পবিত্র বাইবেল

গডস গ্রেইস গিফট
ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 38

1 {হিষ্কিয়ের রোগ। } সেই দিনের হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার দিন হয়েছিল। তাই আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় তার কাছে গিয়ে বললেন এবং তাকে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন, তোমার ঘরে ব্যবস্থা করে রাখো, কারণ তুমি মারা যাবে, ভাল হবে না।” 2 তারপর হিষ্কিয় দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। 3 সে বলেছিল, “সদাপ্রভু, বিনয় করি, তুমি মনে করে দেখ, আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত হৃদয়ে দিয়ে চলেছি তোমার চোখে যা ঠিক তা করেছি” এবং এই বলে হিষ্কিয় খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন। 4 তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য যিশাইয়ের কাছে উপস্হিত হল, 5 তুমি যাও হিষ্কিয়কে বল, আমার লোকেদের নেতা, তোমার পূর্বপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং তোমার চোখের জল দেখেছি; দেখ, আমি তোমার জীবনে আরও পনেরো বছর যোগ করব। 6 অশূরীয়ার রাজার হাত থেকে আমি তোমাকে ও এই শহরকে উদ্ধার করব এবং শহরটার উদ্ধারের ব্যবস্থা করব। 7 এবং আমি যে কাজ করব তার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন হল এই: সদাপ্রভু যা বলেছেন তা আমি করব। 8 দেখো, আমি আহসের সিঁড়ির উপরে দশ ধাপ পিছনে ছায়া দেবো। তাই ছায়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল দশটি সিঁড়িতে। 9 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় তাঁর অসুস্থতা থেকে যখন সুস্থ হবার পরে প্রার্থনায় যা লিখেছিলেন: 10 আমি বলেছিলাম, আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকি বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে। 11 আমি বলেছিলাম যে, জীবিতদের দেশে আমি সদাপ্রভুকে আর দেখতে পাব না; এই অস্থায়ী জগতে মানবজাতি বা বিশ্ববাসীর বাসিন্দার আর আমি দেখতে পাব না। 12 মেষপালকের তাঁবুতে আমার প্রাণ* আমার বাসস্থান সরে যায় এবং আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁতীদের মত করে আমার জীবন ঘূর্ণিত হয়েছে। তুমি কাঁটা থেকে আমাকে কেটে ফেলছ। রাতের মধ্যে তুমি আমাকে শেষ করে দেবে। 13 সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমি চিৎকার করে উঠলাম; সিংহের মত তিনি আমার সমস্ত হাড় ভেঙে ফেলবে এবং দিনের মধ্যে তুমি আমার জীবন শেষ করছ। 14 ঘুঘুর মত আমি কাতর স্বরে ডাকতে লাগলাম। উপর দিকে তাকাতে আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রভু, আমি কষ্ট পাচ্ছি, তুমি আমার সাহায্য কর। 15 আমি কি বলব? তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন এবং নিজেই এটা করছে। আমার প্রাণের এই যন্ত্রণার জন্য আমি জীবনের বাকি সব বছরগুলো নম্র হয়ে চলব। 16 প্রভু, তোমরা যে দুঃখ প্রকাশ করছ তা আমার পক্ষে ভাল; আমার জীবন আমার কাছে ফিরে আসতে পারে; তুমি আমার জীবন এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করেছ। 17 আমার সুবিধার জন্য দুঃখের অভিজ্ঞতা ভোগ করেছি, কিন্তু ধ্বংসের গর্ত থেকে তোমার ভালবাসায় তুমি আমাকে উদ্ধার করেছ। কারণ আমার সব পাপ তুমি পিছনে ফেলে দিয়েছ। 18 কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না। 19 কেবল জীবিতেরা, জীবিতেরাই তোমার প্রশংসা করে যেমন আজ আমি করছি; বাবা তার ছেলেদের তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলবে। 20 সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন এবং সেইজন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দিন গুলোতে সদাপ্রভুর ঘরে তারের বাজনার সাথে আমরা গান গাইব। সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুর ঘরে থাকবো। 21 এখন যিশাইয় বলেছিলেন, “ডুমুর দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করে তার ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে তিনি সুস্থ হবেন।” 22 হিষ্কিয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি যে সদাপ্রভুর ঘরে উঠবো তার চিহ্ন কি?”
1 {হিষ্কিয়ের রোগ। } সেই দিনের হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার দিন হয়েছিল। তাই আমোসের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় তার কাছে গিয়ে বললেন এবং তাকে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন, তোমার ঘরে ব্যবস্থা করে রাখো, কারণ তুমি মারা যাবে, ভাল হবে না।” .::. 2 তারপর হিষ্কিয় দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। .::. 3 সে বলেছিল, “সদাপ্রভু, বিনয় করি, তুমি মনে করে দেখ, আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত হৃদয়ে দিয়ে চলেছি তোমার চোখে যা ঠিক তা করেছি” এবং এই বলে হিষ্কিয় খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন। .::. 4 তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য যিশাইয়ের কাছে উপস্হিত হল, .::. 5 তুমি যাও হিষ্কিয়কে বল, আমার লোকেদের নেতা, তোমার পূর্বপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বলছেন, আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং তোমার চোখের জল দেখেছি; দেখ, আমি তোমার জীবনে আরও পনেরো বছর যোগ করব। .::. 6 অশূরীয়ার রাজার হাত থেকে আমি তোমাকে ও এই শহরকে উদ্ধার করব এবং শহরটার উদ্ধারের ব্যবস্থা করব। .::. 7 এবং আমি যে কাজ করব তার প্রমাণস্বরূপ চিহ্ন হল এই: সদাপ্রভু যা বলেছেন তা আমি করব। .::. 8 দেখো, আমি আহসের সিঁড়ির উপরে দশ ধাপ পিছনে ছায়া দেবো। তাই ছায়াটি পিছিয়ে গিয়েছিল দশটি সিঁড়িতে। .::. 9 যিহূদার রাজা হিষ্কিয় তাঁর অসুস্থতা থেকে যখন সুস্থ হবার পরে প্রার্থনায় যা লিখেছিলেন: .::. 10 আমি বলেছিলাম, আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকি বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে। .::. 11 আমি বলেছিলাম যে, জীবিতদের দেশে আমি সদাপ্রভুকে আর দেখতে পাব না; এই অস্থায়ী জগতে মানবজাতি বা বিশ্ববাসীর বাসিন্দার আর আমি দেখতে পাব না। .::. 12 মেষপালকের তাঁবুতে আমার প্রাণ* আমার বাসস্থান সরে যায় এবং আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁতীদের মত করে আমার জীবন ঘূর্ণিত হয়েছে। তুমি কাঁটা থেকে আমাকে কেটে ফেলছ। রাতের মধ্যে তুমি আমাকে শেষ করে দেবে। .::. 13 সকাল না হওয়া পর্যন্ত আমি চিৎকার করে উঠলাম; সিংহের মত তিনি আমার সমস্ত হাড় ভেঙে ফেলবে এবং দিনের মধ্যে তুমি আমার জীবন শেষ করছ। .::. 14 ঘুঘুর মত আমি কাতর স্বরে ডাকতে লাগলাম। উপর দিকে তাকাতে আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রভু, আমি কষ্ট পাচ্ছি, তুমি আমার সাহায্য কর। .::. 15 আমি কি বলব? তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন এবং নিজেই এটা করছে। আমার প্রাণের এই যন্ত্রণার জন্য আমি জীবনের বাকি সব বছরগুলো নম্র হয়ে চলব। .::. 16 প্রভু, তোমরা যে দুঃখ প্রকাশ করছ তা আমার পক্ষে ভাল; আমার জীবন আমার কাছে ফিরে আসতে পারে; তুমি আমার জীবন এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করেছ। .::. 17 আমার সুবিধার জন্য দুঃখের অভিজ্ঞতা ভোগ করেছি, কিন্তু ধ্বংসের গর্ত থেকে তোমার ভালবাসায় তুমি আমাকে উদ্ধার করেছ। কারণ আমার সব পাপ তুমি পিছনে ফেলে দিয়েছ। .::. 18 কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না। .::. 19 কেবল জীবিতেরা, জীবিতেরাই তোমার প্রশংসা করে যেমন আজ আমি করছি; বাবা তার ছেলেদের তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার কথা বলবে। .::. 20 সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেছেন এবং সেইজন্য আমাদের জীবনের সমস্ত দিন গুলোতে সদাপ্রভুর ঘরে তারের বাজনার সাথে আমরা গান গাইব। সমস্ত দিন আমি সদাপ্রভুর ঘরে থাকবো। .::. 21 এখন যিশাইয় বলেছিলেন, “ডুমুর দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরী করে তার ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে তিনি সুস্থ হবেন।” .::. 22 হিষ্কিয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমি যে সদাপ্রভুর ঘরে উঠবো তার চিহ্ন কি?”
  • ইসাইয়া অধ্যায় 1  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 2  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 3  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 4  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 5  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 6  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 7  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 8  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 9  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 10  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 11  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 12  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 13  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 14  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 15  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 16  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 17  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 18  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 19  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 20  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 21  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 22  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 23  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 24  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 25  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 26  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 27  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 28  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 29  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 30  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 31  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 32  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 33  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 34  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 35  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 36  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 37  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 38  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 39  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 40  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 41  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 42  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 43  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 44  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 45  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 46  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 47  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 48  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 49  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 50  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 51  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 52  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 53  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 54  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 55  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 56  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 57  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 58  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 59  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 60  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 61  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 62  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 63  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 64  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 65  
  • ইসাইয়া অধ্যায় 66  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References