সামসঙ্গীত 39 : 1 (OCVBN)
আমি নিজেকে বললাম, “আমি আমার চলার পথে সতর্ক হব আর নিজের জিভকে পাপ থেকে সংযত রাখব; দুষ্টদের উপস্থিতিতে নিজের মুখ সংবরণ করে রাখব।”
সামসঙ্গীত 39 : 2 (OCVBN)
তাই আমি সম্পূর্ণ নীরব রইলাম, এমনকি সৎকথাও উচ্চারণ করলাম না। কিন্তু আমার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেল;
সামসঙ্গীত 39 : 3 (OCVBN)
আমার হৃদয় উত্তপ্ত হয়ে উঠল। আমি যত এই বিষয় নিয়ে ভাবলাম আমার মনের আগুন ততই জ্বলে উঠল; তখন আমি জিভ দিয়ে বললাম:
সামসঙ্গীত 39 : 4 (OCVBN)
“হে সদাপ্রভু, আমার জীবনের সমাপ্তি আমাকে দেখাও আমাকে মনে করিয়ে দাও যে আমার জীবনের দিনগুলি সীমিত; আমাকে বোঝাও আমার জীবন কত ক্ষণস্থায়ী।
সামসঙ্গীত 39 : 5 (OCVBN)
তুমি আমার জীবনের আয়ু আমার হাতের মুঠোর মতো ছোটো করেছ; আমার সম্পূর্ণ জীবনকাল তোমার কাছে কিছুই নয়। সবাই তোমার কাছে নিঃশ্বাসের সমান, এমনকি তারাও যাদের সুরক্ষিত মনে হয়।
সামসঙ্গীত 39 : 6 (OCVBN)
“সবাই সামান্য চলমান ছায়ার মতো; বৃথাই তারা ব্যস্ত, সম্পদ সঞ্চয়ে ব্যতিব্যস্ত কিন্তু জানে না, কে এই সম্পদ ভোগ করবে।
সামসঙ্গীত 39 : 7 (OCVBN)
“কিন্তু এখন, হে সদাপ্রভু, আমি কীসের আশায় থাকব? আমার আশা একমাত্র তোমাতেই।
সামসঙ্গীত 39 : 8 (OCVBN)
আমার সব অপরাধ থেকে আমায় মুক্ত করো, আমাকে মূর্খদের উপহাসের পাত্র কোরো না।
সামসঙ্গীত 39 : 9 (OCVBN)
আমি তোমার সামনে নীরব রইলাম; মুখ খুললাম না, কারণ আমার শাস্তি তোমার কাছ থেকেই আসে।
সামসঙ্গীত 39 : 10 (OCVBN)
আমার প্রতি তোমার আঘাত ক্ষান্ত করো; তোমার হাতের আঘাতে আমি জর্জরিত।
সামসঙ্গীত 39 : 11 (OCVBN)
যখন তুমি কাউকে তার পাপের জন্য তিরস্কার ও শাসন করো, কীটের মতো তাদের সম্পত্তি তুমি গ্রাস করো, সত্যি সকলে নিঃশ্বাসের মতোই ক্ষণস্থায়ী।
সামসঙ্গীত 39 : 12 (OCVBN)
“হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শোনো, আমার সাহায্যের প্রার্থনায় কর্ণপাত করো; আমার চোখের জলে বধির হয়ে থেকো না। কারণ আমি তোমার কাছে বিদেশির মতো, আমার পিতৃপুরুষদের মতোই আমি প্রবাসী।
সামসঙ্গীত 39 : 13 (OCVBN)
আমার জীবন শেষ হওয়ার আগে আমার উপর থেকে তোমার ক্রোধের দৃষ্টি সরাও, যেন আমি আবার জীবন উপভোগ করতে পারি।”

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13