Bengali বাইবেল
জাখারিয়া total 14 অধ্যায়গুলির
জাখারিয়া
জাখারিয়া অধ্যায় 1
জাখারিয়া অধ্যায় 1
1 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বৎসরের অষ্টম মাসে সদাপ্রভুর এই বাক্য ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র সখরিয় ভাববাদীর নিকটে উপস্থিত হইল।
2 সদাপ্রভু তোমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি অতিশয় ক্রোধাবিষ্ট হইয়াছিলেন।
3 অতএব তুমি এই লোকদিগকে বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন; তোমরা আমার প্রতি ফির, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, আমিও তোমাদের প্রতি ফিরিব, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
4 তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের, সদৃশ হইও না, তাহাদিগকে পূর্ব্বকালীন ভাববাদিগণ উচ্চৈঃস্বরে বলিত, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা আপন আপন কুপথ হইতে ও আপন আপন কুকায্য হইতে ফির; কিন্তু তাহারা শুনিত না, আমার কথায় কর্ণপাত করিত না, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
5 তোমাদের পিতৃপুরুষেরা কোথায়? এবং ভাববাদিগণ কি নিত্যজীবী?
6 কিন্তু আমি আপন দাস ভাববাদিগণকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছিলাম, আমার সেই সকল বাক্য ও বিধান কি তোমাদের পিতৃপুরুষদের লাগাল পায় নাই? তখন তাহারা ফিরিয়া আসিয়া কহিল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু আমাদের আচার ও ক্রিয়ানুসারে আমাদের প্রতি যেরূপ ব্যবহার করিতে মনস্থ করিয়াছিলেন, আমাদের প্রতি তদ্রূপ ব্যবহার করিয়াছেন।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
7 দারিয়াবসের দ্বিতীয় বৎসরের একাদশ মাসের, অর্থাৎ শবাট মাসের, চতুর্ব্বিংশ দিনে সদাপ্রভুর বাক্য ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র সখরিয় ভাববাদীর নিকটে উপস্থিত হইল।
8 তিনি বলিলেন, আমি রাত্রিকালে দর্শন পাইলাম, আর দেখ, রক্তবর্ণ অশ্বে আরোহী এক পুরুষ, তিনি নিম্নভূমিস্থ গুলমেদিবৃক্ষ সকলের মধ্যে দাঁড়াইয়াছিলেন, এবং তাঁহার পশ্চাৎ রক্তবর্ণ, পাণ্ডুর ও শ্বেতবর্ণ কতিপয় অশ্ব ছিল।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
9 তখন আমি কহিলাম, হে আমার প্রভু, ইহারা কে? তাহাতে আমার সঙ্গে আলাপকারী দূত আমাকে কহিলেন, ইহারা কে, তাহা আমি তোমাকে জ্ঞাত করিব।
10 আর যে পুরুষ গুলমেদিবৃক্ষ সকলের মধ্যে দাঁড়াইয়াছিলেন, তিনি কহিলেন, সদাপ্রভু ইহাদিগকে পৃথিবীতে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে পাঠাইয়াছেন।
11 তখন তাহারা উত্তর করিয়া, যিনি গুলমেদিবৃক্ষ সকলের মধ্যে দাঁড়াইছিলেন, সদাপ্রভুর সেই দূতকে কহিল, আমরা পৃথিবীতে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিয়াছি, আর দেখ, সমস্ত পৃথিবী সুস্থির ও বিশ্রান্ত।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
12 তখন সদাপ্রভুর দূত কহিলেন, হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তুমি এই সত্তর বৎসর যাহাদের উপরে ক্রোধাবিষ্ট রহিয়াছ, সেই যিরূশালেমের প্রতি, ও যিহূদার নগর সকলের প্রতি করুণা করিতে কতকাল বিলম্ব করিবে?
13 তখন যে দূত আমার সহিত আলাপ করিতেছিলেন, সদাপ্রভু তাঁহাকে উত্তর দিয়া নানা মঙ্গলকথা, নানা সান্ত্বনাদায়ক কথা কহিলেন।
14 আর যে দূত আমার সহিত আলাপ করিতেছিলেন, তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি ঘোষণা করিয়া বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিরূশালেমের পক্ষে ও সিয়োনের পক্ষে আমি মহা অন্তর্জ্বালায় জ্বালাযুক্ত হইয়াছি।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
15 আর নিশ্চিন্ত জাতিগণের প্রতি আমি মহাক্রোধাবিষ্ট হইয়াছি; কেননা আমি যৎকিঞ্চিৎ ক্রোধাবিষ্ট হইলে তাহারা অমঙ্গলার্থে সাহায্য করিল।
16 এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি করুণা করিয়া যিরূশালেমে ফিরিয়া আসিলাম; তাহার মধ্যে আমার গৃহ নির্ম্মিত হইবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন; এবং যিরূশালেমে সূত্রপাত হইবে।
17 তুমি আরও ঘোষণা করিয়া বল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমার নগর সকল পুনর্ব্বার মঙ্গলে আপ্লাবিত হইবে, এবং সদাপ্রভু সিয়োনকে পুনর্ব্বার সান্ত্বনা করিবেন, ও যিরূশালেমকে পুনর্ব্বার মনোনীত করিবেন।
জাখারিয়া অধ্যায় 1
18 পরে আমি চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, চারি শৃঙ্গ।
19 তখন আমার সঙ্গে আলাপকারী দূতকে জিজ্ঞাসা করিলাম, এগুলি কি? তিনি আমাকে কহিলেন, এ সেই সকল শৃঙ্গ, যাহারা যিহূদা, ইস্রায়েল এবং যিরূশালেমকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছে।
20 পরে সদাপ্রভু আমাকে চারি জন কর্ম্মকার দেখাইলেন।
21 আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইহারা কি করিতে আসিতেছে? তিনি কহিলেন, ঐ শৃঙ্গ সকল যিহূদাকে এমন ছিন্নভিন্ন করিয়াছে যে, কেহই মস্তক তুলিতে পারে নাই; কিন্তু যে জাতিগণ যিহূদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করিবার জন্য শৃঙ্গ উঠাইয়াছে, তাহাদিগকে ভয় দেখাইবার জন্য ও তাহাদের শৃঙ্গ সকল নীচে ফেলিয়া দিবার জন্য ইহারা আসিতেছে।