পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
এজেকিয়েল

এজেকিয়েল অধ্যায় 16

অবিশ্বস্ত স্ত্রীরূপে জেরুশালেম 1 পরে সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল, 2 “হে মানবসন্তান, জেরুশালেমের ঘৃণ্য কাজ সকলের বিষয় তার কাছে ঘোষণা করো 3 আর বলো, ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু জেরুশালেমকে এই কথা বলেন, তোমার পিতৃপুরুষগণ ও জন্মস্থান কনানীয়দের দেশে; তোমার বাবা ইমোরীয় এবং তোমার মা হিত্তীয়। 4 তুমি যেদিন জন্মেছিলে তোমার নাড়ি কাটা হয়নি, তোমাকে পরিষ্কার করার জন্য ধোয়া হয়নি, তোমার গায়ে নুন মাখানো হয়নি কিংবা তোমাকে কাপড় দিয়ে জড়ানো হয়নি। 5 কেউ তোমাকে মমতার চোখে দেখেনি কিংবা এসব করার জন্য সহানুভূতি দেখায়নি। তোমাকে বরং খোলা মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিল, কারণ যেদিন তুমি জন্মেছিলে সেদিন তোমাকে ঘৃণা করা হয়েছিল। 6 “ ‘আর আমি কাছ দিয়ে যাবার সময় তোমাকে তোমার রক্তের মধ্যে শুয়ে ছটফট করতে দেখলাম এবং আমি তোমাকে বললাম, “জীবিত হও!” 7 আমি তোমাকে ক্ষেত্রের চারার মতো বড়ো করে তুললাম। তুমি বৃদ্ধি পেয়ে বড়ো হয়ে উঠে সব থেকে সুন্দর রত্ন হলে। তোমার বুক গড়ে উঠল, লোম গজাল, কিন্তু তুমি উলঙ্গিনী ও কাপড় ছাড়াই ছিলে। 8 9 “ ‘পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে যাবার সময় তোমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে তোমার এখন প্রেম করবার সময় হয়েছে। আমি আমার পোশাকের কোনা তোমার উপরে ছড়িয়ে দিলাম ও তোমার উলঙ্গ শরীর ঢাকলাম। আমি শপথ করে তোমার সঙ্গে নিয়ম স্থির করলাম, আর তুমি আমার হলে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। “ ‘আমি তোমাকে জলে স্নান করালাম, তোমার গা থেকে সমস্ত রক্ত ধুয়ে দিলাম এবং গায়ে তেল লাগিয়ে দিলাম। 10 আমি তোমার গায়ে নকশা তোলা কাপড় দিলাম, ও পায়ে সূক্ষ্ম চামড়ার চটি পরালাম। আমি মিহি মসিনার কাপড় তোমাকে পরালাম এবং দামি কাপড় দিয়ে তোমাকে ঢাকলাম। 11 আমি তোমাকে গহনা দিয়ে সাজালাম তোমার হাতে চুড়ি ও গলায় হার, 12 নাকে নোলক, কানে দুল ও মাথায় একটি সুন্দর মুকুট দিলাম। 13 এইভাবে সোনা ও রুপো দিয়ে তোমাকে সাজানো হল; তোমার কাপড় ছিল মিহি মসিনার, ব্যয়বহুল বস্ত্র ও নকশা তোলা কাপড়ের। তোমার খাবার ছিল মধু, জলপাই তেল ও মিহি ময়দা। তুমি খুব সুন্দরী হয়ে অবশেষে রানি হলে। 14 আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য তোমার খ্যাতি জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল, কারণ তোমাকে আমি যে শোভা দিয়েছিলাম তা তোমার সৌন্দর্য নিখুঁত হয়েছিল, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। 15 “ ‘কিন্তু তুমি তোমার সৌন্দর্যের উপর নির্ভরশীল হয়েছ ও বেশ্যা হওয়ার জন্য তোমার সুনাম ব্যবহার করেছ। যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে যেত তার সঙ্গে তুমি ব্যভিচার করতে এবং সে তোমাকে ভোগ করত। 16 তুমি তোমার কোনও কোনও কাপড় নিয়ে পূজার উঁচু জায়গায় সাজিয়ে সেখানে তোমার বেশ্যার কাজ করতে। তুমি তার কাছে যেতে এবং সে তোমার সৌন্দর্য অধিকার করত। 17 আমার সোনা ও রুপো দিয়ে তৈরি গয়না, যা আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, সেই সুন্দর গয়না নিয়ে তুমি নিজের জন্য পুরুষ প্রতিমা করে সেগুলির সঙ্গে ব্যভিচার করতে। 18 আর তুমি তোমার নকশা তোলা কাপড় নিয়ে সেগুলিকে পরাতে এবং তাদের সামনে আমার তেল ও ধূপ রাখতে। 19 আর যে খাবার আমি তোমাকে দিয়েছিলাম—মিহি ময়দা, জলপাই তেল ও মধু যা আমি তোমাকে খেতে দিয়েছিলাম—তুমি সেগুলি তাদের সামনে সুগন্ধি হিসেবে রাখতে। এসবই ঘটেছে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। 20 “ ‘আর তোমার যে ছেলে এবং মেয়েদের আমার জন্য গর্ভে ধরেছিলে তাদের মূর্তিদের কাছে তুমি খাবার হিসেবে বলিদান করেছিলে। তোমার বেশ্যাবৃত্তি কি যথেষ্ট ছিল না? 21 তুমি আমার সন্তানদের হত্যা করে মূর্তিদের কাছে উৎসর্গ করেছিলে। 22 তোমার সব ঘৃণ্য অভ্যাস এবং তোমার বেশ্যাবৃত্তিতে তুমি তোমার যৌবন স্মরণ করোনি, যখন তুমি উলঙ্গিনী ও খালি গায়ে নিজের রক্তের মধ্যে ছটফট করছিলে। 23 “ ‘ধিক্! ধিক্ তোমাকে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। তোমার অন্য সব দুষ্টতার পরেও, 24 তুমি নিজের জন্য ঢিবি তৈরি করেছ ও প্রত্যেকটি খোলা জায়গায় উঁচু প্রতিমার আসন প্রস্তুত করেছ। 25 রাস্তার মোড়ে মোড়েও প্রতিমার আসন তৈরি করে তোমার সৌন্দর্যকে তুমি অপমান করেছ, বাছবিচারহীনভাবে যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে গেছে তুমি তাদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছ। 26 তোমার কামুক প্রতিবেশী মিশরীয়দের সঙ্গে তুমি ব্যভিচার করেছ, এবং আমাকে অসন্তুষ্ট করার জন্য তোমার ব্যভিচারের কাজ আরও বাড়িয়েছ। 27 সেইজন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে হাত বাড়িয়ে তোমার এলাকা কমিয়ে দিয়েছি; ফিলিস্তিয়ার মেয়েরা, যারা তোমার শত্রু তারা তোমার কামুক স্বভাবের জন্য লজ্জা পেয়েছে, আমি তাদের হাতে তোমাকে তুলে দিয়েছি। 28 আসিরীয়দের সঙ্গেও তুমি ব্যভিচার করেছ, কারণ তুমি অতৃপ্ত ছিলে, কিন্তু তারপরেও তোমার তৃপ্তি হয়নি। 29 তারপরে তুমি তোমার ব্যভিচারের কাজ বাড়িয়ে বণিকদের দেশ ব্যাবিলনের সঙ্গেও ব্যভিচার করেছ, কিন্তু এতেও তোমার তৃপ্তি হয়নি। 30 “ ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন, যখন তুমি এই সমস্ত করো, নির্লজ্জ বেশ্যার মতো ব্যবহার করো তখন তোমার বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ পূর্ণ হয়েছে! 31 যখন তুমি নিজের জন্য রাস্তার কোণে ঢিবি তৈরি করেছ ও প্রত্যেকটি খোলা জায়গায় উঁচু প্রতিমার আসন প্রস্তুত করেছ, তখন বেশ্যার মতো কাজ করোনি কারণ তুমি তোমার পাওনা টাকে অগ্রাহ্য করেছ। 32 “ ‘তুমি ব্যভিচারিণী স্ত্রী! তুমি তোমার স্বামীর চেয়ে অপরিচিতদের পছন্দ করেছ! 33 প্রত্যেক বেশ্যা পারিশ্রমিক পায়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিকদের উপহার দিয়ে থাকো, তোমার কাছ থেকে অবৈধ অনুগ্রহ পাবার জন্য যাতে তারা সব জায়গা থেকে তোমার কাছে আসে সেইজন্য তুমি তাদের ঘুস দিয়ে থাকো। 34 অন্যান্য স্ত্রীদের থেকে তোমার বেশ্যাবৃত্তি ঠিক উল্টো; তোমার অনুগ্রহ পাবার জন্য কেউ তোমার পিছনে দৌড়ায় না। তুমি একেবারে আলাদা, কারণ তুমি টাকা নাও না বরং টাকা দিয়ে থাকো। 35 “ ‘অতএব, হে বেশ্যা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো! 36 সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন: যেহেতু তুমি তোমার লালসা ঢেলে দিয়েছ ও বাছবিচার না করে তোমার প্রেমিকদের কাছে তোমার নিজের উলঙ্গতা প্রকাশ করেছ, এবং তোমার ঘৃণ্য মূর্তির কারণে ও তোমার সন্তানদের রক্ত তাদের দেওয়ার জন্য, 37 সেই কারণে আমি তোমার প্রেমিকদের জড়ো করব, যাদের সঙ্গে তুমি আনন্দ উপভোগ করেছ, যাদের তুমি প্রেম করেছ ও যাদের তুমি ঘৃণা করেছ। আমি চারিদিক থেকে তোমার বিরুদ্ধে তাদের জড়ো করব ও তাদের সামনেই তোমার সব কাপড় খুলে ফেলব যাতে তারা তোমার উলঙ্গতা দেখতে পায়। 38 যে স্ত্রীলোকেরা ব্যভিচার করে এবং যারা রক্তপাত করে তাদের যে শাস্তি দেওয়া হয় সেই শাস্তিই আমি তোমাকে দেব; আমার ক্রোধ ও অন্তর্জ্বলনের জন্য আমি তোমার উপরে রক্তের প্রতিহিংসা নিয়ে আসব। 39 তারপর আমি তোমাকে তোমার প্রেমিকদের হাতে তুলে দেব, আর তারা তোমার ঢিবি ও উঁচু প্রতিমার আসনগুলি ধ্বংস করবে। তারা তোমাকে বিবস্ত্রা করবে ও তোমার সুন্দর গহনাগুলি নিয়ে নেবে আর তোমাকে একেবারে উলঙ্গ করে রেখে যাবে। 40 তারা তোমার বিরুদ্ধে একদল লোককে উত্তেজিত করবে, যারা তোমাকে পাথর মারবে এবং তরোয়াল দিয়ে তোমাকে টুকরো টুকরো করে কাটবে। 41 তারা তোমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেবে এবং অনেক স্ত্রীলোকের চোখের সামনে তোমাকে শাস্তি দেবে। আমি তোমার বেশ্যাবৃত্তি বন্ধ করে দেব, তোমার প্রেমিকদের তুমি আর অর্থ দেবে না। 42 তারপর তোমার উপর আমার ক্রোধ ও অন্তরের জ্বালা থেমে যাবে; আমি শান্ত হব, আর অসন্তুষ্ট হব না। 43 44 “ ‘যেহেতু তুমি তোমার যৌবনের কথা মনে রাখোনি, কিন্তু এসব বিষয় দিয়ে আমাকে ক্রুদ্ধ করেছ, সেইজন্য আমিও তোমার কাজের ফল তোমাকে দেব, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। তোমার অন্য সমস্ত কুকর্মের সঙ্গে কি তুমি এই ঘৃণ্য কাজও যোগ করোনি? “ ‘যে কেউ প্রবাদ ব্যবহার করে, সে তোমার বিরুদ্ধে এই প্রবাদ ব্যবহার করবে, “যেমন মা, তেমনি মেয়ে।” 45 তুমি তোমার মায়ের উপযুক্ত মেয়ে, যে তার স্বামী ও ছেলেমেয়েদের ঘৃণা করত; এবং তুমি তোমার বোনদের উপযুক্ত বোন, যারা তাদের স্বামী ও সন্তানদের ঘৃণা করত। তোমার মা হিত্তীয়া আর বাবা ইমোরীয়। 46 তোমার দিদি শমরিয়া, যে তার মেয়েদের নিয়ে তোমার উত্তর দিকে বাস করে; আর তোমার বোন, যে তার মেয়েদের নিয়ে তোমার দক্ষিণে বাস করে, সে সদোম। 47 তুমি যে কেবল তাদের পথে চলেছ ও তাদের ঘৃণ্য কাজ অনুসরণ করেছ তাই নয়, কিন্তু বরং তোমার সমস্ত আচার-ব্যবহারে তুমি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের চেয়ে আরও চরিত্রহীন হয়েছ। 48 সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার জীবনের দিব্য, তোমার মেয়েরা ও তুমি যা করেছ তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা কখনও তা করেনি। 49 “ ‘তোমার বোন সদোমের এই পাপ ছিল: সে ও তার মেয়েরা ছিল অহংকারী, প্রচুর খেতো ও নিশ্চিন্তে বাস করত; তারা গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করত না। 50 তারা অহংকারী ছিল ও আমার সামনে ঘৃণ্য কাজ করত। অতএব তুমি যেমন দেখেছ সেইভাবেই আমি তাদের দূর করে দিয়েছি। 51 তুমি যেসব পাপ করেছ তার অর্ধেক শমরিয়া করেনি। তুমি তাদের চেয়ে আরও ঘৃণ্য কাজ করেছ। তুমি এই যেসব কাজ করেছ তা দেখে তোমার বোনদের বরং ধার্মিক মনে হয়েছে। 52 তোমার অপমান তোমাকেই বহন করতে হবে, কারণ তোমার কাজগুলি তোমার বোনদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে। যেহেতু তোমার পাপ তাদের থেকে জঘন্য, তাদের দেখায় যে তারা তোমার থেকে ধার্মিক। সেইজন্য, লজ্জিত হও ও তোমার অপমান বহন করো, কারণ তোমার কাজগুলি তাদের তোমার থেকে বেশি ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছে। 53 “ ‘যাহোক, আমি সদোম ও তার মেয়েদের, শমরিয়া ও তার মেয়েদের এবং তাদের সঙ্গে তোমারও অবস্থা ফিরাব, 54 যেন তুমি তোমার অপমান বহন করো এবং তাদের সান্ত্বনা দিতে যা করেছ তার জন্য লজ্জিত হও। 55 আর তোমার বোনেরা, সদোম তার মেয়েদের ও শমরিয়া তার মেয়েদের সঙ্গে আগে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় ফিরে যাবে; এবং তুমি তোমার মেয়েদের নিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। 56 তোমার অহংকারের দিনে তুমি তোমার বোন সদোমের নাম মুখে আনতে না, 57 যখন তোমার দুষ্টতা প্রকাশ পায়নি। তবুও অরামের মেয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা, ফিলিস্তিনীদের মেয়েরা তোমাকে অবজ্ঞা করে—তোমার চারিদিকে যারা আছে তারা তোমাকে ঘৃণা করে। 58 তুমি তোমার কুকর্ম ও ঘৃণ্য কাজের ফলভোগ করবে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 59 “ ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন তোমার কাজ অনুসারে আমি তোমার সঙ্গে ব্যবহার করব, কারণ তুমি আমার শপথ অবজ্ঞা করে বিধান ভেঙেছ। 60 তবুও তোমার যৌবনকালে তোমার সঙ্গে আমার যে বিধান ছিল, তা আমি মনে করব এবং তোমার জন্য একটি চিরস্থায়ী বিধান স্থাপন করব। 61 তখন তুমি নিজের আচার-ব্যবহার স্মরণ করে লজ্জিতা হবে, যখন তুমি তোমার বোনদের, বড়ো ও ছোটো, তাদের তুমি গ্রহণ করবে। তোমার মেয়ে হিসেবে আমি তাদেরকে তোমাকে দেব, যদিও তারা তোমার সঙ্গে আমার বিধানের মধ্যে নেই। 62 অতএব আমি তোমার জন্য আমার বিধান স্থাপন করব, আর তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু। 63 আমি যখন তোমার সব অন্যায় ক্ষমা করব তখন তুমি সেইসব অন্যায় কাজের জন্য লজ্জিত হবে এবং তোমার অপমানের জন্য আর কখনও মুখ খুলবে না, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন।’ ”
অবিশ্বস্ত স্ত্রীরূপে জেরুশালেম 1 পরে সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল, .::. 2 “হে মানবসন্তান, জেরুশালেমের ঘৃণ্য কাজ সকলের বিষয় তার কাছে ঘোষণা করো .::. 3 আর বলো, ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু জেরুশালেমকে এই কথা বলেন, তোমার পিতৃপুরুষগণ ও জন্মস্থান কনানীয়দের দেশে; তোমার বাবা ইমোরীয় এবং তোমার মা হিত্তীয়। .::. 4 তুমি যেদিন জন্মেছিলে তোমার নাড়ি কাটা হয়নি, তোমাকে পরিষ্কার করার জন্য ধোয়া হয়নি, তোমার গায়ে নুন মাখানো হয়নি কিংবা তোমাকে কাপড় দিয়ে জড়ানো হয়নি। .::. 5 কেউ তোমাকে মমতার চোখে দেখেনি কিংবা এসব করার জন্য সহানুভূতি দেখায়নি। তোমাকে বরং খোলা মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিল, কারণ যেদিন তুমি জন্মেছিলে সেদিন তোমাকে ঘৃণা করা হয়েছিল। .::. 6 “ ‘আর আমি কাছ দিয়ে যাবার সময় তোমাকে তোমার রক্তের মধ্যে শুয়ে ছটফট করতে দেখলাম এবং আমি তোমাকে বললাম, “জীবিত হও!” .::. 7 আমি তোমাকে ক্ষেত্রের চারার মতো বড়ো করে তুললাম। তুমি বৃদ্ধি পেয়ে বড়ো হয়ে উঠে সব থেকে সুন্দর রত্ন হলে। তোমার বুক গড়ে উঠল, লোম গজাল, কিন্তু তুমি উলঙ্গিনী ও কাপড় ছাড়াই ছিলে। .::. 8 .::. 9 “ ‘পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে যাবার সময় তোমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে তোমার এখন প্রেম করবার সময় হয়েছে। আমি আমার পোশাকের কোনা তোমার উপরে ছড়িয়ে দিলাম ও তোমার উলঙ্গ শরীর ঢাকলাম। আমি শপথ করে তোমার সঙ্গে নিয়ম স্থির করলাম, আর তুমি আমার হলে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। “ ‘আমি তোমাকে জলে স্নান করালাম, তোমার গা থেকে সমস্ত রক্ত ধুয়ে দিলাম এবং গায়ে তেল লাগিয়ে দিলাম। .::. 10 আমি তোমার গায়ে নকশা তোলা কাপড় দিলাম, ও পায়ে সূক্ষ্ম চামড়ার চটি পরালাম। আমি মিহি মসিনার কাপড় তোমাকে পরালাম এবং দামি কাপড় দিয়ে তোমাকে ঢাকলাম। .::. 11 আমি তোমাকে গহনা দিয়ে সাজালাম তোমার হাতে চুড়ি ও গলায় হার, .::. 12 নাকে নোলক, কানে দুল ও মাথায় একটি সুন্দর মুকুট দিলাম। .::. 13 এইভাবে সোনা ও রুপো দিয়ে তোমাকে সাজানো হল; তোমার কাপড় ছিল মিহি মসিনার, ব্যয়বহুল বস্ত্র ও নকশা তোলা কাপড়ের। তোমার খাবার ছিল মধু, জলপাই তেল ও মিহি ময়দা। তুমি খুব সুন্দরী হয়ে অবশেষে রানি হলে। .::. 14 আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য তোমার খ্যাতি জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল, কারণ তোমাকে আমি যে শোভা দিয়েছিলাম তা তোমার সৌন্দর্য নিখুঁত হয়েছিল, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। .::. 15 “ ‘কিন্তু তুমি তোমার সৌন্দর্যের উপর নির্ভরশীল হয়েছ ও বেশ্যা হওয়ার জন্য তোমার সুনাম ব্যবহার করেছ। যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে যেত তার সঙ্গে তুমি ব্যভিচার করতে এবং সে তোমাকে ভোগ করত। .::. 16 তুমি তোমার কোনও কোনও কাপড় নিয়ে পূজার উঁচু জায়গায় সাজিয়ে সেখানে তোমার বেশ্যার কাজ করতে। তুমি তার কাছে যেতে এবং সে তোমার সৌন্দর্য অধিকার করত। .::. 17 আমার সোনা ও রুপো দিয়ে তৈরি গয়না, যা আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, সেই সুন্দর গয়না নিয়ে তুমি নিজের জন্য পুরুষ প্রতিমা করে সেগুলির সঙ্গে ব্যভিচার করতে। .::. 18 আর তুমি তোমার নকশা তোলা কাপড় নিয়ে সেগুলিকে পরাতে এবং তাদের সামনে আমার তেল ও ধূপ রাখতে। .::. 19 আর যে খাবার আমি তোমাকে দিয়েছিলাম—মিহি ময়দা, জলপাই তেল ও মধু যা আমি তোমাকে খেতে দিয়েছিলাম—তুমি সেগুলি তাদের সামনে সুগন্ধি হিসেবে রাখতে। এসবই ঘটেছে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। .::. 20 “ ‘আর তোমার যে ছেলে এবং মেয়েদের আমার জন্য গর্ভে ধরেছিলে তাদের মূর্তিদের কাছে তুমি খাবার হিসেবে বলিদান করেছিলে। তোমার বেশ্যাবৃত্তি কি যথেষ্ট ছিল না? .::. 21 তুমি আমার সন্তানদের হত্যা করে মূর্তিদের কাছে উৎসর্গ করেছিলে। .::. 22 তোমার সব ঘৃণ্য অভ্যাস এবং তোমার বেশ্যাবৃত্তিতে তুমি তোমার যৌবন স্মরণ করোনি, যখন তুমি উলঙ্গিনী ও খালি গায়ে নিজের রক্তের মধ্যে ছটফট করছিলে। .::. 23 “ ‘ধিক্! ধিক্ তোমাকে, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। তোমার অন্য সব দুষ্টতার পরেও, .::. 24 তুমি নিজের জন্য ঢিবি তৈরি করেছ ও প্রত্যেকটি খোলা জায়গায় উঁচু প্রতিমার আসন প্রস্তুত করেছ। .::. 25 রাস্তার মোড়ে মোড়েও প্রতিমার আসন তৈরি করে তোমার সৌন্দর্যকে তুমি অপমান করেছ, বাছবিচারহীনভাবে যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে গেছে তুমি তাদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছ। .::. 26 তোমার কামুক প্রতিবেশী মিশরীয়দের সঙ্গে তুমি ব্যভিচার করেছ, এবং আমাকে অসন্তুষ্ট করার জন্য তোমার ব্যভিচারের কাজ আরও বাড়িয়েছ। .::. 27 সেইজন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে হাত বাড়িয়ে তোমার এলাকা কমিয়ে দিয়েছি; ফিলিস্তিয়ার মেয়েরা, যারা তোমার শত্রু তারা তোমার কামুক স্বভাবের জন্য লজ্জা পেয়েছে, আমি তাদের হাতে তোমাকে তুলে দিয়েছি। .::. 28 আসিরীয়দের সঙ্গেও তুমি ব্যভিচার করেছ, কারণ তুমি অতৃপ্ত ছিলে, কিন্তু তারপরেও তোমার তৃপ্তি হয়নি। .::. 29 তারপরে তুমি তোমার ব্যভিচারের কাজ বাড়িয়ে বণিকদের দেশ ব্যাবিলনের সঙ্গেও ব্যভিচার করেছ, কিন্তু এতেও তোমার তৃপ্তি হয়নি। .::. 30 “ ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন, যখন তুমি এই সমস্ত করো, নির্লজ্জ বেশ্যার মতো ব্যবহার করো তখন তোমার বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ পূর্ণ হয়েছে! .::. 31 যখন তুমি নিজের জন্য রাস্তার কোণে ঢিবি তৈরি করেছ ও প্রত্যেকটি খোলা জায়গায় উঁচু প্রতিমার আসন প্রস্তুত করেছ, তখন বেশ্যার মতো কাজ করোনি কারণ তুমি তোমার পাওনা টাকে অগ্রাহ্য করেছ। .::. 32 “ ‘তুমি ব্যভিচারিণী স্ত্রী! তুমি তোমার স্বামীর চেয়ে অপরিচিতদের পছন্দ করেছ! .::. 33 প্রত্যেক বেশ্যা পারিশ্রমিক পায়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিকদের উপহার দিয়ে থাকো, তোমার কাছ থেকে অবৈধ অনুগ্রহ পাবার জন্য যাতে তারা সব জায়গা থেকে তোমার কাছে আসে সেইজন্য তুমি তাদের ঘুস দিয়ে থাকো। .::. 34 অন্যান্য স্ত্রীদের থেকে তোমার বেশ্যাবৃত্তি ঠিক উল্টো; তোমার অনুগ্রহ পাবার জন্য কেউ তোমার পিছনে দৌড়ায় না। তুমি একেবারে আলাদা, কারণ তুমি টাকা নাও না বরং টাকা দিয়ে থাকো। .::. 35 “ ‘অতএব, হে বেশ্যা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো! .::. 36 সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন: যেহেতু তুমি তোমার লালসা ঢেলে দিয়েছ ও বাছবিচার না করে তোমার প্রেমিকদের কাছে তোমার নিজের উলঙ্গতা প্রকাশ করেছ, এবং তোমার ঘৃণ্য মূর্তির কারণে ও তোমার সন্তানদের রক্ত তাদের দেওয়ার জন্য, .::. 37 সেই কারণে আমি তোমার প্রেমিকদের জড়ো করব, যাদের সঙ্গে তুমি আনন্দ উপভোগ করেছ, যাদের তুমি প্রেম করেছ ও যাদের তুমি ঘৃণা করেছ। আমি চারিদিক থেকে তোমার বিরুদ্ধে তাদের জড়ো করব ও তাদের সামনেই তোমার সব কাপড় খুলে ফেলব যাতে তারা তোমার উলঙ্গতা দেখতে পায়। .::. 38 যে স্ত্রীলোকেরা ব্যভিচার করে এবং যারা রক্তপাত করে তাদের যে শাস্তি দেওয়া হয় সেই শাস্তিই আমি তোমাকে দেব; আমার ক্রোধ ও অন্তর্জ্বলনের জন্য আমি তোমার উপরে রক্তের প্রতিহিংসা নিয়ে আসব। .::. 39 তারপর আমি তোমাকে তোমার প্রেমিকদের হাতে তুলে দেব, আর তারা তোমার ঢিবি ও উঁচু প্রতিমার আসনগুলি ধ্বংস করবে। তারা তোমাকে বিবস্ত্রা করবে ও তোমার সুন্দর গহনাগুলি নিয়ে নেবে আর তোমাকে একেবারে উলঙ্গ করে রেখে যাবে। .::. 40 তারা তোমার বিরুদ্ধে একদল লোককে উত্তেজিত করবে, যারা তোমাকে পাথর মারবে এবং তরোয়াল দিয়ে তোমাকে টুকরো টুকরো করে কাটবে। .::. 41 তারা তোমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেবে এবং অনেক স্ত্রীলোকের চোখের সামনে তোমাকে শাস্তি দেবে। আমি তোমার বেশ্যাবৃত্তি বন্ধ করে দেব, তোমার প্রেমিকদের তুমি আর অর্থ দেবে না। .::. 42 তারপর তোমার উপর আমার ক্রোধ ও অন্তরের জ্বালা থেমে যাবে; আমি শান্ত হব, আর অসন্তুষ্ট হব না। .::. 43 .::. 44 “ ‘যেহেতু তুমি তোমার যৌবনের কথা মনে রাখোনি, কিন্তু এসব বিষয় দিয়ে আমাকে ক্রুদ্ধ করেছ, সেইজন্য আমিও তোমার কাজের ফল তোমাকে দেব, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন। তোমার অন্য সমস্ত কুকর্মের সঙ্গে কি তুমি এই ঘৃণ্য কাজও যোগ করোনি? “ ‘যে কেউ প্রবাদ ব্যবহার করে, সে তোমার বিরুদ্ধে এই প্রবাদ ব্যবহার করবে, “যেমন মা, তেমনি মেয়ে।” .::. 45 তুমি তোমার মায়ের উপযুক্ত মেয়ে, যে তার স্বামী ও ছেলেমেয়েদের ঘৃণা করত; এবং তুমি তোমার বোনদের উপযুক্ত বোন, যারা তাদের স্বামী ও সন্তানদের ঘৃণা করত। তোমার মা হিত্তীয়া আর বাবা ইমোরীয়। .::. 46 তোমার দিদি শমরিয়া, যে তার মেয়েদের নিয়ে তোমার উত্তর দিকে বাস করে; আর তোমার বোন, যে তার মেয়েদের নিয়ে তোমার দক্ষিণে বাস করে, সে সদোম। .::. 47 তুমি যে কেবল তাদের পথে চলেছ ও তাদের ঘৃণ্য কাজ অনুসরণ করেছ তাই নয়, কিন্তু বরং তোমার সমস্ত আচার-ব্যবহারে তুমি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের চেয়ে আরও চরিত্রহীন হয়েছ। .::. 48 সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার জীবনের দিব্য, তোমার মেয়েরা ও তুমি যা করেছ তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা কখনও তা করেনি। .::. 49 “ ‘তোমার বোন সদোমের এই পাপ ছিল: সে ও তার মেয়েরা ছিল অহংকারী, প্রচুর খেতো ও নিশ্চিন্তে বাস করত; তারা গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করত না। .::. 50 তারা অহংকারী ছিল ও আমার সামনে ঘৃণ্য কাজ করত। অতএব তুমি যেমন দেখেছ সেইভাবেই আমি তাদের দূর করে দিয়েছি। .::. 51 তুমি যেসব পাপ করেছ তার অর্ধেক শমরিয়া করেনি। তুমি তাদের চেয়ে আরও ঘৃণ্য কাজ করেছ। তুমি এই যেসব কাজ করেছ তা দেখে তোমার বোনদের বরং ধার্মিক মনে হয়েছে। .::. 52 তোমার অপমান তোমাকেই বহন করতে হবে, কারণ তোমার কাজগুলি তোমার বোনদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে। যেহেতু তোমার পাপ তাদের থেকে জঘন্য, তাদের দেখায় যে তারা তোমার থেকে ধার্মিক। সেইজন্য, লজ্জিত হও ও তোমার অপমান বহন করো, কারণ তোমার কাজগুলি তাদের তোমার থেকে বেশি ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছে। .::. 53 “ ‘যাহোক, আমি সদোম ও তার মেয়েদের, শমরিয়া ও তার মেয়েদের এবং তাদের সঙ্গে তোমারও অবস্থা ফিরাব, .::. 54 যেন তুমি তোমার অপমান বহন করো এবং তাদের সান্ত্বনা দিতে যা করেছ তার জন্য লজ্জিত হও। .::. 55 আর তোমার বোনেরা, সদোম তার মেয়েদের ও শমরিয়া তার মেয়েদের সঙ্গে আগে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় ফিরে যাবে; এবং তুমি তোমার মেয়েদের নিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। .::. 56 তোমার অহংকারের দিনে তুমি তোমার বোন সদোমের নাম মুখে আনতে না, .::. 57 যখন তোমার দুষ্টতা প্রকাশ পায়নি। তবুও অরামের মেয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা, ফিলিস্তিনীদের মেয়েরা তোমাকে অবজ্ঞা করে—তোমার চারিদিকে যারা আছে তারা তোমাকে ঘৃণা করে। .::. 58 তুমি তোমার কুকর্ম ও ঘৃণ্য কাজের ফলভোগ করবে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। .::. 59 “ ‘সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন তোমার কাজ অনুসারে আমি তোমার সঙ্গে ব্যবহার করব, কারণ তুমি আমার শপথ অবজ্ঞা করে বিধান ভেঙেছ। .::. 60 তবুও তোমার যৌবনকালে তোমার সঙ্গে আমার যে বিধান ছিল, তা আমি মনে করব এবং তোমার জন্য একটি চিরস্থায়ী বিধান স্থাপন করব। .::. 61 তখন তুমি নিজের আচার-ব্যবহার স্মরণ করে লজ্জিতা হবে, যখন তুমি তোমার বোনদের, বড়ো ও ছোটো, তাদের তুমি গ্রহণ করবে। তোমার মেয়ে হিসেবে আমি তাদেরকে তোমাকে দেব, যদিও তারা তোমার সঙ্গে আমার বিধানের মধ্যে নেই। .::. 62 অতএব আমি তোমার জন্য আমার বিধান স্থাপন করব, আর তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু। .::. 63 আমি যখন তোমার সব অন্যায় ক্ষমা করব তখন তুমি সেইসব অন্যায় কাজের জন্য লজ্জিত হবে এবং তোমার অপমানের জন্য আর কখনও মুখ খুলবে না, এই কথা সার্বভৌম সদাপ্রভু বলেন।’ ”
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 1  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 2  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 3  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 4  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 5  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 6  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 7  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 8  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 9  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 10  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 11  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 12  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 13  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 14  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 15  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 16  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 17  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 18  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 19  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 20  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 21  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 22  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 23  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 24  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 25  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 26  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 27  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 28  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 29  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 30  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 31  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 32  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 33  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 34  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 35  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 36  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 37  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 38  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 39  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 40  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 41  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 42  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 43  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 44  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 45  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 46  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 47  
  • এজেকিয়েল অধ্যায় 48  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References