Bengali বাইবেল
पশিষ্যচরিত total 28 অধ্যায়গুলির
पশিষ্যচরিত
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
1 পৌল, দর্বী ও লুস্ত্রার শহরে গেলেন; সেখানে তীমথিয় নামে একজন খ্রীষ্টানুসারী ছিলেন৷ তীমথিয়র মা ছিলেন ইহুদী খ্রীষ্টীয়ান, তাঁর বাবা ছিলেন গ্রীক৷
2 লুস্ত্রা ও ইকনীয়ের সকল ভাইয়েরা তীমথিয়কে শ্রদ্ধা করত ও তাঁর বিষয়ে সুখ্যাতি করত৷
3 পৌল চাইলেন সুসমাচার প্রচারের জন্য য়েন তীমথিয় তাঁর সঙ্গে যান৷ তাই তিনি ঐসব জায়গায় ইহুদীদের সন্তুষ্ট করতে তীমথিয়কে সুন্নত করালেন, কারণ তাঁর বাবা য়ে গ্রীক একথা সকলে জানত৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
4 পরে পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা বিভিন্ন শহরের মধ্য দিয়ে য়েতে য়েতে, সেখানকার বিশ্বাসী ভাইদের কাছে জেরুশালেমের প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের নির্ধারিত নির্দেশ জানালেন৷
5 এইভাবে মণ্ডলীগুলি বিশ্বাসে দৃঢ় হতে থাকল ও প্রতিদিন সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকল৷
6 পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা ফরুগিয়া ও গালাতিয়ায় গেলেন, কারণ এশিয়ায় সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে পবিত্র আত্মা তাঁদের অনুমতি দিলেন না৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
7 তাঁরা মুশিয়ার সীমান্তে এলেন এবং বিথুনিয়ায় য়েতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু যীশুর আত্মা তাদের সেখানেও য়েতে দিলেন না৷
8 তাই তাঁরা মুশিয়ার মধ্য দিয়ে ত্রোয়াতে গিয়ে পৌঁছালেন৷
9 সেই রাত্রে পৌল এক দর্শন পেলেন, তিনি দেখলেন একজন মাকিদনিয়ান লোক দাঁড়িয়ে অনুনয় করে বলছে, ‘মাকিদনিয়ায় আসুন! আমাদের সাহায্য করুন৷’
10 পৌলের এই দর্শন পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে মাকিদনিয়ায় যাওয়ার স্থির করলাম, আমরা বুঝতে পারলাম য়ে সেখানে সুসমাচার প্রচার করার জন্য ঈশ্বর আমাদের ডাকছেন৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
11 আমরা ত্রোয়া ছেড়ে জলপথে সোজা সামথ্রাকীতের দিকে রওনা দিলাম, আর পরদিন নিয়াপলিতে পৌঁছালাম৷
12 সেখান থেকে আমরা ফিলিপীতে গেলাম৷ ফিলিপী হল মাকিদনিয়ার এ অংশের এক উল্লেখয়োগ্য শহর, এক রোমান উপনিবেশ, আমরা সেখানে কিছুদিন থাকলাম৷
13 বিশ্রামবারে আমরা শহরের ফটকের বাইরে নদীর ধারে গেলাম, মনে করলাম সেখানে নিশ্চয়ই কোন প্রার্থনার জায়গা আছে৷ আর সেখানে য়ে সব স্ত্রীলোক সমবেত হয়েছিলেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলাম৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
14 সেখানে লুদিয়া নামে এক মহিলা ছিলেন, তাঁর বেগুনে রঙের কাপড়ের ব্যবসা ছিল৷ থুয়াতীরা শহর থেকে আগত এই মহিলা সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করতেন৷ তিনি আমাদের কথা শুনছিলেন, আর ঈশ্বর তাঁর হৃদয় খুলে দিলে তিনি পৌলের কথা মন দিয়ে শুনে বিশ্বাস করলেন৷
15 তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে বাপ্তাইজ হলে পর, তিনি অনুরোধের সুরে আমাদের বললেন, ‘আপনারা যদি আমাকে প্রভুর প্রকৃত বিশ্বাসী মনে করে থাকেন, তবে আমার বাড়িতে এসে থাকুন৷’ আর তাঁর বাড়িতে থাকবার জন্য আমাদের অনেকপীড়াপীড়ি করলেন৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
16 একদিন আমরা যখন প্রার্থনা করার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন একজন ক্রীতদাসী আমাদের সামনে এল৷ তার উপর এমন এক বিশেষ মন্দ আত্মা ভর করে ছিল যার প্রভাবে সে মানুষের ভবিষ্যত্ বলে দিতে পারত৷ এই করে সে তার মনিবদেব বেশ রোজগারের রাস্তা করে দিয়েছিল৷
17 সে আমাদেরও পৌলের পিছু ধরল আর চিত্কার করে বলতে লাগল, ‘এই লোকেরা পরাত্পর ঈশ্বরের দাস৷ তাঁরা বলছেন কিভাবে তোমরা উদ্ধার পেতে পারো৷’
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
18 এভাবে সে অনেকদিন ধরে বলতে লাগল৷ শেষে পৌল এতে বিরক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই আত্মাকে বললেন ‘যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোকে আদেশ করছি য়ে তুই এর থেকে বেরিয়ে যা৷’ তাতে সেই মন্দ আত্মা সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে গেল৷
19 সেই ক্রীতদাসীর মনিবরা তা দেখল, আর সেই ক্রীতদাসীকে কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হল বুঝতে পেরে তারা পৌল ও সীলকে ধরে টানতে টানতে বাজারে কর্ত্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে গেল৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
20 তারা নগরের কর্ত্তৃপক্ষের সামনে পৌল ঔ সীলকে নিয়ে এসে বলল, ‘এরা ইহুদী, আর এরা আমাদের শহরে গণ্ডগোলের সৃষ্টি করছে!
21 এরা এমন সব রীতি নীতি পালনের কথা বলছে যা পালন করা আমাদের পক্ষে নীতিবিরুদ্ধ কাজ, কারণ আমরা রোমান নাগরিক৷ আমরা ঐসব পালন করতে পারি না৷’
22 তখন সেই জনতা তাঁদের ওপর মারমুখী হয়ে উঠল৷ নগররক্ষকগণ পৌল ও সীলের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে তাঁদের বেত মারার জন্য হুকুম দিলেন৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
23 পৌল ও সীলকে জনতা খুব মারধোর করার পর নেতারা তাঁদের কারাগারে পুরে দিল এবং কারারক্ষককে কড়া পাহারা দিতে বলল৷
24 কারারক্ষক এই নির্দেশ পেয়ে পৌল ও সীলকে কারাগারের ভেতরের কক্ষে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে বসানো কাঠের বেড়িগুলির মধ্যে তাঁদের পা আটকে দিল৷
25 মাঝরাতে পৌল ও সীল ঈশ্বরের স্তবগান ও প্রার্থনা করছিলেন, অন্য বন্দীরা তা শুনছিল৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
26 হঠাত্ প্রচণ্ড ভূমিকম্পে কারাগারের ভিত কেঁপে উঠল আর সঙ্গে সঙ্গে কারাগারের সব দরজা খুলে গেল, বন্দীদের শেকল খসে পড়ল৷
27 কারারক্ষক জেগে উঠে যখন দেখলেন য়ে কারাগারের সব দরজা খোলা তখন তিনি তাঁর তরবারি কোষ থেকে বের করে আত্মহত্যা করতে চাইলেন, কারণ তিনি ভাবলেন বন্দীরা সব পালিয়েছে৷
28 কিন্তু পৌল চিত্কার করে বলে উঠলেন, ‘নিজের ক্ষতি করবেন না, আমরা সকলেই এখানে আছি৷’
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
29 তখন কারারক্ষক কাউকে আলো আনতে বলে ভেতরে দৌড়ে গেলেন, আর ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন৷
30 পরে তাঁদের বাইরে নিয়ে এসে বললেন, ‘মহাশয়েরা, উদ্ধার পেতে হলে আমায় কি করতে হবে?’
31 তাঁরা বললেন, ‘প্রভু যীশুর ওপর বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি ও আপনার গৃহের সকলেই উদ্ধার লাভ করবেন৷’
32 এরপর তাঁরা সেই কারারক্ষক ও তাঁর বাড়ির লোকের কাছে প্রভুর বার্তা প্রচার করলেন৷
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
33 বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কারারক্ষক সেই রাতেই পৌল ঔ সীলের সমস্ত ক্ষত ধুয়ে দিলেন এবং সপরিবারে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন৷
34 এরপর কারারক্ষক পৌল ও সীলকে নিজের গৃহে নিয়ে গিয়ে তাঁদের আহারের ব্যবস্থা করলেন৷ ঈশ্বরে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে খুব আনন্দিত হলেন৷
35 পরদিন সকাল হলে শাসকগণ রক্ষীবাহিনীদের দিয়ে কারারক্ষককে বলে পাঠালেন, ‘ঐ লোকদের ছেড়ে দাও!’
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
36 তখন কারারক্ষক সেকথা পৌলকে জানালেন, ‘নগর অধ্যক্ষেরা আপনাদের ছেড়ে দেবার জন্য বলে পাঠিয়েছেন, তাই এখন আপনারা শান্তিতে এখান থেকে চলে যান৷’
37 কিন্তু পৌল তাদের বললেন, ‘আমরা রোমান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তারা আমাদের বিচার না করেই সকলের সামনে বেত মেরেছেন৷ শেষে আমাদের কারাগারে বন্দী করেছিলেন৷ এখন তারা চুপি-চুপি আমাদের ছেড়ে দিতে চাইছেন? এ হতে পারে না! কিন্তু তাদের এখানে আসতে হবে আর এসে আমাদের কারাগারের বাইরে নিয়ে য়েতে হবে৷’
पশিষ্যচরিত অধ্যায় 16
38 সেই রক্ষীবাহিনীর লোকেরা বিচারকদের জানাল য়ে পৌল ও সীল রোমান নাগরিক, তখন তারা ভয় পেয়ে গেল৷
39 তাই তারা এসে ক্ষমা চাইল, আর তাঁদের কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে সেই শহর ছেড়ে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করল৷
40 পৌল ও সীল কারাগার থেকে বের হয়ে লুদিয়ার বাড়ি গেলেন৷ সেখানে বিশ্বাসীদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের সকলকে উত্সাহ দিলেন৷ এরপর পৌল ও সীল শহর ছেড়ে চলে গেলেন৷