Bengali বাইবেল

বিচারকচরিত total 21 অধ্যায়গুলির

বিচারকচরিত

বিচারকচরিত অধ্যায় 4
বিচারকচরিত অধ্যায় 4

দবোরা 1 এহূদ মারা যাওয়ার পর ইস্রায়েলীরা আবার সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তাই করল।

2 তাই সদাপ্রভু তাদের কনানের রাজা সেই যাবীনের হাতে সমর্পণ করে দিলেন, যিনি হাৎসোরে রাজত্ব করতেন। তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতি সীষরা হরোশৎ-হগ্গোয়ীমের অধিবাসী ছিলেন।

3 যেহেতু তাঁর কাছে 900-টি লৌহরথ ছিল এবং তিনি কুড়ি বছর ধরে ইস্রায়েলীদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়েছিলেন, তাই ইস্রায়েলীরা সাহায্য পাওয়ার আশায় সদাপ্রভুর কাছে কেঁদেছিল।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

4 সেই সময় লপ্পীদোতের স্ত্রী দবোরা—একজন মহিলা ভাববাদী, ইস্রায়েলীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।* ঐতিহ্যগতভাবে, বিচার করছিলেন

5 ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশে রামা ও বেথেলের মাঝখানে অবস্থিত দবোরার খেজুর গাছের তলায় বসে তিনি বিচারকাজ চালাতেন, এবং ইস্রায়েলীরা তাদের দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির জন্য সেখানে তাঁর কাছে যেত।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

6 তিনি কেদশ-নপ্তালি থেকে অবীনোয়মের ছেলে বারককে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমাকে এই আদেশ দিয়েছেন: ‘যাও, নপ্তালি ও সবূলূন গোষ্ঠীভুক্ত 10,000 লোক সঙ্গে নাও এবং তাবোর পর্বত পর্যন্ত তাদের নেতৃত্ব দিয়ে যাও।

7 আমি যাবীনের সৈন্যদলের সেনাপতি সীষরাকে এবং তার রথ ও তার সৈন্যবাহিনীকে কীশোন নদীর কাছে পরিচালনা দিয়ে নিয়ে যাব এবং তাকে তোমার হাতে সমর্পণ করব।’ ”

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

8

9 বারক তাঁকে বললেন, “আপনি যদি আমার সঙ্গে যান, তবেই আমি যাব; কিন্তু আপনি যদি আমার সঙ্গে না যান, তবে আমি যাব না।” “আমি নিশ্চয় তোমার সঙ্গে যাব,” দবোরা বললেন। “কিন্তু এ যাত্রায় তুমি সম্মান লাভ করবে না, কারণ সদাপ্রভু সীষরাকে একজন স্ত্রীলোকের হাতে সমর্পণ করবেন।” অতএব দবোরা বারকের সঙ্গে কেদশে চলে গেলেন।

10 বারক সেখানে সবূলূন ও নপ্তালি গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের ডেকে পাঠালেন, এবং 10,000 লোক তাঁর নেতৃত্বাধীন হয়ে তাঁর সঙ্গে গেল। দবোরাও তাঁর সঙ্গে গেলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

11

12 ইত্যবসরে মোশির শ্যালক অথবা, শ্বশুরমশাই , কেনীয় হেবর হোববের বংশধর অন্যান্য কেনীয়দের থেকে পৃথক হয়ে কেদশের নিকটবর্তী সানন্নীমের বিশাল সেই গাছটির কাছে তাঁর তাঁবু খাটিয়েছিলেন। সীষরাকে যখন বলা হল যে অবীনোয়মের ছেলে বারক তাবোর পর্বতে উঠেছে,

13 তখন সীষরা হরোশৎ-হাগ্গোয়ীম থেকে তাঁর সব লোকজনকে ও তাঁর 900-টি লৌহরথ কীশোন নদীতীরে ডেকে আনালেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

14 তখন দবোরা বারককে বললেন, “যাও! সদাপ্রভু আজই তোমার হাতে সীষরাকে সমর্পণ করেছেন। সদাপ্রভু কি তোমার অগ্রগামী হননি?” অতএব বারক তাঁর 10,000 জন অনুচরকে সঙ্গে নিয়ে তাবোর পর্বত থেকে নেমে এলেন।

15 বারক এগিয়ে যেতে না যেতেই সদাপ্রভু সীষরাকে এবং তাঁর সব রথ ও সৈন্যবাহিনীকে তরোয়ালের আঘাতে ছত্রভঙ্গ করে দিলেন, এবং সীষরা তাঁর রথ থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পালিয়ে গেলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

16 বারক হরোশৎ-হাগ্গোয়ীম পর্যন্ত সেইসব রথ ও সৈন্যদলের পশ্চাদ্ধাবন করলেন এবং সীষরার সৈন্যবাহিনী তরোয়াল দ্বারা পতিত হল; একজনও অবশিষ্ট রইল না।

17 এদিকে, সীষরা পায়ে হেঁটে কেনীয় হেবরের স্ত্রী যায়েলের তাঁবুর কাছে পালিয়ে গেলেন, কারণ হাৎসোরের রাজা যাবীনের সঙ্গে কেনীয় হেবরের পরিবারের এক মৈত্রীর সম্পর্ক ছিল।

18

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

19 যায়েল সীষরার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরে এসে তাঁকে বললেন, “হে আমার প্রভু, ভিতরে আসুন। ভয় পাবেন না।” অতএব সীষরা যায়েলের তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, এবং তিনি একটি কম্বল দিয়ে সীষরাকে ঢেকে দিলেন।

20 “আমার পিপাসা পেয়েছে,” সীষরা বললেন। “দয়া করে আমাকে একটু জল দাও।” যায়েল তখন দুধ-ভর্তি একটি মশক খুলে তাঁকে খানিকটা দুধ পান করতে দিলেন, এবং আবার তাঁকে ঢেকে দিলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

21 “তুমি তাঁবুর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকো,” তিনি যায়েলকে বললেন। “কেউ যদি এসে তোমায় জিজ্ঞাসা করে, ‘এখানে কি কেউ আছে?’ তবে বোলো, ‘না, কেউ নেই।’ ”

22 কিন্তু হেবরের স্ত্রী যায়েল একটি তাঁবু-খুটা ও একটি হাতুড়ি তুলে নিয়ে নিঃশব্দে তাঁর কাছে গেলেন। ক্লান্ত সীষরা গভীর ঘুমে নিদ্রাগত হয়ে পড়েছিলেন। যায়েল সেই খুঁটিটি সীষরার রগে এমনভাবে বিঁধিয়ে দিলেন যে সেটি মাটিতে গেঁথে গেল, ও তিনি মারা গেলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

23 ঠিক তখনই বারক সীষরার পশ্চাদ্ধাবন করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন এবং যায়েল তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরে গেলেন। “আসুন,” যায়েল বললেন, “আপনি যে লোকটির খোঁজ করছেন, তাকে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।” অতএব বারক তাঁর সঙ্গে তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, এবং সেখানে সীষরা রগে তাঁবু-খুটা বিদ্ধ অবস্থায় মরে পড়েছিলেন। সেদিন ঈশ্বর কনানের রাজা যাবীনকে ইস্রায়েলীদের সামনে অবনমিত করলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 4

24 আর ইস্রায়েলীরা কনানের রাজা যাবীনকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তাদের হাত তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত কঠোর থেকে কঠোরতর হতেই থাকল।