1 এই জন্য আমরা এই পরিচর্য্যা-পদ প্রাপ্ত হওয়ায়, যেরূপে দয়া পাইয়াছি, তদনুসারে নিরুৎসাহ হই না;2 বরং লজ্জার গুপ্ত কার্য্যসমূহে জলাঞ্জলি দিয়াছি, ধূর্ত্ততায় চলি না, ঈশ্বরের বাক্যে ভাঁজ দিই না, কিন্তু সত্য প্রকাশ দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে মনুষ্যমাত্রের সংবেদের কাছে আপনাদিগকে যোগ্যপাত্র দেখাইতেছি।3 কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে।4 তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচারদীপ্তি তাহাদের প্রতি উদয় না হয়।5 বস্তুতঃ আমরা আপনাদিগকে নয়, কিন্তু খ্রীষ্ট যীশুতেই প্রভু বলিয়া প্রচার করিতেছি, এবং আপনাদিগকে যীশুর নিমিত্ত তোমাদের দাস বলিয়া দেখাইতেছি।6 কারণ যে ঈশ্বর বলিয়াছিলেন, ‘অন্ধকারের মধ্য হইতে দীপ্তি প্রকাশিত হইবে,’ তিনিই আমাদের হৃদয়ে দীপ্তি প্রকাশ করিলেন, যেন যীশু খ্রীষ্টের মুখমণ্ডলে ঈশ্বরের গৌরবের জ্ঞান দীপ্তি প্রকাশ পায়।7 কিন্তু এই ধন মৃন্ময় পাত্রে করিয়া আমরা ধারণ করিতেছি, যেন পরাক্রমের উৎকর্ষ ঈশ্বরের হয়, আমাদের হইতে নয়।8 আমরা সর্ব্বপ্রকারে ক্লিষ্ট হইতেছি, কিন্তু সঙ্কটাপন্ন হই না;9 হতবুদ্ধি হইতেছি, কিন্তু নিরাশ হই না; তাড়িত হইতেছি, কিন্তু পরিত্যক্ত হই না; অধঃক্ষিপ্ত হইতেছি, কিন্তু বিনষ্ট হই না।10 আমরা সর্ব্বদা এই দেহে যীশুর মৃত্যু বহন করিয়া বেড়াইতেছি, যেন যীশুর জীবনও আমাদের দেহে প্রকাশ পায়।11 কেননা আমরা জীবিত হইয়াও যীশুর জন্য সর্ব্বদাই মৃত্যু-মুখে সমর্পিত হইতেছি, যেন আমাদের মর্ত্ত্য মাংসে যীশুর জীবনও প্রকাশ পায়।12 এইরূপে আমাদিগেতে মৃত্যু, কিন্তু তোমাদিগেতে জীবন কার্য্য সাধন করিতেছে।13 পরন্তু বিশ্বাসের সেই আত্মা আমাদের আছে, যেরূপ লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করিলাম, তাই কথা কহিলাম; তেমনি আমরাও বিশ্বাস করিতেছি, তাই কথাও কহিতেছি;14 কেননা আমরা জানি, যিনি প্রভু যীশুকে উঠাইয়াছেন, তিনি যীশুর সহিত আমাদিগকেও উঠাইবেন, এবং তোমাদের সহিত উপস্থিত করিবেন।15 কারণ সকলই তোমাদের নিমিত্ত, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ অধিক লোকের দ্বারা বহুলীকৃত হইয়া ঈশ্বরের গৌরবার্থে প্রচুর ধন্যবাদের কারণ হইয়া উঠে।16 এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্য মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।17 বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকালস্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে;18 আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।