মার্ক 11 : 1 (OCVBN)
যীশু জেরুশালেমে রাজার মতো প্রবেশ করলেন তাঁরা জেরুশালেমের কাছাকাছি এসে যখন জলপাই পর্বতের ধারে বেথফাগ ও বেথানি গ্রামে উপস্থিত হলেন, তখন যীশু তাঁর দুজন শিষ্যকে এই বলে পাঠালেন,
মার্ক 11 : 2 (OCVBN)
“তোমরা সামনের ওই গ্রামে যাও। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র দেখতে পাবে যে একটি গর্দভশাবক বাঁধা আছে, যার উপরে কেউ কখনও বসেনি। সেটির বাঁধন খুলে এখানে নিয়ে এসো।
মার্ক 11 : 3 (OCVBN)
কেউ যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমরা কেন এরকম করছ?’ তাকে বোলো, ‘প্রভুর প্রয়োজন আছে, শীঘ্রই তিনি এটি ফেরত পাঠিয়ে দেবেন।’ ”
মার্ক 11 : 4 (OCVBN)
তাঁরা গিয়ে দেখলেন, একটি দরজার কাছে, বাইরের রাস্তায় একটি গর্দভশাবক বাঁধা আছে। তাঁরা সেটি খোলা মাত্র,
মার্ক 11 : 5 (OCVBN)
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন লোক জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা কী করছ? শাবকটির বাঁধন খুলছ কেন?”
মার্ক 11 : 6 (OCVBN)
এতে যীশু যেমন বলেছিলেন, তাঁরা সেভাবেই উত্তর দিলেন। আর সেই লোকেরা সেটিকে নিয়ে যেতে দিল।
মার্ক 11 : 7 (OCVBN)
তাঁরা গর্দভশাবকটি যীশুর কাছে নিয়ে এসে তার উপর তাদের পোশাক বিছিয়ে দিলেন। তিনি তার উপরে বসলেন।
মার্ক 11 : 8 (OCVBN)
বহু মানুষ পথের উপরে তাদের পোশাক বিছিয়ে দিল, অন্যেরা মাঠ থেকে গাছের ডালপালা কেটে এনে রাস্তার উপরে ছড়িয়ে দিল।
মার্ক 11 : 9 (OCVBN)
যারা সামনে যাচ্ছিল ও যারা পিছনে ছিল, তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “হোশান্না![* হোশান্না—এক হিব্রু অভিব্যক্তি, যার অর্থ, রক্ষা করো। পরে এটি একটি প্রশংসাসূচক ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে। ]” “ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন!” গীত 118:26,27
মার্ক 11 : 10 (OCVBN)
“ধন্য আমাদের পিতা দাউদের সন্নিকট রাজ্য!” “ঊর্ধ্বলোকে হোশান্না!”
মার্ক 11 : 11 (OCVBN)
যীশু জেরুশালেমে প্রবেশ করে মন্দিরে গেলেন। তিনি চারপাশের সবকিছু লক্ষ্য করতে লাগলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে অনেক দেরি হওয়াতে, তিনি সেই বারোজনের সঙ্গে বেথানিতে চলে গেলেন।
মার্ক 11 : 12 (OCVBN)
যীশু মন্দির পরিষ্কার করলেন পরদিন, তাঁরা বেথানি পরিত্যাগ করে যাওয়ার সময়, যীশু ক্ষুধার্ত হলেন।
মার্ক 11 : 13 (OCVBN)
দূরে একটি পাতায় ভরা ডুমুর গাছ দেখে, তাতে কোনো ফল আছে কি না, তিনি তা খুঁজতে গেলেন। তিনি গাছটির কাছে গিয়ে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না, কারণ তখন ডুমুরের মরশুম ছিল না।
মার্ক 11 : 14 (OCVBN)
তখন তিনি সেই গাছটিকে বললেন, “তোমার ফল কেউ যেন আর কখনও না খায়।” শিষ্যেরা তাঁকে একথা বলতে শুনলেন।
মার্ক 11 : 15 (OCVBN)
জেরুশালেমে পৌঁছে যীশু মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলেন এবং যারা সেখানে কেনাবেচা করছিল, তাদের তাড়িয়ে দিতে লাগলেন। তিনি মুদ্রা-বিনিময়কারীদের টেবিল ও পায়রা-বিক্রেতাদের বেঞ্চি উল্টে দিলেন।
মার্ক 11 : 16 (OCVBN)
মন্দির-প্রাঙ্গণ দিয়ে তিনি কাউকে বিক্রি করার কোনো কিছু নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেন না।
মার্ক 11 : 17 (OCVBN)
তিনি তাদের বললেন, “একথা কি লেখা নেই, ‘আমার গৃহ সর্বজাতির প্রার্থনা-গৃহরূপে আখ্যাত হবে’? যিশাইয় 56:7 কিন্তু তোমরা একে ‘দস্যুদের গহ্বরে পরিণত করেছ।’ § যিরমিয় 7:11
মার্ক 11 : 18 (OCVBN)
প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরা একথা শুনতে পেয়ে, তাঁকে হত্যা করার পথ খুঁজতে লাগল। কিন্তু তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ লোকসকল তার উপদেশে চমৎকৃত হয়েছিল।
মার্ক 11 : 19 (OCVBN)
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, যীশু ও তাঁর শিষ্যরা নগরের বাইরে চলে গেলেন।
মার্ক 11 : 20 (OCVBN)
শুকিয়ে যাওয়া ডুমুর গাছ সকালবেলা, পথে যাওয়ার সময় তাঁরা দেখলেন, সেই ডুমুর গাছটি সমূলে শুকিয়ে গেছে।
মার্ক 11 : 21 (OCVBN)
সব কথা তখন পিতরের মনে পড়ল, আর তিনি যীশুকে বললেন, “রব্বি দেখুন, যে ডুমুর গাছটিকে আপনি অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে।”
মার্ক 11 : 22 (OCVBN)
যীশু উত্তর দিলেন, “ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখো।
মার্ক 11 : 23 (OCVBN)
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, কেউ যদি এই পর্বতটিকে বলে, ‘যাও, উপড়ে গিয়ে সমুদ্রে পড়ো,’ কিন্তু তার মনে কোনো সন্দেহ পোষণ না করে বিশ্বাস করে যে, সে যা বলেছে, তাই ঘটবে, তার জন্য সেরকমই করা হবে।
মার্ক 11 : 24 (OCVBN)
সেই কারণে আমি তোমাদের বলছি, তোমরা প্রার্থনায় যা কিছু চাও, বিশ্বাস করো যে তোমরা তা পেয়ে গিয়েছ, তবে তোমাদের জন্য সেরকমই হবে।
মার্ক 11 : 25 (OCVBN)
আর তোমরা যখন প্রার্থনা করার জন্য দাঁড়াও, যদি কারও বিরুদ্ধে তোমাদের কোনও ক্ষোভ থাকে, তাকে ক্ষমা করো,
মার্ক 11 : 26 (OCVBN)
যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সকল পাপ ক্ষমা করেন।”[* কোনো কোনো পাণ্ডুলিপিতে এরপর এই কথাগুলি পাওয়া যায়: তোমরা যদি ক্ষমা না করো, তবে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সকল পাপ ক্ষমা করবেন না। ]
মার্ক 11 : 27 (OCVBN)
যীশুর অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন তাঁরা পুনরায় জেরুশালেমে এলেন। যীশু যখন মন্দির চত্বরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও লোকদের প্রাচীনবর্গ তাঁর কাছে এল।
মার্ক 11 : 28 (OCVBN)
তারা প্রশ্ন করল, “তুমি কোন অধিকারে এসব কাজ করছ? আর এসব করার অধিকারই বা কে তোমাকে দিল?”
মার্ক 11 : 29 (OCVBN)
যীশু উত্তর দিলেন, “আমিও তোমাদের একটি প্রশ্ন করব। আমাকে উত্তর দাও, তাহলে আমিও তোমাদের বলব, আমি কোন অধিকারে এসব করছি।
মার্ক 11 : 30 (OCVBN)
আমাকে বলো, যোহনের বাপ্তিষ্ম স্বর্গ থেকে হয়েছিল, না মানুষের কাছ থেকে?”
মার্ক 11 : 31 (OCVBN)
তারা নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করে বলল, “যদি আমরা বলি, ‘স্বর্গ থেকে,’ ও জিজ্ঞাসা করবে, ‘তাহলে তোমরা তাকে বিশ্বাস করোনি কেন?’
মার্ক 11 : 32 (OCVBN)
কিন্তু যদি আমরা বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে’…” (তারা জনসাধারণকে ভয় করত, কারণ প্রত্যেকে যোহনকে প্রকৃত ভাববাদী বলেই মনে করত।)
মার্ক 11 : 33 (OCVBN)
তাই তারা যীশুকে উত্তর দিল, “আমরা জানি না।” যীশু বললেন, “তাহলে, আমিও কোন অধিকারে এসব কাজ করছি, তা তোমাদের বলব না।”

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33