয়ে যাওয়া ডুমুর ঝরে যায়। 5. আমার তরোয়াল আকাশমণ্ডলে পরিতৃপ্ত হয়েছে; দেখো, তা ইদোমের বিচারের জন্য নেমে এসেছে, যে জাতিকে আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছি। 6. সদাপ্রভুর তরোয়াল রক্তে স্নাত হয়েছে, তা মেদে আবৃত হয়েছে—মেষশাবক ও ছাগলদের রক্তে স্নাত, মেষদের কিডনির মেদে আবৃত হয়েছে। কারণ সদাপ্রভু বস্রাতে এক বলিদান করবেন, ইদোমে এক মহা হত্যালীলা করবেন। 7. তাদের সঙ্গে পতিত হবে বন্য ষাঁড়েরা, পতিত হবে বাছুর-বলদ ও বড়ো বড়ো বলদ। তাদের ভূমিতে রক্ত বয়ে যাবে, আর ধুলি মেদে আবৃত হবে। 8. কারণ সদাপ্রভুর প্রতিশোধ গ্রহণের একটি দিন আছে, সিয়োনের পক্ষ সমর্থনের জন্য আছে একটি প্রতিফল দানের সময়। 9. ইদোমের নদীগুলি আলকাতরায় পরিণত হবে, তার ধুলো সব হবে প্রজ্বলিত গন্ধকের মতো, তার জমি হবে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আলকাতরার মতো! 10. দিনে বা রাত্রে তা কখনও নিভে যাবে না; চিরকাল তার মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠবে। বংশপরম্পরায় তা পরিত্যক্ত পড়ে থাকবে; তার মধ্য দিয়ে আর কেউ পথ অতিক্রম করবে না। 11. মরু-প্যাঁচা[* এই পদে উল্লিখিত মরু-প্যাঁচা, লক্ষ্মী-প্যাঁচা ও হুতুম-প্যাঁচার প্রকৃত পরিচয় অজানা। ] ও লক্ষ্মী-প্যাঁচা তা অধিকার করবে, হুতুম-প্যাঁচা ও দাঁড়কাকেরা সেখানে বাসা বাঁধবে। ঈশ্বর ইদোমের উপরে বিছিয়ে দেবেন বিশৃঙ্খলার মাপকাঠি ও ধ্বংসের ওলন-দড়ি। 12. তার সম্ভ্রান্তজনেদের পক্ষে রাজ্য বলার মতো কিছুই থাকবে না, তার সমস্ত রাজবংশীয়রা অন্তর্হিত হবে। 13. তার দুর্গগুলিতে কাঁটাঝোপ ছেয়ে যাবে, তার সুরক্ষিত স্থানগুলি ভরে যাবে বিছুটি ও কাঁটাবনে। সে হবে শিয়ালের বিচরণস্থান, প্যাঁচাদের বাসস্থান। 14. মরুপ্রাণীরা সেখানে হায়েনাদের সঙ্গে মিলিত হবে, বন্য ছাগলেরা সেখানে শব্দ করে পরস্পরকে ডাকবে। নিশাচর প্রাণীরা সেখানে গা এলিয়ে দেবে, সেখানে তারা খুঁজে পাবে তাদের বিশ্রামের স্থান। 15. প্যাঁচা সেখানে বাসা বেঁধে ডিম পাড়বে, ডিম ফুটিয়ে সে তার শাবকদের পালন করবে ও ডানার তলে তাদের ছায়া দেবে; সেখানে সমবেত হবে বড়ো সব চিল, প্রত্যেকে আসবে তাদের সঙ্গিনীর সাথে। 16. সদাপ্রভুর পুঁথিটির দিকে তাকাও ও পড়ো: এগুলির কোনোটিই হারিয়ে যাবে না, একটিরও সঙ্গিনীর অভাব হবে না। কারণ তাঁর মুখ এই আদেশ দিয়েছে, তাঁর আত্মা তাদের সবাইকে একত্র করবে। 17. তিনি তাদের অংশ বিভাগ করে দেন; পরিমাপ করে তাঁর হাত তাদের মধ্যে বিতরণ করে। তারা চিরকাল তা অধিকার করে থাকবে ও বংশপরম্পরায় সেখানে বসবাস করবে।
  • ইসাইয়া অধ্যায় 1  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 2  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 3  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 4  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 5  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 6  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 7  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 8  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 9  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 10  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 11  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 12  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 13  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 14  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 15  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 16  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 17  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 18  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 19  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 20  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 21  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 22  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 23  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 24  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 25  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 26  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 27  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 28  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 29  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 30  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 31  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 32  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 33  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 34  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 35  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 36  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 37  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 38  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 39  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 40  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 41  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 42  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 43  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 44  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 45  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 46  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 47  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 48  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 49  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 50  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 51  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 52  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 53  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 54  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 55  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 56  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 57  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 58  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 59  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 60  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 61  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 62  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 63  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 64  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 65  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 66  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References