Bengali বাইবেল
সামসঙ্গীত total 150 অধ্যায়গুলির
সামসঙ্গীত
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
1 ধন্য তাহারা, যাহারা আচরণে সিদ্ধ, যাহারা সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-পথে চলে।
2 ধন্য তাহারা, যাহারা তাঁহার সাক্ষ্যকলাপ পালন করে; যাহারা সর্ব্বান্তঃকরণে তাঁহার অন্বেষণ করে।
3 আবার তাহারা অন্যায় করে না, তাহারা তাঁহার সকল পথে গমন করে।
4 তুমি আপন নিদেশমালা আদেশ করিয়াছ, যেন আমরা যত্নপূর্ব্বক তাহা পালন করি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
5 আহা! আমার পথ সকল সুস্থির হউক, যেন আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করি।
6 তখন আমি লজ্জিত হইব না, যখন তোমার আজ্ঞা সকলের প্রতি দৃষ্টি রাখি।
7 যখন তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপ শিক্ষা করি, তখন আমি সরল চিত্তে তোমার স্তব করিব।
8 আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব; আমাকে একেবারে পরিত্যাগ করিও না।
9 যুবক কেমন করিয়া নিজ পথ বিশুদ্ধ করিবে? তোমার বাক্যানুসারে সাবধান হইয়াই করিবে।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
10 আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।
11 তোমার বচন আমি হৃদয়মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।
12 ধন্য তুমি, হে সদাপ্রভু, আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।
13 আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করিয়াছি তোমার মুখের সমস্ত শাসন।
14 আমি তোমার সাক্ষ্য-পথে আমোদ করিয়াছি, যেমন ধনসমূহে লোকে আমোদ করে।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
15 আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিব, তোমার সকল পথের প্রতি দৃষ্টি রাখিব।
16 আমি তোমার বিধিকলাপে হর্ষিত হইব, তোমার বাক্য ভুলিয়া যাইব না।
17 তোমার দাসের মঙ্গল কর, যেন আমি বাঁচি, তাহা হইলে আমি তোমার বাক্য পালন করিব।
18 আমার নয়ন খুলিয়া দেও, যেন আমি দর্শন করি, তোমার ব্যবস্থায় আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য বিষয় দেখি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
19 আমি পৃথিবীতে প্রবাসী, আমা হইতে তোমার আজ্ঞা সকল লুকাইও না।
20 আমার প্রাণ আকাঙ্ক্ষায় ক্ষুণ্ণ হয় তোমার শাসনকলাপের জন্য, সর্ব্ব সময়ে।
21 তুমি সেই শাপগ্রস্ত অহঙ্কারীদিগকে ভর্ৎসনা করিয়াছ, যাহারা তোমার আজ্ঞা পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়ায়।
22 আমা হইতে দুর্নাম ও অপমান দূর কর, কেননা আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
23 জনাধ্যক্ষেরাও বসিয়া আমার বিপক্ষে কথা কহিয়াছেন; তোমার এই দাস তোমার বিধি ধ্যান করে।
24 তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমার হর্ষজনক, সেগুলি আমার মন্ত্রণাদায়ক সুহৃৎ।
25 আমার প্রাণ ধূলিতে সংলগ্ন, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
26 আমি আপন পথসমূহের কথা বলিলাম, আর তুমি আমাকে উত্তর দিয়াছ, তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
27 তোমার নিদেশ-পথ আমাকে বুঝাইয়া দেও, আমি তোমার আশ্চর্য্য কর্ম্ম সকল ধ্যান করিব।
28 আমার প্রাণ দুঃখে গলিয়া পড়িতেছে, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে উঠাও।
29 আমা হইতে মিথ্যার পথ দূর কর, কৃপা করিয়া তোমার ব্যবস্থা আমাকে দেও।
30 আমি বিশ্বস্ততার পথ মনোনীত করিয়াছি, আমি তোমার শাসনকলাপ সম্মুখে রাখিয়াছি।
31 আমি তোমার সাক্ষ্যসমূহে আসক্ত; সদাপ্রভু, আমাকে লজ্জিত করিও না।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
32 আমি তোমার আজ্ঞা-পথে দৌড়িব, কেননা তুমি আমার হৃদয় প্রশস্ত করিতেছ।
33 সদাপ্রভু, তোমার বিধি-পথ আমাকে দেখাও, আর আমি শেষ পর্য্যন্ত তাহা পালন করিব।
34 আমাকে বিবেচনা দেও, আমি তোমার ব্যবস্থা মানিব, সর্ব্বান্তঃকরণে তাহা পালন করিব।
35 তোমার আজ্ঞা-পথে আমাকে গমন করাও, কারণ তাহাতেই আমার প্রীতি।
36 তোমার সাক্ষ্যকলাপের প্রতি আমার হৃদয় ফিরাও, লোভের প্রতি ফিরাইও না।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
37 অলীকতা দর্শন হইতে আমার চক্ষু ফিরাও, তোমার পথে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
38 তোমার দাসের পক্ষে সফল কর তোমার বচন, যাহা তোমার প্রতি ভয় সম্বন্ধীয়।
39 দূর কর আমার দুর্নাম, যাহার বিষয় আমি ভয় করি, কেননা তোমার শাসনকলাপ উত্তম।
40 দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকলের আকাঙ্ক্ষা করিয়া আসিতেছি, তোমার ধর্ম্মশীলতায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
41 আমার প্রতি তোমার দয়া বর্ত্তুক, হে সদাপ্রভু, তোমার বচনানুসারে তোমার পরিত্রাণ বর্ত্তুক।
42 তবে আমি আমার দুর্নামকারীকে উত্তর দিতে পারিব, কেননা আমি তোমার বাক্যে নির্ভর করিতেছ।
43 আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।
44 আমি সতত তোমার ব্যবস্থা পালন করিব, যুগে যুগে চিরকাল করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
45 আর আমি প্রশস্ত স্থানে গতায়াত করিব, কেননা আমি তোমার নিদেশ সকলের অন্বেষণ করিয়াছি।
46 আমি রাজগণের সাক্ষাতেও তোমার সাক্ষ্যকলাপের কথা বলিব, আর আমি লজ্জিত হইব না।
47 আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব, সে সকল আমি ভালবাসি।
48 আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সে সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
49 তোমার দাসের পক্ষে সেই বাক্য স্মরণ কর, যদ্দ্বারা তুমি আমাকে প্রত্যাশাযুক্ত করিয়াছ।
50 দুঃখের সময়ে ইহাই আমার সান্ত্বনা, তোমার বচন আমাকে সঞ্জীবিত করিয়াছে।
51 অহঙ্কারিগণ আমাকে অতিশয় বিদ্রূপ করিয়াছে, তোমার ব্যবস্থা হইতে আমি বিমুখ হই নাই।
52 সদাপ্রভু, আমি তোমার পূর্ব্বকালের শাসনকলাপ স্মরণ করিয়াছি, আর সান্ত্বনা পাইয়াছি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
53 দুষ্টদের বিষয়ে আমার ক্রোধ জ্বলিয়া উঠিল, কেননা তাহারা তোমার ব্যবস্থা ত্যাগ করে।
54 তোমার বিধিকলাপ হইয়াছে আমার গীত আমার প্রবাস-গৃহে।
55 সদাপ্রভু, আমি রাত্রিকালে তোমার নাম স্মরণ করিয়াছি, ও তোমার ব্যবস্থা পালন করিয়াছি।
56 আমি ইহাই পাইয়াছি, তোমার নির্দেশ সকল পালন করিয়াছি।
57 সদাপ্রভু আমার অধিকার; আমি বলিয়াছি, আমি তোমার বাক্য সকল পালন করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
58 আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা চেষ্টা করিয়াছি; তোমার বচনানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর।
59 আমি নিজ পথসমূহ বিবেচনা করিলাম, ও তোমার সাক্ষ্যকলাপের প্রতি আমার চরণ ফিরাইলাম।
60 আমি সত্বর হইলাম, বিলম্ব করিলাম না, তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিবার জন্য।
61 দুষ্টগণের রজ্জু আমাকে জড়াইয়াছে, আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
62 আমি মধ্যরাত্রে তোমার স্তব করিতে উঠিব, তোমার ধর্ম্মময় শাসনমালার জন্য।
63 আমি সেই সকলের সখা, যাহারা তোমাকে ভয় করে, এবং যাহারা তোমার নিদেশ সকল পালন করে।
64 তোমার দয়াতে, হে সদাপ্রভু, পৃথিবী পরিপূর্ণ, আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।
65 তুমি আপন দাসের প্রতি মঙ্গল ব্যবহার করিয়াছ, হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে করিয়াছ।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
66 উত্তম বিচার ও জ্ঞান আমাকে শিখাও, কেননা আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে বিশ্বাস করিয়া আসিতেছি।
67 দুঃখার্ত্ত হইবার পূর্ব্বে আমি ভ্রান্ত ছিলাম, কিন্তু এখন তোমার বচন পালন করিতেছি।
68 তুমি মঙ্গলময় ও মঙ্গলকারী, তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
69 অহঙ্কারিগণ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রচনা করিয়াছে, আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার নিদেশ সকল পালন করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
70 উহাদের অন্তঃকরণ মেদের ন্যায় স্থূল; কিন্তু আমি তোমার ব্যবস্থায় আমোদ করি।
71 আমি যে দুঃখার্ত্ত হইয়াছি, এ আমার পক্ষে উত্তম, যেন আমি তোমার বিধি শিখিতে পাই।
72 তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
73 তোমার হস্ত আমার গঠন ও স্থিতি করিয়াছে; আমাকে বিবেচনা দেও, যেন তোমার আজ্ঞা সকল শিখিতে পারি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
74 যাহারা তোমাকে ভয় করে, তাহারা আমাকে দেখিয়া আনন্দিত হইবে, কারণ আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা করিয়াছি।
75 হে সদাপ্রভু, আমি জানি, তোমার শাসনকলাপ ধর্ম্মময়, আর তুমি বিশ্বস্ততায় আমাকে দুঃখ দিয়াছ।
76 আহা! তোমার দয়া আমার সান্ত্বনাজনক হউক, তোমার দাসের প্রতি তোমার বচনানুসারে হউক।
77 আমার প্রতি তোমার করুণা বর্ত্তুক, যেন আমি বাঁচি; কেননা তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
78 অহঙ্কারিগণ লজ্জিত হউক, কেননা তাহারা মিথ্যা বলিয়া আমার সর্ব্বনাশ করিয়াছে; কিন্তু আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিতেছি।
79 যাহারা তোমাকে ভয় করে, তাহারা আমার প্রতি ফিরুক, আর তাহারা তোমার সাক্ষ্যকলাপ বুঝিবে।
80 আমার চিত্ত তোমার বিধিতে সিদ্ধ হউক, যেন আমি লজ্জিত না হই।
81 তোমার পরিত্রাণের প্রতীক্ষায় আমার প্রাণ ক্ষীণ হয়, আমি তোমার বাক্যের অপেক্ষা করি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
82 তোমার বচনের প্রতীক্ষায় আমার চক্ষু ক্ষীণ হয়, আমি বলি, তুমি কখন আমাকে সান্ত্বনা করিবে?
83 কারণ আমি ধূমস্থ কুপার সদৃশ হইয়াছি; তথাপি তোমার বিধি ভুলিয়া যাই নাই।
84 তোমার দাসের দিন কত? কবে আমার তাড়নাকারিগণের বিচার করিবে?
85 অহঙ্কারিগণ আমার নিমিত্ত গর্ত্ত খুঁড়িয়াছে, তাহারা তোমার ব্যবস্থানুগামী নয়।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
86 তোমার সমস্ত আজ্ঞা বিশ্বসনীয়; লোকে মিথ্যা বলিয়া আমাকে তাড়না করে; আমার সাহায্য কর।
87 উহারা পৃথিবীতে আমাকে প্রায় নিঃশেষ করিয়াছিল, কিন্তু আমি তোমার নিদেশমালা ত্যাগ করি নাই।
88 তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর, তাহাতে আমি তোমার মুখের সাক্ষ্য পালন করিব।
89 অনন্তকালের নিমিত্ত, হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্য স্বর্গে সংস্থাপিত।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
90 তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী; তুমি পৃথিবীকে স্থাপন করিয়াছ, তাহা স্থির রহিয়াছে।
91 অদ্যাপি তোমার শাসনানুসারে সকলই স্থির রহিয়াছে, কেননা সমস্তই তোমার দাস।
92 যদি তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক না হইত, তবে ইতিপূর্ব্বে আমি আপন দুঃখে বিনষ্ট হইতাম।
93 আমি তোমার নিদেশমালা কখনও ভুলিয়া যাইব না, কারণ তদ্দ্বারা তুমি আমাকে সঞ্জীবিত করিয়াছ।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
94 আমি তোমারই, আমাকে পরিত্রাণ কর; কারণ আমি তব নিদেশমালার অন্বেষণ করিয়াছি।
95 দুষ্টগণ আমাকে বিনষ্ট করিবার জন্য আমার অপেক্ষা করিয়াছে; আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ আলোচনা করিব।
96 আমি সমস্ত সিদ্ধির অন্ত দেখিয়াছি; তোমার আজ্ঞা অতিশয় প্রশস্ত।
97 আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি! তাহা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
98 তোমার আজ্ঞা সকল আমাকে শত্রুগণ অপেক্ষা জ্ঞানবান করে; কারণ সেই সকল চিরকাল আমার।
99 আমার সমস্ত গুরু অপেক্ষা আমি জ্ঞানবান, কেননা আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ধ্যান করি।
100 প্রাচীন লোক হইতেও আমি বুদ্ধিমান, কারণ আমি তোমার নিদেশ সকল পালন করিয়াছি।
101 আমি সমস্ত কুপথ হইতে আপন চরণ নিবৃত্ত করিয়াছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
102 আমি তোমার শাসনপথ হইতে ফিরি নাই, কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।
103 তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে! তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!
104 তোমার নিদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়, তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
105 তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।
106 আমি শপথ করিয়াছি, স্থির করিয়াছি, তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপ পালন করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
107 আমি অতিশয় দুঃখার্ত্ত; হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
108 সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
109 আমার প্রাণ নিরন্তর আমার করতলে, তথাপি আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
110 দুষ্টগণ আমার নিমিত্ত ফাঁদ পাতিয়াছে, কিন্তু আমি তোমার নিদেশপথ হইতে বিপথগামী হই না।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
111 তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমি চিরতরে অধিকার করিয়াছি, কারণ সে সকল আমার চিত্তের হর্ষজনক।
112 আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিতে মনকে লওয়াইয়াছি, চিরকালের জন্য, শেষ পর্য্যন্ত।
113 আমি দ্বিমনাদিগকে ঘৃণা করি, কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি
114 তুমি আমার অন্তরাল ও আমার ঢাল; আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা রাখি।
115 দুরাচারগণ, আমার নিকট হইতে দূর হও; আমি আপন ঈশ্বরের আজ্ঞা সকল পালন করিব।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
116 তোমার বচনানুসারে আমাকে ধারণ কর, তাহাতে বাঁচিব, আমাকে নিজ আশার সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে দিও না।
117 আমাকে ধরিয়া রাখ, তাহাতে পরিত্রাণ পাইব, আর তোমার বিধিকলাপ সর্ব্বদা মান্য করিব।
118 তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে; কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।
119 তুমি পৃথিবীর সমস্ত দুষ্টকে মলবৎ দূর করিয়া থাক, তাই আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ভালবাসি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
120 তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।
121 আমি ন্যায়বিচার ও ধর্ম্মাচরণ করিয়াছি, আমাকে উপদ্রবীদের হস্তে সমর্পণ করিও না।
122 তুমি মঙ্গলের জন্য নিজ দাসের প্রতিভূ হও, অহঙ্কারীরা আমার প্রতি উপদ্রব না করুক।
123 আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য, ও তোমার ধর্ম্মময় বচনের জন্য।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
124 তোমার দয়ানুসারে তোমার দাসের সহিত ব্যবহার কর, আর তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
125 আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দেও, যেন তোমার সাক্ষ্য সকল বুঝিতে পারি।
126 সদাপ্রভুর কার্য্য করিবার সময় হইল, *কেননা লোকে তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করিয়াছে।
127 তজ্জন্য আমি তোমার আজ্ঞা সকল ভালবাসি, স্বর্ণ হইতে, নির্ম্মল স্বর্ণ হইতেও ভালবাসি।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
128 তজ্জন্য আমি সর্ব্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় নিদেশ ন্যায্য জ্ঞান করি, সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
129 তোমার সাক্ষ্যকলাপ আশ্চর্য্য, এই জন্য আমার প্রাণ সে সকল পালন করে।
130 তব বাক্যসমূহের বিকাশ আলোক প্রদান করে, তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।
131 আমি মুখ খুলিয়া শ্বাস ফেলিতেছিলাম, কেননা তোমার আজ্ঞা সকলের আকাঙ্ক্ষা করিতেছিলাম।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
132 আমার প্রতি ফির, ও আমার প্রতি কৃপা কর, যেমন তোমার নামপ্রিয়দের প্রতি করিয়া থাক।
133 তোমার বচনে আমার পাদবিক্ষেপ স্থির রাখ, কোন অধর্ম্ম আমার উপরে কর্ত্তৃত্ব না করুক।
134 মনুষ্যের উপদ্রব হইতে আমাকে মুক্ত কর, তাহাতে আমি তোমার নিদেশমালা পালন করিব।
135 তোমার দাসের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর, এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শিক্ষা দেও।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
136 আমার চক্ষু হইতে জলধারা বহিতেছে, কারণ লোকে তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।
137 হে সদাপ্রভু, তুমি ধর্ম্মময় ও তোমার শাসন সকল ন্যায্য।
138 তুমি ধর্ম্মশীলতায়, এবং অতীব বিশ্বস্ততায় তোমার সাক্ষ্যকলাপ আদেশ করিয়াছ।
139 আমার উদ্যোগ আমাকে গ্রাস করিয়াছে, কারণ আমার বিপক্ষগণ তোমার বাক্য সকল ভুলিয়া গিয়াছে।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
140 তোমার বচন অতীব পরীক্ষাসিদ্ধ, তাই তোমার দাস তাহা ভালবাসে।
141 আমি ক্ষুদ্র ও অবজ্ঞাত, *কিন্তু আমি তোমার নিদেশ সকল ভুলিয়া যাই নাই।
142 তোমার ধর্ম্মশীলতা চিরস্থায়ী ধর্ম্মশীলতা, আর তোমার ব্যবস্থা সত্য।
143 সঙ্কট ও দুর্দ্দশা আমাকে পাইয়া বসিয়াছে, *তথাপি তোমার আজ্ঞা সকল আমার হর্ষজনক।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
144 তোমার সাক্ষ্যকলাপ অনন্তকাল ধর্ম্মময়; আমাকে বুদ্ধি দেও, তাহাতে আমি বাঁচিব।
145 আমি সর্ব্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।
146 আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর, তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।
147 আমি প্রভাতের অগ্রেও আর্ত্তনাদ করিলাম, আমি তোমার বাক্যসমূহের অপেক্ষাতে ছিলাম।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
148 আমার চক্ষু রাত্রিযামের পূর্ব্বে উন্মীলিত ছিল, যেন তোমার বচন ধ্যান করিতে পারি।
149 তোমার দয়ানুসারে আমার রব শুন; হে সদাপ্রভু, তোমার শাসনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
150 কুকর্ম্মের অনুগামীরা নিকটবর্ত্তী; তাহারা তোমার ব্যবস্থা হইতে দূরবর্ত্তী।
151 হে সদাপ্রভু, তুমিই নিকটবর্ত্তী, আর তোমার সমস্ত আজ্ঞা সত্য।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
152 আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপের দ্বারা পূর্ব্বাবধি জানি, তুমি চিরতরে সে সমস্ত স্থাপন করিয়াছ।
153 আমার দুঃখ দেখ, আমাকে উদ্ধার কর, কেননা আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
154 আমার বিবাদ নিষ্পত্তি কর, আমাকে মুক্ত কর, তোমার বচনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
155 পরিত্রাণ দুষ্টগণ হইতে দূরবর্ত্তী, কারণ তাহারা তোমার বিধি সকলের অন্বেষণ করে না।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
156 হে সদাপ্রভু, তোমার করুণা বহুবিধ; তোমার শাসনকলাপানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
157 আমার তাড়নাকারী ও বিপক্ষ অনেক, *তথাপি আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ হইতে বিপথগামী হই নাই।
158 আমি বিশ্বাসঘাতকদগিকে দেখিয়া ঘৃণা করিলাম, কারণ তাহারা তোমার বচন পালন করে না।
159 দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকল কেমন ভালবাসি। সদাপ্রভু, তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
160 তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য, তোমার ধর্ম্মময় প্রত্যেক শাসন চিরস্থায়ী।
161 অধ্যক্ষেরা অকারণে আমাকে তাড়না করিয়াছে, কিন্তু আমার মন তোমার বাক্যসমূহে ভীত হয়।
162 আমি তোমার বচনে আনন্দ করি, যেমন মহালুট পাইলে লোকে করে।
163 আমি মিথ্যাকে দ্বেষ করি, ঘৃণা করি, তোমার ব্যবস্থাই ভালবাসি।
164 আমি দিনে সাত বার তোমার স্তব করি, তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপের জন্য।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
165 যাহারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি, তাহাদের উছোট লাগে না।
166 সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের প্রত্যাশা করিয়াছি, ও তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিয়াছি।
167 আমার প্রাণ তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছে, আমি সে সকল অতিশয় ভালবাসি।
168 আমি তোমার নিদেশমালা ও সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি; কারণ আমার সমস্ত পথ তোমার সম্মুখে।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
169 সদাপ্রভু, আমার কাকূক্তি তোমার নিকটে উপস্থিত হউক, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে বুদ্ধি দেও।
170 আমার বিনতি তোমার সম্মুখে উপস্থিত হউক, তোমার বচনানুসারে আমাকে নিস্তার কর।
171 আমার ওষ্ঠাধর প্রশংসা করিবে, কারণ তুমি আমাকে তোমার বিধি সকল শিক্ষা দিতেছ।
172 আমার জিহ্বা তোমার বচন কীর্ত্তন করিবে, যেহেতু তোমার সমস্ত আজ্ঞা ধর্ম্মময়।
সামসঙ্গীত অধ্যায় 119
173 তোমার হস্ত আমার সহকারী হউক; কেননা আমি তোমার নিদেশমালা মনোনীত করিয়াছি।
174 সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি, এবং তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।
175 আমার প্রাণ জীবিত থাকুক, সে তোমার প্রশংসা করিবে, আর তোমার শাসনকলাপ আমার সহকারী হউক।
176 আমি হারাণ মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর; কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।