Bengali বাইবেল
জাখারিয়া total 14 অধ্যায়গুলির
জাখারিয়া
জাখারিয়া অধ্যায় 8
জাখারিয়া অধ্যায় 8
1 পরে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হইল,
2 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি মহৎ অন্তর্জ্বালায় সিয়োনের জন্য জ্বলিয়াছি, আর আমি তাহার জন্য মহাক্রোধে জ্বলিয়াছি।
3 সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি সিয়োনে ফিরিয়া আসিয়াছি, আমি যিরূশালেমের মধ্যে বাস করিব; আর যিরূশালেম সত্যপুরী নামে, এবং বাহিনীগণের সদাপ্রভুর পর্ব্বত পবিত্র পর্ব্বত নামে আখ্যাত হইবে।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
4 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, যাহারা অধিক বয়স প্রযুক্ত প্রত্যেকে লাঠি হাতে করে, এমন প্রাচীনেরা ও প্রাচীনারা পুনর্ব্বার যিরূশালেমের চকে বসিবে।
5 আর চকে ক্রীড়া করে, এমন বালক বালিকাতে নগরের চক সকল পরিপূর্ণ হইবে।
6 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, এই লোকদের অবশিষ্টাংশের দৃষ্টিতে তাহা যদি তৎকালে অসম্ভব বোধ হয়, তবে কি আমার দৃষ্টিতেও অসম্ভব বোধ হইবে? ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
7 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি পূর্ব্ব দেশ হইতে ও পশ্চিম দেশ হইতে আপন প্রজাদিগকে নিস্তার করিব;
8 আর আমি তাহাদিগকে আনিব, তাহাতে তাহারা যিরূশালেমের মধ্যে বাস করিবে; এবং সত্যে ও ধার্ম্মিকতায় তাহারা আমার প্রজা হইবে, ও আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব।
9 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তিমূল স্থাপনকালীন ভাববাদীদের মুখে এই বর্ত্তমান কালে এই সকল কথা শুনিতে পাইতেছ যে তোমরা, তোমাদের হস্ত সবল হউক; মন্দির নির্ম্মিত হইবে।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
10 বস্তুতঃ সেই দিনের পূর্ব্বে মনুষ্যের বেতন ছিল না, পশুর ভাড়াও ছিল না; এবং যে কেহ ভিতরে আসিত কিম্বা বাহিরে যাইত, বিপক্ষ লোকের জন্য তাহার কিছুই শান্তি হইত না; আর আমি প্রত্যেক জনকে আপন আপন প্রতিবাসীর বিপক্ষে প্রেরণ করিতাম।
11 কিন্তু এখন আমি এই লোকদের অবশিষ্টাংশের প্রতি পূর্ব্বকার দিন-সমূহের ন্যায় ব্যবহার করিব না, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
12 কেননা শান্তিযুক্ত বীজ হইবে, দ্রাক্ষালতা ফলবতী হইবে, ভূমি আপন শস্য উৎপন্ন করিবে; ও আকাশ আপন শিশির দান করিবে; আর আমি এই লোকদের অবশিষ্টাংশকে এই সকলের অধিকারী করিব।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
13 আর হে যিহূদা-কুল ও ইস্রায়েল-কুল, জাতিগণের মধ্যে তোমরা যেমন অভিশাপস্বরূপ ছিলে, তেমনি আমি তোমাদিগকে নিস্তার করিব, আর তোমরা আশীর্ব্বাদস্বরূপ হইবে; ভয় করিও না; তোমাদের হস্ত সবল হউক।
14 কেননা বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাকে ক্রুদ্ধ করাতে আমি যেমন তোমাদের অমঙ্গল সাধনের সঙ্কল্প করিলাম, অনুশোচনা করিলাম না,
15 বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, তেমনি ফিরিয়া এই সময়ে যিরূশালেমের ও যিহূদা-কুলের মঙ্গল সাধনের সঙ্কল্প করিলাম; তোমরা ভয় করিও না।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
16 তোমরা এই সকল কার্য্য করিও, আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে সত্য বলিও, তোমাদের নগর-দ্বারে সত্য ও শান্তিজনক বিচার করিও।
17 আর মনে মনে আপন আপন প্রতিবাসীর অনিষ্ট চিন্তা করিও না, এবং মিথ্যা দিব্য ভালবাসিও না; কেননা এই সকল আমি ঘৃণা করি, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
18 পরে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার নিকটে উপস্থিত হইল,
19 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও দশম মাসের যে সকল উপবাস, সে সকল যিহূদা-কুলের জন্য আনন্দ, আমোদ এবং মঙ্গলোৎসব হইয়া উঠিবে; অতএব তোমরা সত্য ও শান্তি ভালবাসিও।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
20 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইহার পরে নানা জাতি এবং অনেক নগরের নিবাসীরা আসিবে।
21 এক নগরের নিবাসীরা অন্য নগরে গিয়া এই কথা বলিবে, চল, আমরা সদাপ্রভুর কাছে বিনতি করিতে ও বাহিনীগণের সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতে শীঘ্র যাই; আমিও যাইব।
22 আর অনেক দেশের লোক ও বলবান জাতিগণ বাহিনীগণের সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতে ও সদাপ্রভুর কাছে বিনতি করিতে যিরূশালেমে আসিবে।
জাখারিয়া অধ্যায় 8
23 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তৎকালে জাতিগণের সর্ব্ব ভাষাবাদী দশ দশ পুরুষ এক এক যিহূদী পুরুষের বস্ত্রের অঞ্চল ধরিয়া এই কথা কহিবে, আমরা তোমাদের সহিত যাইব, কেননা আমরা শুনিলাম, ঈশ্বর তোমাদের সহবর্ত্তী।