মথি 26 : 1 (ERVBN)
এই সব কথা শেষ করে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন,
মথি 26 : 2 (ERVBN)
‘তোমরা জানো, আর দুদিন পরই নিস্তারপর্ব শুরু হবে, তখন মানবপুত্রকে ক্রুশে দেবার জন্য শত্রুদের হাতে তুলে দেওযা হবে৷’
মথি 26 : 3 (ERVBN)
সেইসময় মহাযাজক কায়াফার বাড়ির উঠানে প্রধান যাজকরা ও ইহুদী নেতারা এসে ষড়যন্ত্র করতে বসল,
মথি 26 : 4 (ERVBN)
য়েন তারা যীশুকে গ্রেপ্তার করতে পারে ও তাঁকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করতে পারে৷
মথি 26 : 5 (ERVBN)
তারা বলল, ‘আমরা নিস্তারপর্বের সময় একাজ করব না, তাতে লোকদের মধ্যে হয়তো গণ্ডগোল বাধতে পারে৷’
মথি 26 : 6 (ERVBN)
যীশু যখন বৈথনিযায় কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন সেই সময় একজন স্ত্রীলোক যীশুর কাছে এল৷
মথি 26 : 7 (ERVBN)
তার কাছে শ্বেতপাথরের বোতলে খুব দামী সুগন্ধি ছিল৷ যীশু যখন সেখানে খেতে বসেছিলেন, তখন সে ঐ আতর যীশুর মাথায় ঢেলে দিল৷
মথি 26 : 8 (ERVBN)
তাই দেখে তাঁর শিষ্যরা রেগে গেলেন, তাঁরা বললেন, ‘এভাবে অপচয় করা হচ্ছে কেন?
মথি 26 : 9 (ERVBN)
এটা তো অনেক টাকায় বিক্রি করা য়েত, আর সেই টাকা গরীবদের দেওযা য়েত৷’
মথি 26 : 10 (ERVBN)
তারা যা বলাবলি করছিল, যীশু তা জানতে পেরে তাদের বললেন, ‘তোমরা এই স্ত্রীলোককে কেন দুঃখ দিচ্ছ? ও তো আমার প্রতি ভাল কাজইকরল৷
মথি 26 : 11 (ERVBN)
কারণ গরীবরা তোমাদের সঙ্গে সবসময়ইথাকবে৷ কিন্তু তোমরা আমায় সব সময় পাবে না৷
মথি 26 : 12 (ERVBN)
আমার দেহের ওপর আতর ঢেলে দিয়ে সে তো আমাকে সমাধিতে রাখার উপয়োগী কাজইকরল৷
মথি 26 : 13 (ERVBN)
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সারা জগতে য়েখানেই এই সুসমাচার প্রচার করা হবে, সেখানেইএর এইকাজের কথা বলা হবে৷’
মথি 26 : 14 (ERVBN)
তখন বারো জন শিষ্যর মধ্যে একজন, যার নাম যিহূদা ঈষ্করিযোতীয়, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে বলল,
মথি 26 : 15 (ERVBN)
‘আমি যদি তাঁকে আপনাদের হাতে ধরিয়ে দিই, তবে আপনারা আমায় কি দেবেন বলুন?’ তারা তাকে গুনে গুনে ত্রিশটা রূপোর টাকা দিল৷
মথি 26 : 16 (ERVBN)
সেই মুহূর্ত্ত থেকেই যিহূদা তাঁকে ধরিয়ে দেবার সুয়োগ খুঁজতে লাগল৷
মথি 26 : 17 (ERVBN)
খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, ‘আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্বের ভোজের আযোজন করব? আপনি কি চান?’
মথি 26 : 18 (ERVBN)
যীশু বললেন, ‘তোমরা ঐ গ্রামে আমার পরিচিত একজনের কাছে যাও, তাকে গিয়ে বল, ‘গুরু বলেছেন, আমার নির্ধারিত সময় কাছে এসে গেছে, আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে তোমার বাড়িতে নিস্তারপর্ব পালন করব৷”
মথি 26 : 19 (ERVBN)
তখন শিষ্যরা যীশুর কথামতো কাজ করলেন, তারা সেখানে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন৷
মথি 26 : 20 (ERVBN)
সন্ধ্যা হলে পর যীশু সেই বারো জন শিষ্য়ের সঙ্গে নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে বসলেন৷
মথি 26 : 21 (ERVBN)
তাঁরা যখন খাচ্ছেন সেই সময় যীশু বললেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে৷’
মথি 26 : 22 (ERVBN)
এতে শিষ্যরা খুবই দুঃখ পেয়ে এক একজন করে যীশুকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, ‘প্রভু, সে কি আমি?’
মথি 26 : 23 (ERVBN)
তখন যীশু বললেন, ‘য়ে আমার সঙ্গে বাটিতে হাত ডোবালো, সেই আমাকে শত্রুর হাতে সঁপে দেবে৷
মথি 26 : 24 (ERVBN)
মানবপুত্রের বিষয়ে শাস্ত্রে য়েমন লেখা আছে, সেইভাবেই তাঁকে য়েতে হবে৷ কিন্তু ধিক্ সেই লোক, য়ে মানবপুত্রকে ধরিয়ে দেবে৷ সেই লোকের জন্ম না হওযাই তার পক্ষে ভাল ছিল৷
মথি 26 : 25 (ERVBN)
য়ে যীশুকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছিল, সেই যিহূদা বলল, ‘গুরু সে নিশ্চয়ই আমি নই ?’ যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি নিজেইতো একথা বলছ৷’
মথি 26 : 26 (ERVBN)
তাঁরা খাচ্ছিলেন, এমন সময় যীশু একটি রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন, আর সেই রুটি টুকরো টুকরো করে শিষ্যদের দিয়ে বললেন, ‘এই নাও, খাও, এ আমার দেহ৷’
মথি 26 : 27 (ERVBN)
এরপর তিনি পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিলেন আর পানপাত্রটি শিষ্যদের দিয়ে বললেন, ‘তোমরা সকলে এর থেকে পান কর৷
মথি 26 : 28 (ERVBN)
কারণ এ আমার রক্ত, নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হওযার রক্ত যা বহুলোকের পাপ মোচনের জন্য পাতিত হল৷
মথি 26 : 29 (ERVBN)
আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আমি এইদ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না, য়ে পর্যন্ত না আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে নতুন দ্রাক্ষারস পান করি৷’
মথি 26 : 30 (ERVBN)
এরপর তাঁরা একটি গান করতে করতে জৈতুন পর্বতমালায় চলে গেলেন৷
মথি 26 : 31 (ERVBN)
যীশু তাদের বললেন, ‘আমার কারণে তোমরা আজ রাত্রেইবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে৷ আমি একথা বলছি কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমি মেষপালককে আঘাত করবো৷ তাঁর মৃত্যু হলে পালের মেষরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে৷’ সখরিয় 13:7
মথি 26 : 32 (ERVBN)
কিন্তু আমি পুনরুত্থিত হলে পর, তোমাদের আগে আগে গালীলে যাব৷’
মথি 26 : 33 (ERVBN)
এর উত্তরে পিতর বললেন, ‘আপনার কারণে সকলেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু আমি কখনইবিশ্বাস হারাবো না৷’
মথি 26 : 34 (ERVBN)
যীশু বললেন, ‘আমি সত্যি বলছি, আজ রাত্রেইতুমি বলবে য়ে তুমি আমাকে চেনো না৷ ভোরে মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে৷’
মথি 26 : 35 (ERVBN)
কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, ‘আমি আপনাকে চিনি না, একথা আমি কখনও বলব না৷ আপনার সঙ্গে আমি মরতেও প্রস্তুত৷’ অন্য শিষ্যরা ও সকলে একইকথা বললেন৷
মথি 26 : 36 (ERVBN)
এরপর যীশু তাঁদের সঙ্গে গেত্শিমানী নামে একটা জায়গায় গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বললেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে যতক্ষণ প্রার্থনা করি, তোমরা এখানে বসে থাক৷’
মথি 26 : 37 (ERVBN)
এরপর তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চলতে থাকলেন৷ য়েতে য়েতে তাঁর মন উদ্বেগ ও ব্যথায় ভরে গেল, তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন৷
মথি 26 : 38 (ERVBN)
তখন তিনি তাদের বললেন, ‘দুঃখে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে৷ তোমরা এখানে থাক আর আমার সঙ্গে জেগে থাকো৷’
মথি 26 : 39 (ERVBN)
পরে তিনি কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, ‘আমার পিতা, যদি সন্ভব হয় তবে এই কষ্টের পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূরে যাক; তবু আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷’
মথি 26 : 40 (ERVBN)
এরপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমাচ্ছেন৷ তিনি পিতরকে বললেন, ‘একি! তোমরা আমার সঙ্গে এক ঘন্টাও জেগে থাকতে পারলে না?
মথি 26 : 41 (ERVBN)
জেগে থাক ও প্রার্থনা কর য়েন প্রলোভনে না পড়৷ তোমাদের আত্মা ইচ্ছুক বটে, কিন্তু দেহ দুর্বল৷’
মথি 26 : 42 (ERVBN)
তিনি গিয়ে আর একবার প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমার পিতা, এই দুঃখের পানপাত্র থেকে আমি পান না করলে যদি তা দূর হওযা সন্ভব না হয় তবে তোমারইইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷’
মথি 26 : 43 (ERVBN)
পরে তিনি ফিরে এসে দেখলেন, শিষ্যরা আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন, কারণ তাদের চোখ ভারী হয়ে গিয়েছিল৷
মথি 26 : 44 (ERVBN)
তখন তিনি তাঁদের ছেড়ে চলে গেলেন ও তৃতীয় বার প্রার্থনা করলেন৷ তিনি আগের মতো সেই একই কথা বলে প্রার্থনা করলেন৷
মথি 26 : 45 (ERVBN)
পরে তিনি শিষ্যদের কাছে এসে বললেন, ‘তোমরা এখনও ঘুমিয়ে রয়েছ ও বিশ্রাম করছ? শোন, সময় ঘনিয়ে এল, মানবপুত্রকে পাপীদের হতে তুলে দেওযা হবে৷
মথি 26 : 46 (ERVBN)
ওঠ, চল আমরা যাই! ঐ দেখ! য়ে লোক আমায় ধরিয়ে দেবে, সে এসে গেছে৷’
মথি 26 : 47 (ERVBN)
তিনি তখনও কথা বলছেন, এমন সময় সেইবারোজন শিষ্যের মধ্যে একজন, যিহূদা সেখানে এসে হাজির হল, তার সঙ্গে বহুলোক ছোরা ও লাঠি নিয়ে এল৷ প্রধান যাজকরা ও সমাজপতিরা এদের পাঠিয়েছিলেন৷
মথি 26 : 48 (ERVBN)
য়ে তাঁকে ধরিয়ে দিচ্ছিল, সে ঐ লোকদের একটা সাঙ্কেতিক চিহ্ন দিয়ে বলেছিল, ‘আমি যাকে চুমু দেব, সেই ঐ লোক, তাকে তোমরা ধরবে৷’
মথি 26 : 49 (ERVBN)
এরপর যিহূদা যীশুর কাছে এগিয়ে এসে বলল, ‘গুরু, নমস্কার,’ এই বলে সে তাঁকে চুমু দিল৷
মথি 26 : 50 (ERVBN)
যীশু তাঁকে বললেন, ‘বন্ধু, তুমি যা করতে এসেছ কর৷’ তখন তারা এগিয়ে এসে জাপটে ধরে যীশুকে গ্রেপ্তার করল৷
মথি 26 : 51 (ERVBN)
সেই সময় যীশুর সঙ্গীদের মধ্যে একজন তাঁর তরোয়ালের দিকে হাত বাড়ালেন আর তা বের করে মহাযাজকদের দাসকে আঘাত করে তার একটা কান কেটে দিলেন৷
মথি 26 : 52 (ERVBN)
তখন যীশু তাকে বললেন, ‘তোমার তরোয়ালটি খাপে রাখ৷ যাঁরা তরোয়াল চালায় তারা তরোয়ালের আঘাতেইমরবে৷
মথি 26 : 53 (ERVBN)
তোমরা কি ভাব য়ে, আমি আমার পিতা ঈশ্বরের কাছে চাইতে পারি না? চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমার জন্য বারোটিরও বেশী স্বর্গদূতবাহিনী পাঠিয়ে দেবেন৷
মথি 26 : 54 (ERVBN)
কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে শাস্ত্রের বাণী কিভাবে পূর্ণ হবে, শাস্ত্রে যখন বলছে এভাবেই সব কিছু অবশ্যই ঘটবে?’
মথি 26 : 55 (ERVBN)
সেই সময় যীশু লোকদের বললেন, ‘লোকে য়েমন ডাকাত ধরতে যায়, সেই ভাবে তোমরা ছোরা ও লাঠি নিয়ে আমায় ধরতে এসেছ? আমি তো প্রতিদিন মন্দিরের মধ্যে বসে শিক্ষা দিয়েছি;
মথি 26 : 56 (ERVBN)
কিন্তু তোমরা আমায় গ্রেপ্তার কর নি৷ যাইহোক, এসব কিছুই ঘটল য়েন ভাববাদীদের লেখা সকল কথাই পূর্ণ হয়৷’ তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে গেলেন৷
মথি 26 : 57 (ERVBN)
তারা যীশুকে গ্রেপ্তার করে মহাযাজক কায়াফার বাড়িতে নিয়ে এল, সেখানে ব্যবস্থার শিক্ষক ও ইহুদী নেতারা জড়ো হয়েছিলেন৷
মথি 26 : 58 (ERVBN)
পিতর দূর থেকে যীশুর পিছনে পিছনে মহাযাজকের বাড়ির উঠোন পর্যন্ত গেলেন৷ শেষ পর্যন্ত কি হয় তা দেখবার জন্য তিনি ভেতরে গিয়ে দাসদের সঙ্গে বসলেন৷
মথি 26 : 59 (ERVBN)
যীশুকে য়েন মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে তাই যীশুর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী য়োগাড় করার জন্য প্রধান যাজকরা ও ইহুদী মহাসভার সব সভ্য়রা সেখানে সমবেত হয়েছিলেন৷
মথি 26 : 60 (ERVBN)
অনেকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবার জন্য সেখানে হাজির হয়েছিল, তবু য়ে সাক্ষ্য যীশুকে হত্যা করার জন্য দরকার তা পাওযা গেল না৷
মথি 26 : 61 (ERVBN)
শেষে দুজন লোক এসে বলল, ‘এইলোক বলেছিল, ‘আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙ্গে ফেলতে ও তা আবার তিন দিনের ভেতরে গেঁথে তুলতে পারি৷’
মথি 26 : 62 (ERVBN)
তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে যীশুকে বললেন, ‘তুমি কি এর জবাবে কিছুই বলবে না? এরা তোমার বিরুদ্ধে কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?’
মথি 26 : 63 (ERVBN)
কিন্তু যীশু নীরব থাকলেন৷ তখন মহাযাজক তাঁকে বললেন, ‘আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্যি দিচ্ছি, আমাদের বল, তুমি কি সেইখ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?’
মথি 26 : 64 (ERVBN)
যীশু তাঁকে বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমিই একথা বললে৷ তবে আমি তোমাকে এটাও বলছি, এখন থেকে তোমরা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রান্ত ঈশ্বরের ডানপাশে বসে থাকতে ও আকাশে মেঘের মধ্যে দিয়ে আসতে দেখবে৷’
মথি 26 : 65 (ERVBN)
তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে বললেন, ‘এ ঈশ্বরের নিন্দা করল, আমাদের আর অন্য সাক্ষ্যের দরকার কি?দেখ, তোমরা এখন ঈশ্বর নিন্দা শুনলে!
মথি 26 : 66 (ERVBN)
তোমরা কি মনে কর? এর উত্তরে তারা বলল, ‘এ মৃত্যুর য়োগ্য৷’
মথি 26 : 67 (ERVBN)
তখন তারা যীশুর মুখে থুথু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারল৷
মথি 26 : 68 (ERVBN)
কেউ কেউ তাঁকে চড় মারল ও বলল, ‘ওরে খ্রীষ্ট, আমাদের জন্য কিছু ভাববানী বল, কে তোকে মারল?’
মথি 26 : 69 (ERVBN)
পিতর যখন বাইরে উঠোনে বসেছিলেন তখন একজন দাসী এসে বলল, ‘তুমিও গালীলে যীশুর সঙ্গে ছিলে৷’
মথি 26 : 70 (ERVBN)
কিন্তু পিতর সবার সামনে একথা অস্বীকার করে বললেন, ‘তুমি কি বলছ, আমি তার কিছুইজানি না৷’
মথি 26 : 71 (ERVBN)
তিনি যখন ফটকের সামনে গেলেন, তখন আর একজন দাসী তাকে দেখে সেখানে যাঁরা ছিল তাদের বলল, ‘এ লোকটা নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল৷’
মথি 26 : 72 (ERVBN)
পিতর আবার অস্বীকার করলেন৷ তিনি দিব্যি করে বললেন, ‘আমি ঐ লোকটাকে মোটেই চিনি না৷’
মথি 26 : 73 (ERVBN)
এর কিছু পরে, সেখানে যাঁরা দাঁড়িয়েছিল তারা পিতরের কাছে এসে বলল, ‘তুমি ঠিক ওদেরই একজন কারণ তোমার কথার উচ্চারণের ধরণ দেখেই তা বুঝতে পারা যাচ্ছে৷’
মথি 26 : 74 (ERVBN)
তখন পিতর দিব্যি করে শাপ দিয়ে বললেন, ‘আমি ঐ লোকটাকে আদৌ চিনি না৷’ আর তখনইমোরগ ডেকে উঠল৷
মথি 26 : 75 (ERVBN)
তখন পিতরের মনে পড়ে গেল যীশু তাকে যা বলেছিলেন, ‘ভোরের মোরগ ডাকার আগেই তুমি তাকে তিনবার অস্বীকার করবে৷’ আর পিতর বাইরে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন৷
❮
❯