পবিত্র বাইবেল

বাইবেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (BSI)
पপ্রত্যাদেশ

पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 19

1 এই সকলের পরে আমি যেন স্বর্গস্থিত বৃহৎ লোকারণ্যের মহারব শুনিলাম, তাহারা বলিতেছে—হাল্লিলূয়া, পরিত্রাণ ও প্রতাপ ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই; 2 কেননা তাঁহার বিচারাজ্ঞা সকল সত্য ও ন্যায্য; কারণ যে মহাবেশ্যা আপন বেশ্যাক্রিয়া দ্বারা পৃথিবীকে ভ্রষ্ট করিত, তিনি তাহার বিচার করিয়াছেন, তাহার হস্ত হইতে আপন দাসগণের রক্তপাতের পরিশোধ লইয়াছেন। 3 পরে তাহারা দ্বিতীয় বার কহিল, হাল্লিলূয়া; আর যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে সেই বেশ্যার ধূম উঠিতেছে। 4 পরে সেই চব্বিশ জন প্রাচীন ও চারি প্রাণী প্রণিপাত করিয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের ভজনা করিলেন, কহিলেন, আমেন; হাল্লিলূয়া। 5 পরে সেই সিংহাসন হইতে এই বাণী নির্গত হইল, হে ঈশ্বরের দাসগণ, তোমরা যাহারা তাঁহাকে ভয় কর, তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান্‌ সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান কর। 6 পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জ্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্ব্বশক্তিমান্‌, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন। 7 আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল। 8 আর ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে, কারণ সেই মসীনা-বস্ত্র পবিত্রগণের ধর্ম্মাচরণ। 9 পরে তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি লিখ, ধন্য তাহারা, যাহারা মেষশাবকের বিবাহভোজে নিমন্ত্রিত। আবার তিনি আমাকে কহিলেন, এ সকল ঈশ্বরের সত্য বাক্য। 10 তখন আমি তাঁহাকে ভজনা করিবার জন্য তাঁহার চরণে পড়িলাম। তাহাতে তিনি আমাকে কহিলেন, দেখিও, এমন কর্ম্ম করিও না; আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার যে ভ্রাতৃগণ যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদেরও সহদাস; ঈশ্বরেরই ভজনা কর; কেননা যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববাণীর আত্মা। 11 পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটী অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্ম্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন। 12 তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটী লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না। 13 আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং “ঈশ্বরের বাক্য”—এই নামে আখ্যাত। 14 আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত। 15 আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন। 16 আর তাঁহার পরিচ্ছদে ও ঊরুদেশে এই নাম লেখা আছে,— 17 পরে আমি দেখিলাম, এক জন দূত সূর্য্যমধ্যে দাঁড়াইয়া আছেন; আর তিনি উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া, আকাশের মধ্যপথে যে সকল পক্ষী উড়িয়া যাইতেছে, সে সকলকে কহিলেন, আইস, ঈশ্বরের মহাভোজে একত্র হও, 18 যেন রাজগণের মাংস, সহস্রপতিবর্গের মাংস, শক্তিমান্‌ লোকদের মাংস, অশ্বগণের ও তদারোহীদের মাংস, এবং স্বাধীন ও দাস, ক্ষুদ্র ও মহান্‌ সকল মনুষ্যের মাংস ভক্ষণ কর। 19 পরে আমি দেখিলাম, ঐ অশ্বারোহী ব্যক্তির ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণ একত্র হইল। 20 তাহাতে সেই পশু ধরা পড়িল, এবং যে ভাক্ত ভাববাদী তাহার সাক্ষাতে চিহ্ন-কার্য্য করিয়া পশুর ছাবধারী ও তাহার প্রতিমার ভজনাকারীদের ভ্রান্তি জন্মাইত, সেও তাহার সঙ্গে ধরা পড়িল; তাহারা উভয়ে জীবন্তই প্রজ্বলিত গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল। 21 আর অবশিষ্ট সকলে সেই অশ্বারোহী ব্যক্তির মুখ হইতে নির্গত তরবারি দ্বারা হত হইল; এবং সমস্ত পক্ষী তাহাদের মাংসে তৃপ্ত হইল।
1. এই সকলের পরে আমি যেন স্বর্গস্থিত বৃহৎ লোকারণ্যের মহারব শুনিলাম, তাহারা বলিতেছে—হাল্লিলূয়া, পরিত্রাণ ও প্রতাপ ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই; 2. কেননা তাঁহার বিচারাজ্ঞা সকল সত্য ও ন্যায্য; কারণ যে মহাবেশ্যা আপন বেশ্যাক্রিয়া দ্বারা পৃথিবীকে ভ্রষ্ট করিত, তিনি তাহার বিচার করিয়াছেন, তাহার হস্ত হইতে আপন দাসগণের রক্তপাতের পরিশোধ লইয়াছেন। 3. পরে তাহারা দ্বিতীয় বার কহিল, হাল্লিলূয়া; আর যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে সেই বেশ্যার ধূম উঠিতেছে। 4. পরে সেই চব্বিশ জন প্রাচীন ও চারি প্রাণী প্রণিপাত করিয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট ঈশ্বরের ভজনা করিলেন, কহিলেন, আমেন; হাল্লিলূয়া। 5. পরে সেই সিংহাসন হইতে এই বাণী নির্গত হইল, হে ঈশ্বরের দাসগণ, তোমরা যাহারা তাঁহাকে ভয় কর, তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান্‌ সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান কর। 6. পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জ্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্ব্বশক্তিমান্‌, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন। 7. আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল। 8. আর ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে, কারণ সেই মসীনা-বস্ত্র পবিত্রগণের ধর্ম্মাচরণ। 9. পরে তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি লিখ, ধন্য তাহারা, যাহারা মেষশাবকের বিবাহভোজে নিমন্ত্রিত। আবার তিনি আমাকে কহিলেন, এ সকল ঈশ্বরের সত্য বাক্য। 10. তখন আমি তাঁহাকে ভজনা করিবার জন্য তাঁহার চরণে পড়িলাম। তাহাতে তিনি আমাকে কহিলেন, দেখিও, এমন কর্ম্ম করিও না; আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার যে ভ্রাতৃগণ যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদেরও সহদাস; ঈশ্বরেরই ভজনা কর; কেননা যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববাণীর আত্মা। 11. পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটী অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্ম্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন। 12. তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটী লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না। 13. আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং “ঈশ্বরের বাক্য”—এই নামে আখ্যাত। 14. আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত। 15. আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন। 16. আর তাঁহার পরিচ্ছদে ও ঊরুদেশে এই নাম লেখা আছে,— 17. পরে আমি দেখিলাম, এক জন দূত সূর্য্যমধ্যে দাঁড়াইয়া আছেন; আর তিনি উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া, আকাশের মধ্যপথে যে সকল পক্ষী উড়িয়া যাইতেছে, সে সকলকে কহিলেন, আইস, ঈশ্বরের মহাভোজে একত্র হও, 18. যেন রাজগণের মাংস, সহস্রপতিবর্গের মাংস, শক্তিমান্‌ লোকদের মাংস, অশ্বগণের ও তদারোহীদের মাংস, এবং স্বাধীন ও দাস, ক্ষুদ্র ও মহান্‌ সকল মনুষ্যের মাংস ভক্ষণ কর। 19. পরে আমি দেখিলাম, ঐ অশ্বারোহী ব্যক্তির ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণ একত্র হইল। 20. তাহাতে সেই পশু ধরা পড়িল, এবং যে ভাক্ত ভাববাদী তাহার সাক্ষাতে চিহ্ন-কার্য্য করিয়া পশুর ছাবধারী ও তাহার প্রতিমার ভজনাকারীদের ভ্রান্তি জন্মাইত, সেও তাহার সঙ্গে ধরা পড়িল; তাহারা উভয়ে জীবন্তই প্রজ্বলিত গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল। 21. আর অবশিষ্ট সকলে সেই অশ্বারোহী ব্যক্তির মুখ হইতে নির্গত তরবারি দ্বারা হত হইল; এবং সমস্ত পক্ষী তাহাদের মাংসে তৃপ্ত হইল।
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 1  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 2  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 3  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 4  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 5  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 6  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 7  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 8  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 9  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 10  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 11  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 12  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 13  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 14  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 15  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 16  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 17  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 18  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 19  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 20  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 21  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 22  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References