পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
আদিপুস্তক

আদিপুস্তক অধ্যায় 43

মিশরের উদ্দেশে দ্বিতীয় যাত্রা 1 তখনও পর্যন্ত সেদেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছিল। 2 অতএব যখন তাঁরা মিশর থেকে আনা সব খাদ্যশস্য খেয়ে ফেললেন, তখন তাঁদের বাবা তাঁদের বললেন, “তোমরা ফিরে যাও ও আমাদের জন্য আরও কিছু খাদ্যশস্য কিনে আনো।” 3 কিন্তু যিহূদা তাঁকে বললেন, “সেই লোকটি শপথপূর্বক আমাদের সাবধান করে দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’ 4 আপনি যদি আমাদের সঙ্গে আমাদের ভাইকে পাঠান, তবেই আমরা সেখানে যাব ও আপনার জন্য খাদ্যশস্য কিনে আনব। 5 কিন্তু আপনি যদি তাকে না পাঠান, আমরা সেখানে যাব না, কারণ সেই লোকটি আমাদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’ ” 6 7 ইস্রায়েল জিজ্ঞাসা করলেন, “সেই লোকটিকে একথা বলে কেন তোমরা আমার উপর এই বিপত্তি ডেকে এনেছ যে তোমাদের অন্য একটি ভাই আছে?” 8 তাঁরা উত্তর দিলেন, “সেই লোকটি আমাদের বিষয়ে ও আমাদের পরিবারের বিষয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে আমাদের প্রশ্ন করেছিলেন। ‘তোমাদের বাবা কি এখনও জীবিত আছেন?’ তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ‘তোমাদের কি অন্য কোনও ভাই আছে?’ আমরা শুধু তাঁর প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলাম। আমরা কীভাবে জানব যে তিনি বলবেন, ‘তোমাদের ভাইকে এখানে নিয়ে এসো’?” তখন যিহূদা তাঁর বাবা ইস্রায়েলকে বললেন, “বালকটিকে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিন এবং আমরা এখনই রওনা দেব, যেন আমরা ও আপনি এবং আমাদের সন্তানেরা বাঁচতে পারি এবং না মরি। 9 আমি নিজে তার নিরাপত্তার মুচলেকা দেব; তার জন্য আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে দায়ী করতে পারেন। আমি যদি তাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে না পারি ও আপনার সামনে তাকে দাঁড় করাতে না পারি, তবে সারা জীবন আমি এই দোষ বয়ে বেড়াব। 10 তবে ঘটনা হল এই যে, আমরা যদি দেরি না করতাম, তবে এতক্ষণে আমরা দু-দুবার সেখানে গিয়ে ফিরে আসতে পারতাম।” 11 তখন তাঁদের বাবা ইস্রায়েল তাঁদের বললেন, “যদি তা আবশ্যক হয়, তবে এরকম করো: তোমাদের বস্তাগুলিতে এদেশের শ্রেষ্ঠ দ্রব্যগুলির মধ্যে কিছু কিছু নিয়ে রাখো ও এক উপহারসামগ্রীরূপে সেগুলি সেই লোকটির কাছে নিয়ে যাও—যেমন সামান্য কিছু গুগ্‌গুল ও সামান্য কিছু মধু, কিছু মশলাপাতি ও গন্ধরস, কিছু পেস্তাবাদাম ও কাঠবাদাম। 12 তোমরা নিজেদের সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো নাও, কারণ সেই রুপোগুলি তোমাদের ফেরত দিতে হবে যা তোমাদের বস্তার মুখে রেখে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো ভুলবশতই তা হয়েছিল। 13 তোমাদের ভাইকেও সঙ্গে নাও এবং এখনই সেই লোকটির কাছে চলে যাও। 14 আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর* হিব্রু ভাষায়, এল-শাদ্দাই সেই লোকটির দৃষ্টিতে তোমাদের দয়া পেতে দিন, যেন তিনি তোমাদের অন্য ভাইকে ও বিন্যামীনকে তোমাদের সঙ্গে ফিরে আসতে দেন। আমার আর কি, আমাকে যদি সন্তানহারা হতে হয় তবে তাই হোক।” 15 অতএব তাঁরা উপহারসামগ্রী ও দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো, এবং বিন্যামীনকেও সঙ্গে নিলেন। তাঁরা তাড়াতাড়ি করে মিশরে গেলেন ও যোষেফের কাছে নিজেদের উপস্থিত করলেন। 16 যোষেফ যখন বিন্যামীনকে তাঁদের সঙ্গে দেখতে পেলেন, তখন তিনি তাঁর বাড়ির গোমস্তাকে বললেন, “এদের আমার বাড়িতে নিয়ে যাও, একটি পশু বধ করো এবং ভোজের আয়োজন করো, দুপুরবেলায় এরা আমাদের সঙ্গে ভোজনপান করবে।” 17 যোষেফ যেমনটি করতে বললেন, সেই লোকটি ঠিক সেরকমই করলেন এবং তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। 18 যখন তাঁদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁরা ভাবলেন, “প্রথমবার আমাদের বস্তায় যে রুপো রেখে দেওয়া হয়েছিল সেজন্যই আমাদের এখানে আনা হয়েছে। তিনি আমাদের উপর হামলা করতে ও ক্রীতদাসরূপে আমাদের গ্রেপ্তার করতে এবং আমাদের গাধাগুলি দখল করে নিতে চাইছেন।” 19 অতএব তাঁরা যোষেফের গোমস্তার কাছে চলে গেলেন ও বাড়ির প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। 20 “হে আমাদের প্রভু, আমরা আপনার দয়া ভিক্ষা করছি,” তাঁরা বললেন, “প্রথমবার আমরা এখানে খাদ্যশস্য কেনার জন্যই এসেছিলাম। 21 কিন্তু রাত্রিযাপনের জন্য আমরা একটি স্থানে থেমে আমাদের বস্তাগুলি খুলেছিলাম এবং আমাদের প্রত্যেকেই বস্তার মুখে নিজের নিজের রুপো—একেবারে নির্ভুল ওজনের রুপো—খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই আমরা তা নিজেদের সঙ্গে করে ফিরিয়ে এনেছি। 22 খাদ্যশস্য কেনার জন্য আমরা আরও কিছু রুপো আমাদের সঙ্গে করে এনেছি। আমরা জানি না কে আমাদের বস্তাগুলিতে আমাদের রুপোগুলি রেখে দিয়েছিল।” 23 24 “ঠিক আছে,” তিনি বললেন। “ভয় পেয়ো না। তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পৈত্রিক ঈশ্বর, তোমাদের বস্তাগুলিতে পুরে তোমাদের ধনসম্পদ দিয়েছেন; আমি তোমাদের রুপো পেয়েছি।” পরে তিনি শিমিয়োনকে তাঁদের কাছে আনলেন। সেই গোমস্তা তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন, তাঁদের পা ধোয়ার জন্য তাঁদের জল দিলেন এবং তাঁদের গাধাগুলির জন্য জাবনার জোগান দিলেন। 25 দুপুরে যোষেফ আসবেন বলে তাঁরা তাঁদের উপহারসামগ্রী প্রস্তুত করে রাখলেন, কারণ তাঁরা শুনেছিলেন যে সেখানে তাঁদের ভোজনপান করতে হবে। 26 যোষেফ যখন ঘরে এলেন, তখন সেই বাড়িতে তাঁরা যেসব উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলি তাঁরা তাঁকে দিলেন, এবং মাটিতে নতমস্তক হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন। 27 তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন তারা কেমন আছেন, এবং পরে তিনি বললেন, “তোমাদের যে বৃদ্ধ বাবার কথা তোমরা বলেছিলে, তিনি কেমন আছেন? তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন?” 28 29 তাঁরা উত্তর দিলেন, “আপনার দাস আমাদের বাবা এখনও বেঁচে আছেন ও ভালোই আছেন।” এবং তাঁরা তাঁর সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন। তিনি চোখ তুলে তাকিয়ে যেই না তাঁর ভাই বিন্যামীনকে, তাঁর সহোদর ভাইকে দেখতে পেলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “এই কি তোমাদের সেই ছোটো ভাই, যার কথা তোমরা আমাকে বলেছিলে?” আর তিনি বললেন, “বাছা, ঈশ্বর তোমার প্রতি মঙ্গলময় হোন।” 30 ভাইকে দেখতে পেয়ে যোষেফ দারুণ আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন, তাই তিনি তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে গেলেন ও কাঁদার জন্য একটি স্থান খুঁজলেন। তিনি নিজের খাস কামরায় ঢুকে গেলেন ও সেখানে কেঁদে নিলেন। 31 32 নিজের মুখ ধুয়ে নেওয়ার পর, নিজেকে সংযত করে তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে বললেন, “খাবার পরিবেশন করো।” তারা আলাদা আলাদা করে তাঁর জন্য, তাঁর ভাইদের জন্য এবং তাঁর সাথে যে মিশরীয়রা খেতে বসেছিল, তাদের জন্য খাবার পরিবেশন করল, কারণ মিশরীয়রা হিব্রুদের সাথে ভোজনপান করত না, যেহেতু মিশরীয়দের কাছে তা ঘৃণ্য বলে গণ্য হত। 33 বড়ো থেকে শুরু করে ছোটো পর্যন্ত, তাঁদের বয়সানুসারেই তাঁদের তাঁর সামনে বসানো হল; এবং তাঁরা অবাক হয়ে পরস্পরের দিকে তাকালেন। 34 যোষেফের টেবিল থেকে যখন তাঁদের খাবার পরিবেশন করা হল, বিন্যামীনের অংশটি অন্য যে কারোর অংশের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হল। অতএব তাঁরা তাঁর সাথে বসে অবাধে পেট পুরে ভোজনপান করলেন।
মিশরের উদ্দেশে দ্বিতীয় যাত্রা 1 তখনও পর্যন্ত সেদেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছিল। .::. 2 অতএব যখন তাঁরা মিশর থেকে আনা সব খাদ্যশস্য খেয়ে ফেললেন, তখন তাঁদের বাবা তাঁদের বললেন, “তোমরা ফিরে যাও ও আমাদের জন্য আরও কিছু খাদ্যশস্য কিনে আনো।” .::. 3 কিন্তু যিহূদা তাঁকে বললেন, “সেই লোকটি শপথপূর্বক আমাদের সাবধান করে দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’ .::. 4 আপনি যদি আমাদের সঙ্গে আমাদের ভাইকে পাঠান, তবেই আমরা সেখানে যাব ও আপনার জন্য খাদ্যশস্য কিনে আনব। .::. 5 কিন্তু আপনি যদি তাকে না পাঠান, আমরা সেখানে যাব না, কারণ সেই লোকটি আমাদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’ ” .::. 6 .::. 7 ইস্রায়েল জিজ্ঞাসা করলেন, “সেই লোকটিকে একথা বলে কেন তোমরা আমার উপর এই বিপত্তি ডেকে এনেছ যে তোমাদের অন্য একটি ভাই আছে?” .::. 8 তাঁরা উত্তর দিলেন, “সেই লোকটি আমাদের বিষয়ে ও আমাদের পরিবারের বিষয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে আমাদের প্রশ্ন করেছিলেন। ‘তোমাদের বাবা কি এখনও জীবিত আছেন?’ তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ‘তোমাদের কি অন্য কোনও ভাই আছে?’ আমরা শুধু তাঁর প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলাম। আমরা কীভাবে জানব যে তিনি বলবেন, ‘তোমাদের ভাইকে এখানে নিয়ে এসো’?” তখন যিহূদা তাঁর বাবা ইস্রায়েলকে বললেন, “বালকটিকে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিন এবং আমরা এখনই রওনা দেব, যেন আমরা ও আপনি এবং আমাদের সন্তানেরা বাঁচতে পারি এবং না মরি। .::. 9 আমি নিজে তার নিরাপত্তার মুচলেকা দেব; তার জন্য আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে দায়ী করতে পারেন। আমি যদি তাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে না পারি ও আপনার সামনে তাকে দাঁড় করাতে না পারি, তবে সারা জীবন আমি এই দোষ বয়ে বেড়াব। .::. 10 তবে ঘটনা হল এই যে, আমরা যদি দেরি না করতাম, তবে এতক্ষণে আমরা দু-দুবার সেখানে গিয়ে ফিরে আসতে পারতাম।” .::. 11 তখন তাঁদের বাবা ইস্রায়েল তাঁদের বললেন, “যদি তা আবশ্যক হয়, তবে এরকম করো: তোমাদের বস্তাগুলিতে এদেশের শ্রেষ্ঠ দ্রব্যগুলির মধ্যে কিছু কিছু নিয়ে রাখো ও এক উপহারসামগ্রীরূপে সেগুলি সেই লোকটির কাছে নিয়ে যাও—যেমন সামান্য কিছু গুগ্‌গুল ও সামান্য কিছু মধু, কিছু মশলাপাতি ও গন্ধরস, কিছু পেস্তাবাদাম ও কাঠবাদাম। .::. 12 তোমরা নিজেদের সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো নাও, কারণ সেই রুপোগুলি তোমাদের ফেরত দিতে হবে যা তোমাদের বস্তার মুখে রেখে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো ভুলবশতই তা হয়েছিল। .::. 13 তোমাদের ভাইকেও সঙ্গে নাও এবং এখনই সেই লোকটির কাছে চলে যাও। .::. 14 আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর* হিব্রু ভাষায়, এল-শাদ্দাই সেই লোকটির দৃষ্টিতে তোমাদের দয়া পেতে দিন, যেন তিনি তোমাদের অন্য ভাইকে ও বিন্যামীনকে তোমাদের সঙ্গে ফিরে আসতে দেন। আমার আর কি, আমাকে যদি সন্তানহারা হতে হয় তবে তাই হোক।” .::. 15 অতএব তাঁরা উপহারসামগ্রী ও দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো, এবং বিন্যামীনকেও সঙ্গে নিলেন। তাঁরা তাড়াতাড়ি করে মিশরে গেলেন ও যোষেফের কাছে নিজেদের উপস্থিত করলেন। .::. 16 যোষেফ যখন বিন্যামীনকে তাঁদের সঙ্গে দেখতে পেলেন, তখন তিনি তাঁর বাড়ির গোমস্তাকে বললেন, “এদের আমার বাড়িতে নিয়ে যাও, একটি পশু বধ করো এবং ভোজের আয়োজন করো, দুপুরবেলায় এরা আমাদের সঙ্গে ভোজনপান করবে।” .::. 17 যোষেফ যেমনটি করতে বললেন, সেই লোকটি ঠিক সেরকমই করলেন এবং তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। .::. 18 যখন তাঁদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁরা ভাবলেন, “প্রথমবার আমাদের বস্তায় যে রুপো রেখে দেওয়া হয়েছিল সেজন্যই আমাদের এখানে আনা হয়েছে। তিনি আমাদের উপর হামলা করতে ও ক্রীতদাসরূপে আমাদের গ্রেপ্তার করতে এবং আমাদের গাধাগুলি দখল করে নিতে চাইছেন।” .::. 19 অতএব তাঁরা যোষেফের গোমস্তার কাছে চলে গেলেন ও বাড়ির প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। .::. 20 “হে আমাদের প্রভু, আমরা আপনার দয়া ভিক্ষা করছি,” তাঁরা বললেন, “প্রথমবার আমরা এখানে খাদ্যশস্য কেনার জন্যই এসেছিলাম। .::. 21 কিন্তু রাত্রিযাপনের জন্য আমরা একটি স্থানে থেমে আমাদের বস্তাগুলি খুলেছিলাম এবং আমাদের প্রত্যেকেই বস্তার মুখে নিজের নিজের রুপো—একেবারে নির্ভুল ওজনের রুপো—খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই আমরা তা নিজেদের সঙ্গে করে ফিরিয়ে এনেছি। .::. 22 খাদ্যশস্য কেনার জন্য আমরা আরও কিছু রুপো আমাদের সঙ্গে করে এনেছি। আমরা জানি না কে আমাদের বস্তাগুলিতে আমাদের রুপোগুলি রেখে দিয়েছিল।” .::. 23 .::. 24 “ঠিক আছে,” তিনি বললেন। “ভয় পেয়ো না। তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পৈত্রিক ঈশ্বর, তোমাদের বস্তাগুলিতে পুরে তোমাদের ধনসম্পদ দিয়েছেন; আমি তোমাদের রুপো পেয়েছি।” পরে তিনি শিমিয়োনকে তাঁদের কাছে আনলেন। সেই গোমস্তা তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন, তাঁদের পা ধোয়ার জন্য তাঁদের জল দিলেন এবং তাঁদের গাধাগুলির জন্য জাবনার জোগান দিলেন। .::. 25 দুপুরে যোষেফ আসবেন বলে তাঁরা তাঁদের উপহারসামগ্রী প্রস্তুত করে রাখলেন, কারণ তাঁরা শুনেছিলেন যে সেখানে তাঁদের ভোজনপান করতে হবে। .::. 26 যোষেফ যখন ঘরে এলেন, তখন সেই বাড়িতে তাঁরা যেসব উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলি তাঁরা তাঁকে দিলেন, এবং মাটিতে নতমস্তক হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন। .::. 27 তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন তারা কেমন আছেন, এবং পরে তিনি বললেন, “তোমাদের যে বৃদ্ধ বাবার কথা তোমরা বলেছিলে, তিনি কেমন আছেন? তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন?” .::. 28 .::. 29 তাঁরা উত্তর দিলেন, “আপনার দাস আমাদের বাবা এখনও বেঁচে আছেন ও ভালোই আছেন।” এবং তাঁরা তাঁর সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন। তিনি চোখ তুলে তাকিয়ে যেই না তাঁর ভাই বিন্যামীনকে, তাঁর সহোদর ভাইকে দেখতে পেলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “এই কি তোমাদের সেই ছোটো ভাই, যার কথা তোমরা আমাকে বলেছিলে?” আর তিনি বললেন, “বাছা, ঈশ্বর তোমার প্রতি মঙ্গলময় হোন।” .::. 30 ভাইকে দেখতে পেয়ে যোষেফ দারুণ আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন, তাই তিনি তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে গেলেন ও কাঁদার জন্য একটি স্থান খুঁজলেন। তিনি নিজের খাস কামরায় ঢুকে গেলেন ও সেখানে কেঁদে নিলেন। .::. 31 .::. 32 নিজের মুখ ধুয়ে নেওয়ার পর, নিজেকে সংযত করে তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে বললেন, “খাবার পরিবেশন করো।” তারা আলাদা আলাদা করে তাঁর জন্য, তাঁর ভাইদের জন্য এবং তাঁর সাথে যে মিশরীয়রা খেতে বসেছিল, তাদের জন্য খাবার পরিবেশন করল, কারণ মিশরীয়রা হিব্রুদের সাথে ভোজনপান করত না, যেহেতু মিশরীয়দের কাছে তা ঘৃণ্য বলে গণ্য হত। .::. 33 বড়ো থেকে শুরু করে ছোটো পর্যন্ত, তাঁদের বয়সানুসারেই তাঁদের তাঁর সামনে বসানো হল; এবং তাঁরা অবাক হয়ে পরস্পরের দিকে তাকালেন। .::. 34 যোষেফের টেবিল থেকে যখন তাঁদের খাবার পরিবেশন করা হল, বিন্যামীনের অংশটি অন্য যে কারোর অংশের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হল। অতএব তাঁরা তাঁর সাথে বসে অবাধে পেট পুরে ভোজনপান করলেন।
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 1  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 2  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 3  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 4  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 5  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 6  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 7  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 8  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 9  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 10  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 11  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 12  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 13  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 14  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 15  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 16  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 17  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 18  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 19  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 20  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 21  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 22  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 23  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 24  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 25  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 26  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 27  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 28  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 29  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 30  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 31  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 32  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 33  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 34  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 35  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 36  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 37  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 38  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 39  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 40  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 41  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 42  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 43  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 44  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 45  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 46  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 47  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 48  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 49  
  • আদিপুস্তক অধ্যায় 50  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References