ইসাইয়া অধ্যায় 34
1. হে জাতিগণ, নিকটে আসিয়া শুন; হে লোকবৃন্দ, অবধান কর; শুনুক পৃথিবী ও তথাকার সকলে, জগৎ ও তদুৎপন্ন সকল পদার্থ।
2. কেননা জাতিমাত্রের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ, তাহাদের সৈন্য সামন্তের বিরুদ্ধে তাঁহার প্রচণ্ড কোপ প্রজ্বলিত হইল; তিনি তাহাদিগকে নিঃশেষে বিনষ্ট করিলেন, তাহাদিগকে বধে সমর্পণ করিলেন।
3. আর তাহাদের নিহতগণ বাহিরে নিক্ষিপ্ত হইবে, তাহাদের শব হইতে দুর্গন্ধ উঠিবে, তাহাদের রক্তে পর্ব্বতগণ গলিত হইবে।
4. আর আকাশের সমস্ত বাহিনী ক্ষয় পাইবে, আকাশমণ্ডল লিপি-পত্রের ন্যায় জড়াইয়া যাইবে; এবং যেমন দ্রাক্ষালতার জীর্ণ পত্র ও ডুমুর বৃক্ষের জীর্ণ পল্লব, তদ্রূপ তাহার সমস্ত বাহিনী জীর্ণ হইয়া পড়িবে।
5. কেননা আমার খড়্গ স্বর্গে পরিতৃপ্ত হইয়াছে; দেখ, বিচার সাধনার্থে তাহা ইদোম দেশের উপরে, আমার বর্জ্জিত লোকদের উপরে পড়িবে।
6. সদাপ্রভুর খড়্গ তৃপ্ত হইয়াছে রক্তে ও আপ্যায়িত হইয়াছে মেদে, মেষশাবকের ও ছাগের রক্তে এবং মেষদের মেটিয়ার মেদে; কেননা বস্রাতে সদাপ্রভুর এক যজ্ঞ, ইদোম দেশে বিস্তর পশুবধ হইবে।
7. তাহাদের সহিত গবয়, ও ষাঁড়ের সহিত যুবাবৃষ নামিয়া আসিবে, এবং তাহাদের ভূমি রক্তে পরিতৃপ্ত, ও ধূলা মেদে সারাল হইবে।
8. কেননা এ সদাপ্রভুর প্রতিশোধের দিন, এ সিয়োনের বিবাদ সম্বন্ধীয় প্রতিফলদানের বৎসর।
9. তথাকার প্রবাহ সকল আল্কাতরায়, তথাকার ধূলি গন্ধকে পরিণত হইবে, তথাকার ভূমি প্রজ্বলিত আল্কাতরা হইবে।
10. তাহা দিবারাত্র কদাচ নির্ব্বাণ হইবে না, চিরকাল তাহার ধূম উঠিবে; তাহা পুরুষানুক্রমে উৎসন্ন হইয়া থাকিবে, তাহার মধ্য দিয়া অনন্তকালেও কেহ যাইবে না।
11. কিন্তু পানিভেলা ও শজারু তাহা অধিকার করিবে, এবং মহাপেচক ও দাঁড়কাক তাহার মধ্যে বাস করিবে; আর তাহার উপরে অবস্তুতারূপ মানরজ্জু ও শূন্যতারূপ ওলোনসূত্র ধরা যাইবে।
12. তথাকার কুলীনেরা রাজত্ব ঘোষণা করিতে কেহই থাকিবে না; তথাকার অধ্যক্ষবর্গ সর্ব্বতোভাবে লুপ্ত হইবে।
13. তাহার অট্টালিকা সকল কন্টকে, তাহার দুর্গ সকল বিছুটীতে ও শেয়ালকাঁটাতে ব্যাপ্ত হইবে, এবং সেই দেশ শৃগালের বাসস্থান, উষ্ট্রপক্ষীর মাঠ হইবে।
14. আর বন্যপশুগণ বৃকগণের সহিত মিলিবে, এবং ছাগেরা আপন আপন মিত্রকে আহ্বান করিয়া আনিবে; আর সেখানে নিশাচর বাস করিয়া বিশ্রামের স্থান পাইবে।
15. সে স্থানে বেতাছড়া সর্প বাসা করিয়া ডিম্ব প্রসব করিবে, তাহা ফুটাইয়া শাবকদিগকে আপন ছায়াতে একত্র করিবে; এবং সেখানে চিলেরা প্রত্যেকে আপন আপন সঙ্গিনীর সহিত একত্র হইবে।
16. তোমরা সদাপ্রভুর পুস্তকে অনুসন্ধান কর, তাহা পাঠ কর, ইহার একেরও অভাব হইবে না, তাহারা কেহ সঙ্গিনীবিহীন থাকিবে না; কেননা আমার মুখ [দ্বারা] তিনিই ইহা আজ্ঞা করিয়াছেন, এবং তিনিই আপন আত্মা দ্বারা তাহাদিগকে সংগ্রহ করিয়াছেন।
17. আর তিনি গুলিবাঁটপূর্ব্বক তাহাদিগকে সেই অধিকার দিয়াছেন, তাঁহার হস্ত মানরজ্জু দ্বারা প্রত্যেকের অংশ নিরূপণ করিয়াছে; তাহারা চিরকাল তাহা অধিকার করিবে, তাহারা পুরুষানুক্রমে সে স্থানে বাস করিবে।