Bengali বাইবেল

বিচারকচরিত total 21 অধ্যায়গুলির

বিচারকচরিত

বিচারকচরিত অধ্যায় 5
বিচারকচরিত অধ্যায় 5

1 সেই দিন দবোরা ও অবীনোয়মের পুত্র বারক এই গান করিলেন।

2 ইস্রায়েলে নায়কগণ নেতৃত্ব করিলেন, প্রজারা স্ব-ইচ্ছায় আপনাদিগকে উৎসর্গ করিল, এজন্য তোমরা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর।

3 রাজগণ, শ্রবণ কর; নৃপগণ, কর্ণ দেও; আমি, আমিই সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত করিব,

4 হে সদাপ্রভু, তুমি যখন সেয়ীর হইতে নির্গমন করিলে, ইদোম-ক্ষেত্র হইতে অগ্রসর হইলে, ভূমি কাঁপিল, আকাশও বর্ষিল, মেঘমালা জল বরিষণ করিল।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

5 সদাপ্রভুর সাক্ষাতে পর্ব্বতগণ কম্পমান হইল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সাক্ষাতে ঐ সীনয় কম্পমান হইল।

6 অনাতের পুত্র শম্‌গরের সময়ে, যায়েলের সময়ে, রাজপথ শূন্য হইল, পথিকেরা বক্র পথ দিয়া গমন করিত।

7 নায়কগণ ইস্রায়েলের মধ্যে ক্ষান্ত ছিলেন, তাঁহারা ক্ষান্ত ছিলেন; শেষে আমি দবোরা উঠিলাম, ইস্রায়েলের মধ্যে মাতৃস্থানীয় হইয়া উঠিলাম।

8 তাহারা নূতন দেবতা মনোনীত করিয়াছিল; তৎকালে নগরদ্বারে যুদ্ধ হইল; ইস্রায়েলের চল্লিশ সহস্র লোকের মধ্যে কি একখানা ঢাল বা শল্য দৃষ্ট হইল?

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

9 আমার হৃদয় ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণের অভিমুখ, যাঁহারা প্রজাদের মধ্যে স্ব-ইচ্ছায় আপনাদিগকে উৎসর্গ করিলেন; তোমরা সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর।

10 তোমরা যাহারা শুভ্র গর্দ্দভীতে চড়িয়া থাক, যাহারা দুলিচার উপরে বসিয়া থাক, যাহারা পথে ভ্রমণ কর, তোমরাই উহার সংবাদ দেও।

11 ধনুর্দ্ধরদের রব হইতে দূরে, জল তুলিবার স্থান সকলে, সেখানে কীর্ত্তিত হইতেছে সদাপ্রভুর ধর্ম্মক্রিয়া, ইস্রায়েলে তাঁহার শাসন সংক্রান্ত ধর্ম্মক্রিয়া সমূহ; তখন সদাপ্রভুর প্রজাগণ নগরদ্বারে নামিয়া যাইত।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

12 দবোরে, জাগ্রত হও, জাগ্রত হও; জাগ্রত হও, জাগ্রত হও, গীত গান কর; বারক, উঠ; অবীনোয়মের পুত্র, তোমার বন্দিগণকে বন্দি কর।

13 তখন নরেন্দ্রদের অবশিষ্টেরা ও জনগণ নামিল; সদাপ্রভু আমার পক্ষে সেই বিক্রমীদের বিরুদ্ধে নামিলেন।

14 ইফ্রয়িম হইতে অমালেক-নিবাসীরা *আসিল ; বিন্যামীন তোমার লোকদের মধ্যে তোমার পশ্চাতে আসিল ; মাখীর হইতে অধ্যক্ষগণ নামিলেন, সবূলূন হইতে রণ-দণ্ডধারিগণ নামিলেন।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

15 ইষাখরের অধ্যক্ষগণ দবোরার সঙ্গী ছিলেন, ইষাখর যেমন বারকও তেমনি, তাঁহার পশ্চাতে তাঁহারা বেগে তলভূমিতে গেলেন। রূবেণের স্রোতঃসমূহের নিকটে গুরুতর চিত্তসংঙ্কল্প হইল।

16 তুমি কেন মেষবাথানের মধ্যে বসিলে? কি মেষপালকগণের বংশীবাদ্য শুনিবার জন্য? রূবেণের স্রোতঃসমূহের নিকটে গুরুতর চিত্তপরীক্ষা হইল।

17 গিলিয়দ যর্দ্দনের ওপারে বাস করিল, আর দান কেন জাহাজে রহিল? আশের সমুদ্রের পোতাশ্রয়ে বসিয়া থাকিল, নিজ খালের ধারে বাস করিল।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

18 সবূলূন-প্রজাগণ প্রাণ তুচ্ছ করিল মৃত্যু পর্য্যন্ত, নপ্তালিও করিল ক্ষেত্রের উচ্চ উচ্চ স্থানে।

19 রাজগণ আসিয়া যুদ্ধ করিলেন, তখন কনানের রাজগণ যুদ্ধ করিলেন, মগিদ্দোর জলতীরস্থ তানকে যুদ্ধ করিলেন; তাঁহারা একখণ্ড রৌপ্যও লইলেন না।

20 আকাশমণ্ডল হইতে যুদ্ধ হইল, স্ব স্ব অয়নে তারাগণ সীষরার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিল।

21 কীশোন নদী তাহাদিগকে ভাসাইয়া লইয়া গেল; সেই প্রাচীন নদী, কীশোন নদী। হে আমার প্রাণ, সবলে অগ্রসর হও।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

22 তখন অশ্বদের খুর ভূমি পেষণ করিল ধাবন হেতু, তাহাদের পরাক্রমীদের ধাবন হেতু।

23 সদাপ্রভুর দূত বলেন, মেরোসকে শাপ দেও, তথাকার নিবাসীদিগকে দারুণ শাপ দেও; কেননা তাহারা আসিল না সদাপ্রভুর সাহায্যের জন্য, সদাপ্রভুর সাহায্যের জন্য, বিক্রমীদের বিরুদ্ধে।

24 মহিলাদের মধ্যে যায়েল ধন্যা, কেনীয় হেবরের পত্নী ধন্যা, তাম্বুবাসিনী স্ত্রীলোকদের মধ্যে তিনি ধন্যা।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

25 সে জল চাহিল, তিনি তাহাকে দুগ্ধ দিলেন। রাজোপযোগী পাত্রে ক্ষীর আনিয়া দিলেন।

26 তিনি গোঁজে হস্ত দিলেন। কর্ম্মকারের মুদগরে দক্ষিণ হস্ত দিলেন; তিনি সীষরাকে মুদগর মারিলেন, তাহার মস্তক বিদ্ধ করিলেন, তাহার কাণপাটি ভাঙ্গিলেন, বিদ্ধ করিলেন।

27 সে তাঁহার চরণে হেঁট হইয়া পড়িল, লম্বমান হইল; তাঁহার চরণে হেঁট হইয়া পড়িল; যেখানে হেঁট হইল, তথায় মরিয়া পড়িল।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

28 সীষরার মাতা গবাক্ষ দিয়া চাহিল, সে বাতায়ন হইতে ডাকিয়া কহিল, তাহার রথ আসিতে কেন বিলম্ব করে? তাহার রথচক্র কেন মন্দ মন্দ চলে?

29 তাহার জ্ঞানবতী সহচরীগণ উত্তর করিল, সে আপনিও আপনার কথার উত্তর দিল,

30 তাহারা কি পায় নাই? লুট অংশ করিয়া লয় নাই? প্রত্যেক পুরুষ একটী কামিনী, দুইটী কামিনী, আর সীষরা চিত্রিত বস্ত্র পাইয়াছে, চিত্রিত সূচিকার্য্যের বস্ত্র পাইয়াছে, চিত্রিত দুই ধারি বাঁধা বস্ত্র লুটকারীর কণ্ঠে।

বিচারকচরিত অধ্যায় 5

31 হে সদাপ্রভু, তোমার সর্ব্ব শত্রু এইরূপে বিনষ্ট হউক, কিন্তু তোমার প্রেমকারিগণ সপ্রতাপে গমনকারী সূর্য্যের সদৃশ হউক। পরে চল্লিশ বৎসর দেশ নিষ্কন্টকে থাকিল।