মার্ক 14 : 1 (OCVBN)
বেথানিতে যীশুর অভিষেক নিস্তারপর্ব ও খামিরবিহীন রুটির পর্ব শুরু হতে আর মাত্র দু-দিন বাকি ছিল। প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরা সুকৌশলে যীশুকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
মার্ক 14 : 2 (OCVBN)
তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।”
মার্ক 14 : 4 (OCVBN)
যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোন নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে আসনে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, তখন একজন নারী, একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বিশুদ্ধ জটামাংসীর নির্যাসে তৈরি বহুমূল্য সুগন্ধি তেল নিয়ে এল। সে পাত্রটি ভেঙে তাঁর মাথায় সেই সুগন্ধি তেল ঢেলে দিল। উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ বিরক্তির স্বরে বলল, “সুগন্ধিদ্রব্যের এই অপচয় কেন?
মার্ক 14 : 5 (OCVBN)
এটি বিক্রি করে তো তিনশো দিনারেরও[* তিনশো দিনার হল সেই সময়ের প্রায় এক বছরের মজুরির সমান। ] বেশি অর্থ পাওয়া যেত ও দরিদ্রদের দান করা যেত।” তারা রূঢ়ভাবে তাকে তিরস্কার করল।
মার্ক 14 : 6 (OCVBN)
যীশু বললেন, “ওকে ছেড়ে দাও। তোমরা কেন ওকে উত্যক্ত করছ? ও আমার প্রতি এক অপূর্ব কাজ করেছে।
মার্ক 14 : 7 (OCVBN)
দরিদ্রদের তোমরা সবসময়ই সঙ্গে পাবে, আর তোমরা চাইলে যে কোনো সময় তাদের সাহায্য করতে পারো। কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
মার্ক 14 : 8 (OCVBN)
সে তার সাধ্যমতোই কাজ করেছে। সে আগে থেকেই আমার শরীরে সুগন্ধিদ্রব্য ঢেলে দিয়ে আমার দেহকে সমাধির জন্য প্রস্তুত করেছে।
মার্ক 14 : 9 (OCVBN)
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে, যেখানেই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।”
মার্ক 14 : 10 (OCVBN)
তখন সেই বারোজনের একজন, যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ যীশুকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধান যাজকদের কাছে গেল।
মার্ক 14 : 11 (OCVBN)
তারা একথা শুনে আনন্দিত হয়ে তাকে টাকা দিতে প্রতিশ্রুতি দিল। তাই সে তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
মার্ক 14 : 13 (OCVBN)
খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে, যখন নিস্তারপর্বের মেষশাবক বলিদান করার প্রথা ছিল, যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কোথায় গিয়ে আপনার জন্য নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কী?” তাই তিনি তাঁর দুজন শিষ্যকে এই বলে পাঠালেন, “তোমরা ওই নগরে যাও। সেখানে দেখবে, এক ব্যক্তি জলের একটি কলশি নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তাকে অনুসরণ কোরো।
মার্ক 14 : 14 (OCVBN)
যে বাড়িতে সে প্রবেশ করবে, সেই গৃহকর্তাকে তোমরা বোলো, ‘গুরুমহাশয় জানতে চান, অতিথিদের জন্য আমার সেই নির্দিষ্ট ঘরটি কোথায়, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারি?’
মার্ক 14 : 15 (OCVBN)
সে তোমাদের উপরতলায় একটি বড়ো ঘর দেখাবে। তা সুসজ্জিত ও প্রস্তুত অবস্থায় আছে। আমাদের জন্য সেখানেই সব আয়োজন কোরো।”
মার্ক 14 : 17 (OCVBN)
সেই শিষ্যেরা বেরিয়ে পড়লেন। নগরে প্রবেশ করে যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন, ঠিক তেমনই তাঁরা সবকিছু দেখতে পেলেন। তাই তাঁরা সেখানেই নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হলেন।
মার্ক 14 : 18 (OCVBN)
আসনে হেলান দিয়ে তাঁরা যখন আহার করছিলেন, তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে—সে আমারই সঙ্গে আহার করছে।”
মার্ক 14 : 20 (OCVBN)
তাঁরা দুঃখিত হলেন এবং এক এক করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সে নিশ্চয়ই আমি নই?” তিনি উত্তর দিলেন, “সে এই বারোজনের মধ্যেই একজন, যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে রুটি ডুবালো।
মার্ক 14 : 21 (OCVBN)
মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।”
মার্ক 14 : 23 (OCVBN)
তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও; এ আমার শরীর।”
মার্ক 14 : 24 (OCVBN)
তারপর তিনি পানপাত্রটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তাঁদের সেটি দিলেন। তাঁরা সবাই তা থেকে পান করলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত, নতুন নিয়মের[† নিয়মের—অর্থাৎ চুক্তির। ] রক্ত, যা অনেকের জন্য পাতিত হয়েছে।
মার্ক 14 : 25 (OCVBN)
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে আমি নতুন করে পান না করা পর্যন্ত দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না।”
মার্ক 14 : 27 (OCVBN)
পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন। {পিতরের যীশুকে অস্বীকার করা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী } যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে: “ ‘আমি মেষপালককে আঘাত করব, এতে মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়বে।’‡ সখরিয় 13:7
মার্ক 14 : 28 (OCVBN)
28 কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।”
মার্ক 14 : 29 (OCVBN)
পিতর তাঁকে বললেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও, আমি যাব না।”
মার্ক 14 : 30 (OCVBN)
যীশু উত্তরে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজই—হ্যাঁ, আজ রাত্রিবেলায়—দু-বার মোরগ ডাকার আগেই, তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।”
মার্ক 14 : 31 (OCVBN)
কিন্তু পিতর আরও জোরের সঙ্গে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” আর বাকি সকলেও একই কথা বললেন।
মার্ক 14 : 32 (OCVBN)
গেৎশিমানি পরে তাঁরা গেৎশিমানি নামে পরিচিত একটি স্থানে গেলেন। আর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি যখন প্রার্থনা করি, তোমরা এখানে বসে থাকো।”
মার্ক 14 : 33 (OCVBN)
তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে তাঁর সঙ্গে নিলেন এবং গভীর মর্মবেদনাগ্রস্ত ও উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠলেন।
মার্ক 14 : 34 (OCVBN)
তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং জেগে থাকো।”
মার্ক 14 : 35 (OCVBN)
আরও কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রার্থনা করলেন, যেন সম্ভব হলে সেই লগ্ন তাঁর কাছ থেকে দূর করা হয়।
মার্ক 14 : 36 (OCVBN)
তিনি বললেন, “আব্বা,[§ আব্বা—পিতা শব্দের অরামীয় প্রতিশব্দ। ] পিতা, তোমার পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব। এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও। তবুও আমার ইচ্ছা অনুযায়ী নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা অনুযায়ী হোক।”
মার্ক 14 : 37 (OCVBN)
তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে বললেন, “শিমোন, তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ? তুমি এক ঘণ্টাও জেগে থাকতে পারলে না?
মার্ক 14 : 38 (OCVBN)
জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।”
মার্ক 14 : 39 (OCVBN)
আর একবার তিনি দূরে গিয়ে সেই একই প্রার্থনা করলেন।
মার্ক 14 : 40 (OCVBN)
যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল। তাঁরা তাঁকে কী বলবেন, বুঝতে পারলেন না।
মার্ক 14 : 41 (OCVBN)
তৃতীয়বার তিনি ফিরে এসে তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? যথেষ্ট হয়েছে! সময় হয়েছে। দেখো, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মার্ক 14 : 42 (OCVBN)
ওঠো! চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে।”
মার্ক 14 : 43 (OCVBN)
যীশুকে গ্রেপ্তার তিনি তখনও কথা বলছেন, সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল।
মার্ক 14 : 44 (OCVBN)
সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো ও সতর্ক পাহারা দিয়ে নিয়ে যেয়ো।”
মার্ক 14 : 45 (OCVBN)
সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি!” আর তাঁকে চুম্বন করল।
মার্ক 14 : 46 (OCVBN)
সেই লোকেরা যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল।
মার্ক 14 : 47 (OCVBN)
যারা আশেপাশে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটি কান কেটে ফেলল।
মার্ক 14 : 48 (OCVBN)
যীশু বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ?
মার্ক 14 : 49 (OCVBN)
প্রতিদিন আমি তোমাদের সঙ্গে থেকে মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি। কিন্তু শাস্ত্রবাণী অবশ্যই পূর্ণ হতে হবে।”
মার্ক 14 : 50 (OCVBN)
তখন সকলে তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন।
মার্ক 14 : 51 (OCVBN)
আর একজন যুবক, কোনো কিছু না-পরে, কেবলমাত্র একটি মসিনার কাপড় গায়ে জড়িয়ে যীশুকে অনুসরণ করছিল।
মার্ক 14 : 52 (OCVBN)
তারা তাকে ধরলে, সে তার পোশাক ফেলে নগ্ন অবস্থাতেই পালিয়ে গেল।
মার্ক 14 : 53 (OCVBN)
মহাসভার সামনে যীশু তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল। আর সব প্রধান যাজকেরা, লোকদের প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা সমবেত হয়েছিল।
মার্ক 14 : 54 (OCVBN)
পিতর দূর থেকে তাঁকে অনুসরণ করে মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত চলে গেলেন। সেখানে তিনি প্রহরীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।
মার্ক 14 : 55 (OCVBN)
প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল, কিন্তু তারা সেরকম কিছুই পেল না।
মার্ক 14 : 56 (OCVBN)
অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিল ঠিকই, কিন্তু তাদের সাক্ষ্যের মধ্যে কোনও মিল ছিল না।
মার্ক 14 : 57 (OCVBN)
তখন কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল:
মার্ক 14 : 58 (OCVBN)
“আমরা একে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরি এই মন্দির আমি ধ্বংস করতে ও তিনদিনের মধ্যে আর একটি মন্দির নির্মাণ করতে পারি, যা মানুষের তৈরি নয়।’ ”
মার্ক 14 : 59 (OCVBN)
তবুও, এই সাক্ষ্যের মধ্যেও কোনো মিল খুঁজে পাওয়া গেল না।
মার্ক 14 : 60 (OCVBN)
তখন মহাযাজক তাদের সামনে উঠে দাঁড়ালেন ও যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এনেছে, সেগুলি কী?”
মার্ক 14 : 61 (OCVBN)
যীশু তবুও নীরব রইলেন, কোনও উত্তর দিলেন না। মহাযাজক তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, পরমধন্য ঈশ্বরের পুত্র?”
মার্ক 14 : 62 (OCVBN)
যীশু বললেন, “আমিই তিনি। আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
মার্ক 14 : 63 (OCVBN)
তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। তিনি বললেন, “আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন?
মার্ক 14 : 64 (OCVBN)
তোমরা তো ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। তোমাদের অভিমত কী?” তারা সবাই যীশুকে অপরাধী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে রায় দিল।
মার্ক 14 : 65 (OCVBN)
তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুতু দিল, তারা তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে ঘুসি মারল ও বলল, “ভাববাণী বল!” আর প্রহরীরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে প্রহার করতে লাগল।
মার্ক 14 : 66 (OCVBN)
পিতর যীশুকে অস্বীকার করলেন পিতর যখন নিচে উঠানে ছিলেন, মহাযাজকের একজন দাসী তাঁর কাছে এল।
মার্ক 14 : 67 (OCVBN)
পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে সে তাঁকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। সে বলল, “তুমিও ওই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
মার্ক 14 : 68 (OCVBN)
কিন্তু তিনি সেই কথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “তুমি কী বলছ, তা আমি জানি না, বুঝতেও পারছি না।” এরপর তিনি প্রবেশদ্বারের দিকে চলে গেলেন, আর তক্ষুনি মোরগ ডেকে উঠল।
মার্ক 14 : 69 (OCVBN)
সেই দাসী তাঁকে সেখানে দেখে তাঁর চারপাশের লোকদের আবার বলল, “এই লোকটিও ওদেরই একজন!”
মার্ক 14 : 70 (OCVBN)
তিনি আবার তা অস্বীকার করলেন। এর কিছুক্ষণ পরে, যারা পিতরের কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা বলল, “তুমি নিশ্চয় ওদেরই একজন, কারণ তুমি একজন গালীলীয়।”
মার্ক 14 : 71 (OCVBN)
তিনি নিজেকে অভিশাপ দিতে লাগলেন ও তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “যাঁর সম্পর্কে আপনারা বলছেন, তাঁকে আমি চিনি না।”
মার্ক 14 : 72 (OCVBN)
সঙ্গে সঙ্গে মোরগ দ্বিতীয়বার ডেকে উঠল। তখন যীশু পিতরকে যে কথা বলেছিলেন, তাঁর তা মনে পড়ল: “মোরগ দু-বার ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” তখন তিনি অত্যন্ত কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
❮
❯
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
29
30
31
32
33
34
35
36
37
38
39
40
41
42
43
44
45
46
47
48
49
50
51
52
53
54
55
56
57
58
59
60
61
62
63
64
65
66
67
68
69
70
71
72