আদিপুস্তক 11 : 1 (BNV)
সমস্ত পৃথিবীতে এক ভাষা ও একরূপ কথা ছিল।
আদিপুস্তক 11 : 2 (BNV)
পরে লোকেরা পূর্ব্বদিকে ভ্রমণ করিতে করিতে শিনিয়র দেশে এক সমস্থলী পাইয়া সে স্থানে বসতি করিল;
আদিপুস্তক 11 : 3 (BNV)
আর পরস্পর কহিল, আইস, আমরা ইষ্টক নির্ম্মাণ করিয়া অগ্নিতে দগ্ধ করি; তাহাতে ইষ্টক তাহাদের প্রস্তর ও মেটিয়া তৈল চূণ হইল।
আদিপুস্তক 11 : 4 (BNV)
পরে তাহারা কহিল, আইস, আমরা আপনাদের নিমিত্তে এক নগর ও গণনস্পর্শী এক উচ্চগৃহ নির্ম্মাণ করিয়া আপনাদের নাম বিখ্যাত করি, পাছে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন হই।
আদিপুস্তক 11 : 5 (BNV)
পরে মনুষ্য-সন্তানেরা যে নগর ও উচ্চগৃহ নির্ম্মাণ করিতেছিল, তাহা দেখিতে সদাপ্রভু নামিয়া আসিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 6 (BNV)
আর সদাপ্রভু কহিলেন, দেখ, তাহারা সকলে এক জাতি ও এক ভাষাবাদী; এখন এই কর্ম্মে প্রবৃত্ত হইল; ইহার পরে যে কিছু করিতে সঙ্কল্প করিবে, তাহা হইতে নিবারিত হইবে না।
আদিপুস্তক 11 : 7 (BNV)
আইস, আমরা নীচে গিয়া, সেই স্থানে তাহাদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহারা এক জন অন্যের ভাষা বুঝিতে না পারে।
আদিপুস্তক 11 : 8 (BNV)
অার সদাপ্রভু তথা হইতে সমস্ত ভূমণ্ডলে তাহাদিগকে ছিন্নভিন্ন করিলেন, এবং তাহারা নগর পত্তন হইতে নিবৃত্ত হইল।
আদিপুস্তক 11 : 9 (BNV)
এই জন্য সেই নগরের নাম বাবিল *ভেদ থাকিল; কেননা সেই স্থানে সদাপ্রভু সমস্ত পৃথিবীর ভাষার ভেদ জন্মাইয়াছিলেন, এবং তথা হইতে সদাপ্রভু তাহাদিগকে সমস্ত ভূমণ্ডলে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 10 (BNV)
শেমের বংশ-বৃত্তান্ত এই। শেম এক শত বৎসর বয়সে, জলপ্লাবনের দুই বৎসর পরে, অর্ফক্ষদের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 11 (BNV)
অর্ফক্ষদের জন্ম দিলে পর শেম পাঁচ শত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 12 (BNV)
অর্ফক্ষদ পঁয়ত্রিশ বৎসর বয়সে শেলহের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 13 (BNV)
শেলহের জন্ম দিলে পর অর্ফক্ষদ চারি শত তিন বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 14 (BNV)
শেলহ ত্রিশ বৎসর বয়সে এবরের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 15 (BNV)
এবরের জন্ম দিলে পর শেলহ চারি শত তিন বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 16 (BNV)
এবর চৌত্রিশ বৎসর বয়সে পেলগের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 17 (BNV)
পেলগের জন্ম দিলে পর এবর চারি শত ত্রিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 18 (BNV)
পেলগ ত্রিশ বৎসর বয়সে রিয়ূর জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 19 (BNV)
রিয়ূর জন্ম দিলে পর পেলগ দুই শত নয় বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 20 (BNV)
রিয়ূ বত্রিশ বৎসর বয়সে সরূগের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 21 (BNV)
সরূগের জন্ম দিলে পর রিয়ূ দুই শত সপ্ত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 22 (BNV)
সরূগ ত্রিশ বৎসর বয়সে নাহোরের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 23 (BNV)
নাহোরের জন্ম দিলে পর সরূগ দুই শত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 24 (BNV)
নাহোর ঊনত্রিশ বৎসর বয়সে তেরহের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 25 (BNV)
তেরহের জন্ম দিলে পর নাহোর এক শত ঊনিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 26 (BNV)
তেরহ সত্তর বৎসর বয়সে অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 27 (BNV)
তেরহের বংশ-বৃত্তান্ত এই। তেরহ অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম দিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 28 (BNV)
আর হারণ লোটের জন্ম দিলেন। কিন্তু হারণ আপন পিতা তেরহের সাক্ষাতে আপন জন্মস্থান কল্দীয় দেশের ঊরে প্রাণত্যাগ করিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 29 (BNV)
অব্রাম ও নাহোর উভয়েই বিবাহ করিলেন; অব্রামের স্ত্রীর নাম সারী, ও নাহোরের স্ত্রীর নাম মিল্কা। এই স্ত্রী হারণের কন্যা; হারণ মিল্কার ও যিষ্কার পিতা।
আদিপুস্তক 11 : 30 (BNV)
সারী বন্ধ্যা ছিলেন, তাঁহার সন্তান হইল না।
আদিপুস্তক 11 : 31 (BNV)
আর তেরহ আপন পুত্র অব্রামকে ও হারণের পুত্র আপন পৌত্র লোটকে এবং অব্রামের স্ত্রী সারী নাম্নী পুত্রবধূকে সঙ্গে লইলেন; তাঁহারা একসঙ্গে কনান দেশে যাইবার নিমিত্তে কল্দীয় দেশের ঊর হইতে যাত্রা করিলেন; আর হারণ নগর পর্য্যন্ত গিয়া তথায় বসতি করিলেন।
আদিপুস্তক 11 : 32 (BNV)
পরে তেরহের দুই শত পাঁচ বৎসর বয়স হইলে ঐ হারণে তাঁহার মৃত্যু হইল।
❮
❯