পবিত্র বাইবেল

বাইবেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (BSI)
पপ্রত্যাদেশ

पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 12

1 আর স্বর্গমধ্যে এক মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একটী স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য্য তাহার পরিচ্ছদ, ও চন্দ্র তাহার পদের নীচে, এবং তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট। 2 সে গর্ভবতী, আর ব্যথিতা হইয়া চেঁচাইতেছে, সন্তান প্রসবের জন্য ব্যথা খাইতেছে। 3 আর স্বর্গমধ্যে আর এক চিহ্ন দেখা গেল, দেখ, এক প্রকাণ্ড লোহিতবর্ণ নাগ, তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ এবং সপ্ত মস্তকে সপ্ত কিরীট, 4 আর তাহার লাঙ্গুল আকাশের তৃতীয়াংশ নক্ষত্র আকর্ষণ করিয়া পৃথিবীতে নিক্ষেপ করিল। যে স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করিতে উদ্যত, সেই নাগ তাহার সম্মুখে দাঁড়াইল, যেন সে প্রসব করিবামাত্র তাহার সন্তানকে গ্রাস করিতে পারে। 5 পরে সেই স্ত্রীলোকটী “এক পুত্রসন্তান প্রসব করিল; যিনি লৌহদণ্ড দ্বারা সমস্ত জাতিকে শাসন করিবেন।” আর তাহার সন্তানটী ঈশ্বরের ও তাঁহার সিংহাসনের নিকটে নীত হইলেন। 6 আর সেই স্ত্রীলোকটী প্রান্তরে পলায়ন করিল; তথায় এক সহস্র দুই শত ষাট দিন পর্য্যন্ত প্রতিপালিতা হইবার জন্য ঈশ্বরকর্ত্তৃক প্রস্তুত তাহার একটী স্থান আছে। 7 আর স্বর্গে যুদ্ধ হইল; মীখায়েল ও তাঁহার দূতগণ ঐ নাগের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তাহাতে সেই নাগ ও তাহার দূতগণও যুদ্ধ করিল, 8 কিন্তু জয়ী হইল না, এবং স্বর্গে তাহাদের স্থান আর পাওয়া গেল না। 9 আর সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; এ সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল *অপবাদক এবং শয়তান বিপক্ষ বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল। 10 তখন আমি স্বর্গে এই উচ্চ রব শুনিলাম, ‘এখন পরিত্রাণ ও পরাক্রম ও রাজত্ব আমাদের ঈশ্বরের, এবং কর্ত্তৃত্ব তাঁহার খ্রীষ্টের অধিকার হইল; কেননা যে আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী, যে দিবারাত্র আমাদের ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের নামে দোষারোপ করে, সে নিপাতিত হইল। 11 আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত, এবং আপন আপন সাক্ষ্যের বাক্য প্রযুক্ত, তাহারা তাহাকে জয় করিয়াছে; আর তাহারা মৃত্যু পর্য্যন্ত আপন আপন প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নাই। 12 অতএব, হে স্বর্গ ও তন্নিবাসিগণ, আনন্দ কর; পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।’ 13 পরে যখন ঐ নাগ দেখিল সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে, তখন, যে স্ত্রীলোকটী পুত্রসন্তানটী প্রসব করিয়াছিল, সে সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি তাড়না করিতে লাগিল। 14 তখন সেই স্ত্রীলোকটীকে বৃহৎ ঈগল পক্ষীর দুই পক্ষ দত্ত হইল, যেন সে প্রান্তরে, নিজ স্থানে উড়িয়া যায়, যেখানে ঐ নাগের দৃষ্টি হইতে দূরে ‘এক কাল ও দুই কাল ও অর্দ্ধ কাল’ পর্য্যন্ত সে প্রতিপালিতা হয়। 15 পরে সেই সর্প আপন মুখ হইতে স্ত্রীলোকটীর পশ্চাৎ নদীবৎ জলধারা উদগীরণ করিল, যেন তাহাকে জলস্রোতে ভাসাইয়া দিতে পারে। 16 আর পৃথিবী সেই স্ত্রীলোকটীকে সাহায্য করিল, পৃথিবী আপন মুখ খুলিয়া নাগের মুখ হইতে উদগীর্ণ নদী কবলিত করিল। 17 আর সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি নাগ ক্রোধান্বিত হইল, আর তাহার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সহিত, যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে গেল।
1. আর স্বর্গমধ্যে এক মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একটী স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য্য তাহার পরিচ্ছদ, ও চন্দ্র তাহার পদের নীচে, এবং তাহার মস্তকের উপরে দ্বাদশ তারার এক মুকুট। 2. সে গর্ভবতী, আর ব্যথিতা হইয়া চেঁচাইতেছে, সন্তান প্রসবের জন্য ব্যথা খাইতেছে। 3. আর স্বর্গমধ্যে আর এক চিহ্ন দেখা গেল, দেখ, এক প্রকাণ্ড লোহিতবর্ণ নাগ, তাহার সপ্ত মস্তক ও দশ শৃঙ্গ এবং সপ্ত মস্তকে সপ্ত কিরীট, 4. আর তাহার লাঙ্গুল আকাশের তৃতীয়াংশ নক্ষত্র আকর্ষণ করিয়া পৃথিবীতে নিক্ষেপ করিল। যে স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করিতে উদ্যত, সেই নাগ তাহার সম্মুখে দাঁড়াইল, যেন সে প্রসব করিবামাত্র তাহার সন্তানকে গ্রাস করিতে পারে। 5. পরে সেই স্ত্রীলোকটী “এক পুত্রসন্তান প্রসব করিল; যিনি লৌহদণ্ড দ্বারা সমস্ত জাতিকে শাসন করিবেন।” আর তাহার সন্তানটী ঈশ্বরের ও তাঁহার সিংহাসনের নিকটে নীত হইলেন। 6. আর সেই স্ত্রীলোকটী প্রান্তরে পলায়ন করিল; তথায় এক সহস্র দুই শত ষাট দিন পর্য্যন্ত প্রতিপালিতা হইবার জন্য ঈশ্বরকর্ত্তৃক প্রস্তুত তাহার একটী স্থান আছে। 7. আর স্বর্গে যুদ্ধ হইল; মীখায়েল ও তাঁহার দূতগণ ঐ নাগের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তাহাতে সেই নাগ ও তাহার দূতগণও যুদ্ধ করিল, 8. কিন্তু জয়ী হইল না, এবং স্বর্গে তাহাদের স্থান আর পাওয়া গেল না। 9. আর সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; এ সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল। 10. তখন আমি স্বর্গে এই উচ্চ রব শুনিলাম, ‘এখন পরিত্রাণ ও পরাক্রম ও রাজত্ব আমাদের ঈশ্বরের, এবং কর্ত্তৃত্ব তাঁহার খ্রীষ্টের অধিকার হইল; কেননা যে আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী, যে দিবারাত্র আমাদের ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের নামে দোষারোপ করে, সে নিপাতিত হইল। 11. আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত, এবং আপন আপন সাক্ষ্যের বাক্য প্রযুক্ত, তাহারা তাহাকে জয় করিয়াছে; আর তাহারা মৃত্যু পর্য্যন্ত আপন আপন প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নাই। 12. অতএব, হে স্বর্গ ও তন্নিবাসিগণ, আনন্দ কর; পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।’ 13. পরে যখন ঐ নাগ দেখিল সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে, তখন, যে স্ত্রীলোকটী পুত্রসন্তানটী প্রসব করিয়াছিল, সে সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি তাড়না করিতে লাগিল। 14. তখন সেই স্ত্রীলোকটীকে বৃহৎ ঈগল পক্ষীর দুই পক্ষ দত্ত হইল, যেন সে প্রান্তরে, নিজ স্থানে উড়িয়া যায়, যেখানে ঐ নাগের দৃষ্টি হইতে দূরে ‘এক কাল ও দুই কাল ও অর্দ্ধ কাল’ পর্য্যন্ত সে প্রতিপালিতা হয়। 15. পরে সেই সর্প আপন মুখ হইতে স্ত্রীলোকটীর পশ্চাৎ নদীবৎ জলধারা উদগীরণ করিল, যেন তাহাকে জলস্রোতে ভাসাইয়া দিতে পারে। 16. আর পৃথিবী সেই স্ত্রীলোকটীকে সাহায্য করিল, পৃথিবী আপন মুখ খুলিয়া নাগের মুখ হইতে উদগীর্ণ নদী কবলিত করিল। 17. আর সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি নাগ ক্রোধান্বিত হইল, আর তাহার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সহিত, যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে গেল।
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 1  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 2  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 3  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 4  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 5  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 6  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 7  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 8  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 9  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 10  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 11  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 12  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 13  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 14  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 15  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 16  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 17  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 18  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 19  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 20  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 21  
  • पপ্রত্যাদেশ অধ্যায় 22  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References