জাখারিয়া 1 : 1 (OCVBN)
সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আসার আহ্বান
জাখারিয়া 1 : 2 (OCVBN)
দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে, সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে। “সদাপ্রভু তোমার পূর্বপুরুষদের উপর ভীষণ রেগে ছিলেন।
জাখারিয়া 1 : 3 (OCVBN)
অতএব লোকদের বলো, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘আমার দিকে ফেরো,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, ‘আর আমিও তোমাদের দিকে ফিরব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
জাখারিয়া 1 : 4 (OCVBN)
তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো হোয়ো না, যাদের কাছে আগেকার ভাববাদীরা ঘোষণা করেছিল সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘তোমাদের মন্দ পথ এবং তোমাদের মন্দ অভ্যাস থেকে ফেরো।’ কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি বা মনোযোগ দেয়নি, এই কথা সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
জাখারিয়া 1 : 5 (OCVBN)
তোমাদের পূর্বপুরুষেরা এখন কোথায়? তারা এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
জাখারিয়া 1 : 6 (OCVBN)
কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যেসব আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই বাক্য এবং আদেশ অনুসারে কি তোমাদের পূর্বপুরুষেরা করেনি?
জাখারিয়া 1 : 7 (OCVBN)
“তখন তারা মন ফিরিয়ে বলেছিল, ‘সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু আমাদের পথ এবং অভ্যাসের জন্য যা প্রাপ্য তাই তিনি আমাদের প্রতি করেছেন, যেমন তিনি করতে মনস্থির করেছিলেন।’ ” গুলমেদি গাছের মধ্যে একজন মানুষ
জাখারিয়া 1 : 8 (OCVBN)
দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাসের, অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের দিন সদাপ্রভুর বাক্য বেরিখিয়ের ছেলে ভাববাদী সখরিয়ের কাছে এল, বেরিখিয় ছিল ইদ্দোর ছেলে।
জাখারিয়া 1 : 9 (OCVBN)
রাতের বেলায় আমি একটি দর্শন দেখলাম, এবং আমি দেখলাম একজন লোক একটি লাল ঘোড়ায় চড়ে আছে। সে একটি খাদের ভিতরে মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। তার পিছনে লাল, বাদামি এবং সাদা ঘোড়া ছিল।
জাখারিয়া 1 : 10 (OCVBN)
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলি কী?” যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সেগুলি কী তা আমি তোমাকে দেখাব।”
জাখারিয়া 1 : 11 (OCVBN)
তখন যে লোকটি মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ব্যাখ্যা করলেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখবার জন্য সদাপ্রভু এগুলিকে পাঠিয়েছেন।”
জাখারিয়া 1 : 12 (OCVBN)
আর সদাপ্রভুর যে দূত মেদি গাছগুলির মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে ঘোড়াসওয়ারেরা বলল, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমগ্র জগতে সুস্থিরতা ও শান্তি বিরাজমান।” তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, তুমি জেরুশালেম ও যিহূদার নগরগুলির উপর এই যে সত্তর বছর অসন্তুষ্ট হয়ে রয়েছ তাদের উপর আর কত কাল তুমি মমতা না করে থাকবে?”
জাখারিয়া 1 : 13 (OCVBN)
তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গলের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
জাখারিয়া 1 : 14 (OCVBN)
তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “তুমি এই কথা ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন ‘জেরুশালেম ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব উদ্যোগী হয়েছি,
জাখারিয়া 1 : 15 (OCVBN)
কিন্তু নিশ্চিন্তে থাকা জাতিগুলির উপরে আমি ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছি। আমি কেবল অল্প অসন্তুষ্ট হয়েছিলাম, কিন্তু জাতিরা তাদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।’
জাখারিয়া 1 : 17 (OCVBN)
“অতএব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি জেরুশালেমকে মমতা করার জন্য ফিরে আসব, এবং সেখানে আবার আমার গৃহ পুনর্নির্মিত হবে। আর জেরুশালেম নির্মাণের জন্য মাপ নেওয়া হবে,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
জাখারিয়া 1 : 18 (OCVBN)
“আরও ঘোষণা করো: সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমার নগরগুলি আবার মঙ্গলে উপচে পড়বে, এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন এবং জেরুশালেমকে মনোনীত করবেন।’ ” চারটি শিং এবং চারজন কারিগর তারপর আমি চোখ তুলে দেখলাম, আর সেখানে আমার সামনে চারটি শিং ছিল!
জাখারিয়া 1 : 19 (OCVBN)
যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলি কি?”
জাখারিয়া 1 : 20 (OCVBN)
তিনি উত্তর দিলেন, “এগুলি সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল এবং জেরুশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।” সদাপ্রভু তারপর আমাকে চারজন কারিগরকে দেখালেন।
জাখারিয়া 1 : 21 (OCVBN)
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কী করতে আসছে?” তিনি উত্তর দিলেন, “সেই শিংগুলি হল সেইসব জাতির শক্তি যারা যিহূদার লোকদের এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, তারা কেউ মাথা তুলতে পারেনি, কিন্তু সেইসব জাতিকে ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শক্তি ধ্বংস করবার জন্য এই কারিগরেরা এসেছে।”
❮
❯
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21