पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 4
1. ইহার পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, স্বর্গে এক দ্বার খোলা রহিয়াছে, এবং প্রথম যে রব শুনিয়াছিলাম, যেন তূরীর রব আমার সহিত কথা কহিতেছিল, সেই রব শুনিলাম, কেহ বলিতেছেন, এই স্থানে উঠিয়া আইস, ইহার পরে যাহা যাহা অবশ্য ঘটিবে, সেই সকল আমি তোমাকে দেখাই।
2. আমি তখনই আত্মাবিষ্ট হইলাম; আর দেখ, স্বর্গে এক সিংহাসন স্থাপিত, সেই সিংহাসনের উপরে এক ব্যক্তি বসিয়া আছেন।
3. যিনি বসিয়া আছেন, তিনি দেখিতে সূর্য্যকান্তের ও সার্দ্দীয় মণির তুল্য; আর সেই সিংহাসনের চারিদিকে মেঘধনুক, তাহা দেখিতে মরকত মণির তুল্য।
4. আর সেই সিংহাসনের চারিদিকে চব্বিশটী সিংহাসন আছে, সেই সকল সিংহাসনে চব্বিশ জন প্রাচীন বসিয়া আছেন, তাঁহারা শুক্লবস্ত্রপরিহিত এবং তাঁহাদের মস্তকের উপরে সুবর্ণ মুকুট।
5. সেই সিংহাসন হইতে বিদ্যুৎ, রব ও মেঘগর্জ্জন বাহির হইতেছে; এবং সেই সিংহাসনের সম্মুখে অগ্নিময় সপ্ত প্রদীপ জ্বলিতেছে, তাহা ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা।
6. আর সেই সিংহাসনের সম্মুখে যেন স্ফটিকবৎ কাচময় এক সমুদ্র আছে, এবং সিংহাসনের মধ্যে ও সিংহাসনের চারিদিকে চারি প্রাণী আছেন; তাঁহারা সম্মুখে ও পশ্চাতে চক্ষুতে পরিপূর্ণ।
7. প্রথম প্রাণী সিংহের তুল্য, দ্বিতীয় প্রাণী গোবৎসের তুল্য, তৃতীয় প্রাণী মনুষ্যের ন্যায় মুখমণ্ডলবিশিষ্ট, এবং চতুর্থ প্রাণী উড্ডীয়মান ঈগল পক্ষীর তুল্য।
8. সেই চারি প্রাণীর প্রত্যেকের ছয় ছয়টী পক্ষ, এবং তাঁহারা চারিদিকে ও ভিতরে চক্ষুতে পরিপূর্ণ; আর তাঁহারা দিবারাত্র অবিশ্রামে এই কথা কহিতেছেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু ঈশ্বর সর্ব্বশক্তিমান্, যিনি ছিলেন, ও যিনি আছেন, ও যিনি আসিতেছেন।’
9. আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, যিনি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, সেই প্রাণিবর্গ যখন তাঁহার প্রতাপ ও সমাদর ও ধন্যবাদ কীর্ত্তন করিবেন,
10. তখন যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখে ঐ চব্বিশ জন প্রাচীন প্রণিপাত করিবেন, এবং যিনি যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, তাঁহার ভজনা করিবেন, আর আপন আপন মুকুট সিংহাসনের সম্মুখে নিক্ষেপ করিয়া বলিবেন,
11. ‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলের সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’