প্রবচন

প্রবচন অধ্যায় 28

1 কেহ তাড়না না করিলেও দুষ্ট পলায়; কিন্তু ধার্ম্মিকগণ সিংহের ন্যায় সাহসী। 2 দেশের অধর্ম্মে তাহার অনেক কর্ত্তা হয়; কিন্তু বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান লোক দ্বারা *কর্ত্তৃত্ব স্থায়ী হয়। 3 যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন প্লাবক বৃষ্টির তুল্য, যাহার পরে ভক্ষ্য থাকে না। 4 ব্যবস্থাত্যাগীরা দুষ্টের প্রশংসা করে; কিন্তু ব্যবস্থাপালকেরা দুষ্টদের প্রতিরোধ করে। 5 দুরাচারেরা বিচার বুঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষীরা সকলই বুঝে। 6 বরং সেই দরিদ্র লোক ভাল, যে নিজ সিদ্ধতায় চলে, তবু দ্বিপথগামী কুটিল লোক ধনবান হইলেও ভাল নয়। 7 যে ব্যবস্থা মানে, সেই জ্ঞানবান পুত্র; কিন্তু ভোক্তাদের সখা পিতার অপমানজনক। 8 যে সুদ ও বৃদ্ধি লইয়া আপন ধন বাড়ায়, সে দীনহীনদের প্রতি দয়াকারীর জন্য সঞ্চয় করে। 9 যে ব্যবস্থা শ্রবণ হইতে আপন কর্ণ ফিরাইয়া লয়, তাহার প্রার্থনাও ঘৃণাস্পদ। 10 যে সরল লোকদিগকে কুপথে লইয়া ভ্রান্ত করে, সে নিজের খাতে পতিত হইবে; কিন্তু সিদ্ধ লোকেরা মঙ্গলরূপ অধিকার পায়। 11 ধনী আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান, কিন্তু বুদ্ধিমান দরিদ্র তাহার পরীক্ষা করে। 12 ধার্ম্মিকদের উল্লাসে মহাগৌরব হয়, কিন্তু দুষ্টদের উন্নতি হইলে লোকদের খুঁজিয়া পাওয়া ভার। 13 যে আপন অধর্ম্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তাহা স্বীকার করিয়া ত্যাগ করে, সে করুণা পাইবে। 14 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সর্ব্বদা ভয় রাখে; কিন্তু যে হৃদয় কঠিন করে, সে বিপদে পড়িবে। 15 যেমন গর্জ্জনকারী সিংহ ও পর্য্যটনকারী ভল্লুক, তেমনি দীনহীন প্রজার উপরে দুষ্ট শাসনকর্ত্তা। 16 যে অধ্যক্ষ হীনবুদ্ধি, সে আবার বড় উপদ্রবী; কিন্তু যে লোভ ঘৃণা করে, সেই দীর্ঘজীবী হইবে। 17 যে মনুষ্য নর-রক্তভারে ভারাক্রান্ত, সে গর্ত্ত পর্য্যন্ত পলাইবে, কেহ তাহাকে নিবারণ না করুক। 18 যে সিদ্ধভাবে চলে, সে রক্ষা পাইবে; কিন্তু যে বক্রগামী দুই পথে চলে, সে একটায় পতিত হইবে। 19 যে আপন জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট আহার পায়; কিন্তু যে অসার লোকদের পিছনে পিছনে দৌড়ে, তাহার ঢের অকুলান হয়। 20 বিশ্বস্ত লোক অনেক আশীর্ব্বাদ পাইবে; কিন্তু যে ধনবান হইবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না। 21 মানুষের মুখাপেক্ষা করা ভাল নয়, একখণ্ড রুটীর নিমিত্ত অধর্ম্ম করাও ভাল নয়। 22 যার চক্ষু মন্দ, সে ধনের চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত; সে জানে না যে, দীতনা তাহাকে ধরিবে। 23 কোন লোককে যে অনুযোগ করে, শেষে সে অনুগ্রহ পাইবে, যে জিহ্বাতে চাটুবাদ করে, সে নয়। 24 যে পিতামাতার ধন চুরি করিয়া বলে, এ ত অধর্ম্ম নয়, সে ব্যক্তি বিনাশকের সখা। 25 যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজনা করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুকে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে। 26 যে নিজ হৃদয়কে বিশ্বাস করে, সে হীনবুদ্ধি; কিন্তু যে প্রজ্ঞা-পথে চলে, সে রক্ষা পাইবে। 27 যে দরিদ্রকে দান করে, তাহার অভাব ঘটে না, কিন্তু যে চক্ষু মুদে, সে অনেক অভিশাপ পাইবে। 28 দুষ্টদের উন্নতি হইলে লোকেরা লুকায়; তাহারা বিনষ্ট হইলে ধার্ম্মিকেরা বর্দ্ধিষ্ণু হয়।
1. কেহ তাড়না না করিলেও দুষ্ট পলায়; কিন্তু ধার্ম্মিকগণ সিংহের ন্যায় সাহসী। 2. দেশের অধর্ম্মে তাহার অনেক কর্ত্তা হয়; কিন্তু বুদ্ধিমান ও জ্ঞানবান লোক দ্বারা [কর্ত্তৃত্ব] স্থায়ী হয়। 3. যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন প্লাবক বৃষ্টির তুল্য, যাহার পরে ভক্ষ্য থাকে না। 4. ব্যবস্থাত্যাগীরা দুষ্টের প্রশংসা করে; কিন্তু ব্যবস্থাপালকেরা দুষ্টদের প্রতিরোধ করে। 5. দুরাচারেরা বিচার বুঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষীরা সকলই বুঝে। 6. বরং সেই দরিদ্র লোক ভাল, যে নিজ সিদ্ধতায় চলে, তবু দ্বিপথগামী কুটিল লোক ধনবান হইলেও ভাল নয়। 7. যে ব্যবস্থা মানে, সেই জ্ঞানবান পুত্র; কিন্তু ভোক্তাদের সখা পিতার অপমানজনক। 8. যে সুদ ও বৃদ্ধি লইয়া আপন ধন বাড়ায়, সে দীনহীনদের প্রতি দয়াকারীর জন্য সঞ্চয় করে। 9. যে ব্যবস্থা শ্রবণ হইতে আপন কর্ণ ফিরাইয়া লয়, তাহার প্রার্থনাও ঘৃণাস্পদ। 10. যে সরল লোকদিগকে কুপথে লইয়া ভ্রান্ত করে, সে নিজের খাতে পতিত হইবে; কিন্তু সিদ্ধ লোকেরা মঙ্গলরূপ অধিকার পায়। 11. ধনী আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান, কিন্তু বুদ্ধিমান দরিদ্র তাহার পরীক্ষা করে। 12. ধার্ম্মিকদের উল্লাসে মহাগৌরব হয়, কিন্তু দুষ্টদের উন্নতি হইলে লোকদের খুঁজিয়া পাওয়া ভার। 13. যে আপন অধর্ম্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকার্য্য হইবে না; কিন্তু যে তাহা স্বীকার করিয়া ত্যাগ করে, সে করুণা পাইবে। 14. ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সর্ব্বদা ভয় রাখে; কিন্তু যে হৃদয় কঠিন করে, সে বিপদে পড়িবে। 15. যেমন গর্জ্জনকারী সিংহ ও পর্য্যটনকারী ভল্লুক, তেমনি দীনহীন প্রজার উপরে দুষ্ট শাসনকর্ত্তা। 16. যে অধ্যক্ষ হীনবুদ্ধি, সে আবার বড় উপদ্রবী; কিন্তু যে লোভ ঘৃণা করে, সেই দীর্ঘজীবী হইবে। 17. যে মনুষ্য নর-রক্তভারে ভারাক্রান্ত, সে গর্ত্ত পর্য্যন্ত পলাইবে, কেহ তাহাকে নিবারণ না করুক। 18. যে সিদ্ধভাবে চলে, সে রক্ষা পাইবে; কিন্তু যে বক্রগামী দুই পথে চলে, সে একটায় পতিত হইবে। 19. যে আপন জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট আহার পায়; কিন্তু যে অসার লোকদের পিছনে পিছনে দৌড়ে, তাহার ঢের অকুলান হয়। 20. বিশ্বস্ত লোক অনেক আশীর্ব্বাদ পাইবে; কিন্তু যে ধনবান হইবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না। 21. মানুষের মুখাপেক্ষা করা ভাল নয়, একখণ্ড রুটীর নিমিত্ত অধর্ম্ম করাও ভাল নয়। 22. যার চক্ষু মন্দ, সে ধনের চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত; সে জানে না যে, দীতনা তাহাকে ধরিবে। 23. কোন লোককে যে অনুযোগ করে, শেষে সে অনুগ্রহ পাইবে, যে জিহ্বাতে চাটুবাদ করে, সে নয়। 24. যে পিতামাতার ধন চুরি করিয়া বলে, এ ত অধর্ম্ম নয়, সে ব্যক্তি বিনাশকের সখা। 25. যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজনা করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুকে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে। 26. যে নিজ হৃদয়কে বিশ্বাস করে, সে হীনবুদ্ধি; কিন্তু যে প্রজ্ঞা-পথে চলে, সে রক্ষা পাইবে। 27. যে দরিদ্রকে দান করে, তাহার অভাব ঘটে না, কিন্তু যে চক্ষু মুদে, সে অনেক অভিশাপ পাইবে। 28. দুষ্টদের উন্নতি হইলে লোকেরা লুকায়; তাহারা বিনষ্ট হইলে ধার্ম্মিকেরা বর্দ্ধিষ্ণু হয়।
  • প্রবচন অধ্যায় 1  
  • প্রবচন অধ্যায় 2  
  • প্রবচন অধ্যায় 3  
  • প্রবচন অধ্যায় 4  
  • প্রবচন অধ্যায় 5  
  • প্রবচন অধ্যায় 6  
  • প্রবচন অধ্যায় 7  
  • প্রবচন অধ্যায় 8  
  • প্রবচন অধ্যায় 9  
  • প্রবচন অধ্যায় 10  
  • প্রবচন অধ্যায় 11  
  • প্রবচন অধ্যায় 12  
  • প্রবচন অধ্যায় 13  
  • প্রবচন অধ্যায় 14  
  • প্রবচন অধ্যায় 15  
  • প্রবচন অধ্যায় 16  
  • প্রবচন অধ্যায় 17  
  • প্রবচন অধ্যায় 18  
  • প্রবচন অধ্যায় 19  
  • প্রবচন অধ্যায় 20  
  • প্রবচন অধ্যায় 21  
  • প্রবচন অধ্যায় 22  
  • প্রবচন অধ্যায় 23  
  • প্রবচন অধ্যায় 24  
  • প্রবচন অধ্যায় 25  
  • প্রবচন অধ্যায় 26  
  • প্রবচন অধ্যায় 27  
  • প্রবচন অধ্যায় 28  
  • প্রবচন অধ্যায় 29  
  • প্রবচন অধ্যায় 30  
  • প্রবচন অধ্যায় 31  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References